নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোজা

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ।

তানভীর- বিন- হাসান

ভোরের আলোয়, দুপুর রোদে আর হয়নাকো সুড়সুড়ি। হচ্ছি আমি বুড়োই ভীষণ, হচ্ছ তুমি বুড়ি। [email protected]

তানভীর- বিন- হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন রমযান আলি আর দু' চোখ ভর্তি গণতান্ত্রিক শুন্যতা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তুটি নাকি পিতার কাঁধ চেপে শেষ যাত্রার দিকে চলা সন্তানের লাশ। মনিরের বাবার কাধ টার উপর কত কেজি চাপ পড়ছে এখন?



অনেক বাস্তববোধে ভর্তি মানুষের শহরে লাশটা আরেকটা লাশই। পনের বছরের একটা হালকা পাতলা ছেলের লাশ। চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কেজি হবে হয়তো। বাবার বুকের খাঁচায় তার ওজন তখন একটা পুরো পৃথিবী। নষ্ট হয়ে যাওয়া পৃথিবী। একটা পচা গলা বাংলাদেশ।



এইসব ছুটির দিনে অনেক বাবা তার ছেলেকে নিয়ে বেরুবেন ঘুরতে, বেরুতে। রমযান আলির বুকে আর কখনো তার কোন সন্তান কে নিয়ে ঢাকা শহর বেরুবার ইচ্ছা হবেনা। এক বুক পৃথিবী বোঝাই করে ঘুরে বেড়ানো সম্ভব হবেনা তার। দুদিন ধরে ছেলেকে যে শহর দেখিয়েছেন, যে শহরে বাবার সাথে ঘুরে ঘুরে দুটো দিনের অপার্থিব আনন্দ নিয়ে ভরে উঠেছিল মনির, সেটা জানা হবেনা অনাগত কোন ভবিষ্যতের।



তাতে দুলবেনা কোন নষ্ট বুড়িগঙ্গা, তাতে দুলবেনা গাজিপুরের চাপাইর কোন প্রাণ।



মনির হয়তো একদিন পিতা হত। তার ভ্যানে চড়তো নতুন কোন মনির। বাসায় ফিরে রমযান আলির সাথে কথা বলতো নাতি। রমযান আলি বরং বুক ফুলিয়ে বলতেন, তোর বাপেরে ঢাকা দেখাইসি আমি। গল্প আমারটা শোন।



নাহ...



সেই গল্পে এখন থাকবে শুধু মনিরের লাশ। শুনবে অন্য কেউ। অপরিচিতেরা। পেপার- পত্রিকা- চ্যানেল- গণমাধ্যমেরা।



আর মনির থাকবে শুয়ে চাপাইর কোন কবরে, হরতাল নামের এক গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুফল হয়ে।



রমযান আলির দু- চোখে তখন গণতান্ত্রিক শুন্যতা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: আহ গণতন্ত্র! বাহ গণতন্ত্র!! বহু লাশ উপহার দিয়েছ তোমার পূজারীদের-এবার একটু থামো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.