![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুদিন আর কাজি আনোয়ার হোসেনের জন্মদিন ক্র্যাশ করেছে। খুব সমস্যার ব্যাপার।
এক দল মানুষ থাকে যাদের চুলকানি বেটনোভেট সি এল অয়েন্টমেন্ট পুরো দুই টিউব শেষ করলেও থামেনা। এদের মতে হুমায়ূন আহমেদ একজন সস্তা লোক এবং সস্তা শ্রেণীর লেখক, এবং তিনি প্রচার ভালবাসতেন বলেই আজ পারলে বাংলাদেশ জুড়ে হুমায়ূন দিবস পালিত হচ্ছে, আর কাজি আনোয়ার হোসেন একজন নিভৃতচারী হওয়াতে তাকে আমরা ভুলে গেছি।
যুক্তি ঠিকাছে। একজন প্রচার চেয়েছেন পেয়েছেন, আরেকজন প্রচার চান নি, তাই হয়েছে। দুজনের ইচ্ছাই পূর্ণ। অসাধারন। অত্যন্ত ভালো ব্যাপার। এটাই তো হওয়া উচিৎ, তাই নয় কি?
কিন্তু, লেখার মান যাচাইয়ের আপনি কে? কোন লেখার শিল্পগুন, বা শিল্পেরই গুন যাচাইয়ের মাপকাঠি নির্ধারণের সিলিং বা বার টা কি?
এই লোকগুলান আসলে কাওকেই পছন্দ করেনা। এদের স্রেফ চুলকানো দরকার, তাই চুলকিয়ে যায়। নিজের শরীর, পরের শরীর সবার টাই চুলকায়। এরা কখনো মুগ্ধ হয়না, কাওকে মুগ্ধ করেনা, মুগ্ধতার কথা জানায় না। শুধু ফাক ফোঁকরে নোংরা খুজে বেড়ায়। এদের কখনো আপনার ভালো তে পাবেন না। খারাপে পাবেন হাতুড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ধ্রাম ধ্রাম দুটো দেবার জন্যে।
সমাধানঃ এরা বাড়ী দেবার আগেই আপনি দুটো দিয়ে দিন।
শেষ করি একটা গল্প দিয়েঃ
জনপ্রিয় এক লেখক সব সময় হুমায়ূন আহমেদের তীব্র সমালোচনা করতেন। হুমায়ূন আহমেদ একবার তাকে একটি পাণ্ডুলিপি দিলেন। পড়া শেষে ছিদ্রান্বেষী সমালোচক বললেন লেখাটা ভালো হলেও গভীরতা নেই।
হুমায়ূন আহমেদ পাণ্ডুলিপি পকেটে ঢোকাতে ঢোকাতে বললেন, এটা মানিক বন্দোপাধ্যয়ের লেখা। আমি শুধু চরিত্রের নাম পাল্টে এনেছি। মানিকজীর লেখায় গভীরতা না থাকলে আমি গর্বিত যে আমার লেখায় গভীরতা নেই।
এই হোল অবস্থা। গভীরতা মাপতে থাকুক গভীর জলের মাছেরা। মাপতে মাপতে স্থান পাক গভীরতম তলদেশে।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সাহিত্যিকের মৃতু্য এবং আমাদের গদগদে আবেগ
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
এন ইউ এমিল বলেছেন: যার যেটুকু পাওনা তাকে সেটুকু দিতেই হবে, দিতে কষ্ট লাগলে বুঝতে হবে তার চুল্কানী আছে