![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই পড়তে ভালবাসি । কবিতার বই হলে কথাই নেই । হেলাল হাফিজের অন্ধ ভক্ত ।
রোজকার মত আজকেও প্রাইভেট পড়িয়ে বাসায় আসছিলাম। আমি পানির ট্যাঙ্ক(মিরপুর-২) এলাকায় পড়াই। জায়গাটা জার্মান টেকনিক্যাল এর পিছনেই। ওখান থেকে বের হয়েই শুনি তীব্র আওয়াজ। পরে দেখলাম লোকজন দিক্বিদিক ছোটাছুটি করছে।
মানুষ জনের ছোটাছুটি দেখে বুঝলাম মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশ দিয়ে যে রাস্তা গিয়েছে সেখানেই বিস্ফোরণ হয়েছে। ওই রাস্তার মাথায় একটা মন্দিরও আছে। পরে বুঝলাম ওই জায়গাটা বেছে নেয়ার কারন।আজকে মিরপুর এর মহাসমাবেশ এর পর থেকে এই এলাকাটা হঠাৎ করেই লাইম লাইট এ চলে আসে। মনে মনে প্রথমে খুশি হয়েছিলাম। এই ঘটনার পর খুশি হব কিনা বুঝতে পারছিনা। তবে বিস্ফোরণের শব্দটা অনেক জোরাল।
পরে বুঝলাম ওটা মনে হয় ককটেল বিস্ফোরণ। একটু যেন ভয় পেয়ে গেছিলাম। রিকশা ওয়ালা মামা কে জিজ্ঞাসা করাতে উনিও আমার কথাতে সায় দিলেন।আমি বাসার ঠিকানা বলে বললাম যাবেন? উনি এক কথাতেই রাজি। বললাম কোন দিক দিয়ে যাবেন? উনি বললেন যে দিক দিয়ে যাওয়ার কথা। আমি বললাম ওইদিকে তো মনে হয় গণ্ডগোল ।উনি আমার দিকে তাকাইয়া হাসি দিয়ে বললেন আল্লাহর নাম নিয়া বের হইছি যা থাকে কপালে। এরপর আরও বললেন ওদের ভয় পাইছি এতদিন বইলাই ওরা সাহস পাইছে। আর ভয় পাই না। আমি যেন একটু এবার লজ্জায় পড়ে গেলাম। দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছেড়ে বললাম চলেন যাই।
মূল কথা কিছু একটা বিস্ফোরণ হয়েছে। মানুষ ভয় পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছে। এতে জামাতের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য সফল। তবে কিছু মানুষ নতুন করে সাহস পাচ্ছে। আশার কথা এটাই। তবে ঘটনার দুই তিন মিনিটের মধ্যে কোন পুলিশ কে দেখিনি। যদিও পুলিশ স্টেশন একেবারে কাছেই। হেঁটে আসতেও মিনিট তিনেকের বেসি লাগা উচিত না।
দেশের পরিস্থিতি ভাল বলে মনে হচ্ছে না। কি যে হয়।যা হোক ওই মামার কথায় সাহস পেয়েছি।
জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.