নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার বলা হল না, আর ফেরা হল না

রহমান,তানভীর

বই পড়তে ভালবাসি । কবিতার বই হলে কথাই নেই । হেলাল হাফিজের অন্ধ ভক্ত ।

রহমান,তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এবং চারিপাশ

২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩২

আমি কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ‘কবিতা- পড়ুয়া’ নই । মানে অনেকে আছে যারা জন্ম থেকেই কবিতা লেখার ও পড়ার গুণ নিয়ে জন্মায় । আমি অমন নই । আমি আগে মানুষের কবিতা আবৃত্তি শুনেছি, তাদেরকে কবিতা পড়তে দেখেছি, লিখতে দেখেছি । তারপর নিজে পড়েছি, আবৃত্তি করেছি, এবং নিজে নিজে লেখার অপচেষ্টা করেছি । আসলে আমরা ভাগ্যবান ছিলাম । আমাদের সময় বড়রা কবিতাকে শিল্পের কাজেই ব্যবহার করত । কবিরা প্রতিবাদ করত । কিন্তু শিল্পীদের আবৃত্তি বা কবিদের কবিতা কোনটাই দালালি বা গালি ছিলনা তখন । এখন পুরোটাই গালি আর তোষামোদিতে ভরে গেছে । হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন “এখন কবিতা দুরকম ঃ দালালি আর গালাগালি” ।

সম্ভবত এখনকার মত ধর্ষণের হার মধ্যযুগেও ছিল না । এখন সতের মাসের শিশুকন্যা থেকে শুরু করে ছয় বছরের মাদ্রাসার বালক ছাত্র- কেউই এই বিকৃত মস্তিষ্ক মানুষরূপী পশুদের থেকে নিরাপদ নয় । একবার খেয়াল করে দেখবেন এই পশুদের ধর্ষণ করার ‘কারণগুলো’ পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ । আসলে যেটা সত্য সেটা হল ধর্ষণের কোন কারণই থাকতে পারে না । কিন্তু ধর্ষকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করিয়েছে । পরিহাসটা হল আমরা সমাজ ধর্ষিতদেরই দায়ী করে এসেছি । যারা অপরাধী তাদের দোষটাই যেন কম । আমি কখনোই এই অদ্ভুত বৈপরীত্যের কারণ বের করতে পারিনি ।



আমরা তথাকথিত আধুনিকরা কিন্তু এই অসম অপপ্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই । যেমন ধরুন ইন্টারনেট বা মোবাইলের রেট নিয়ে আমরা ফেসবুকে চায়ের কাপ গরম করে ফেলি । যেন এগুলোতে দাম বাড়ানো নাজায়েজ । ঠিকই তো, এগুলোতে দাম বাড়ানো ঠিক না । কিন্তু এই আমরাই এই গরমে রিকশাওয়ালাকে দুই টাকা বেশি দেই না । তাদের পরিশ্রমের কোন মূল্যবৃদ্ধি আমাদের অর্থনীতির কোন সূচক বাড়াবেনা । বিষয়টা অনেকটা এ রকম মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক যদি কোন সূচক বৃদ্ধি করত তাহলে পারস্পরিক সম্পরকটা বাড়ত । পুঁজিবাদী সমাজ মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের কোন দাম দিতে আমাদের শেখায়নি । আমরাও যেন তাই কেএফসির মূল্য বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক ভেবে নিতে শিখেছি । মানুষগুলোর এই যন্ত্র হয়ে ওঠার পেছনে নাকি সুখ খুঁজে পাওয়াটাই কারণ । কি অদ্ভুত । আমরা সুখ খুজতে শিখেছি । সুখ উপভোগ করতে শিখিনি ।

একবিংশ শতাব্দীর ছেলেমেয়েদের নিজেদের স্বপ্ন দেখতে মানা । মানে স্বপ্নও এখন ‘নিয়ম’ এর বাইরে দেখা যাবে না । এই গণ্ডি ঘেরা স্বপ্ন আমাদের স্বপ্ন দেখতে ভুলিয়ে দিচ্ছে । আমরা এখনব স্বপ্নের মানে জানি না । ‘দেখিয়ে দেয়া’ স্বপ্ন দেখতে দেখতে ক্লান্ত বোধ করি । একটা সময় এই দেখিয়ে দেয়া স্বপ্ন দেখাও বন্ধ হয়ে যায় । বোধকরি একটা প্রজন্ম স্বপ্নহীন হয়ে গড়ে উঠছে । কারণ স্বপ্ন দেখার জন্য জিপিএ পাঁচ দেয়া হয় না, পত্রিকায় বন্ধুদের সাথে উল্লাসমুখর ছবি আসে না । তাই এটার দরকার নেই । আচ্ছা যন্ত্র হয়ে ওঠার জন্য কোন গ্রেডিং থাকলে কেউ যে এ দেশে ফেল করতনা ভেবে দেখেছেন ?

খেয়াল করেছেন এ দেশে এখন এমনকি একুশের বইমেলাতেও নতুন কেউ জনপ্রিয় হয়না । মানে দাঁড়াল আমরা পুরোপুরি হুজুগে হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছি । অথচ আমরা কেউই এটা নিয়ে এতটুকু ভাবছি বলে মনে হচ্ছেনা । আমাদের এই লাইন অতিক্রম করার সাহস হারিয়ে ফেলাটা ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেয়না । অথচ আমরা অতিমাত্রায় অসহিষ্ণু ও অহঙ্কারি হয়ে গেছি । ভালো কিছু দেখলেও আমাদের সন্দেহ জাগে । “যা দেখি তার সবই ভালো, ভালো ভালো লাগে না” এই গানটা আর কোন দেশে জনপ্রিয় হত বলে মনে হয় না ।

এই লেখাটা লিখতে গিয়ে মনে হল আমিও সিনিকাল হয়ে যাচ্ছি । তার মানে আমি ঠিক অতটাই সাধারণ যেমনটা অন্যরা । চারিপাশে এত ভালো থাকতেও খারাপ জিনিষ গুলোই আমার মাথায় আসছে । আমাদের কি হবে কেউ বলতে পারেন ?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

রুদ্র দেওয়ান বলেছেন: প্রথম পেলাস টা আমিই দিলাম :D

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৫

রহমান,তানভীর বলেছেন: ভালো লাগল দোস্ত । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.