নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলিগেমি আহমাদ

পলিগেমি আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়াকওয়ে বনাম পার্কঃ

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯

পরিকল্পিত নগরায়ন:

দৃষ্টিনন্দন, মনোরম ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারা করছে সে জন্যে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ৷ সবুজ মনোরম পরিবেশ বলতে যা বুঝায় তা অনেকাংশেই নগর ডিজাইনে থাকে না৷ আধুনিক নগর ডিজাইনে গাড়ি ও গাড়ির রাস্তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশী৷ তবে গাছপালা সমৃদ্ধ ওয়াকওয়ের( হাটার রাস্তা) কমতি থেকে যায় প্রায় সব ডিজাইনেই৷
আমি এরূপ ডিজাইনের কল্পনা করি যেখানেঃ
১) ওয়াকওয়েগুলি ফুটপাতের মতো রাস্তা ঘেষে যাবে না৷ বরং বিকল্প রাস্তা ও নিরিবিলি জায়গা ও বাড়ির পিছন দিক দিয়ে হবে৷
২) ওয়াকওয়ে ঘেষে বড় বড় গাছ লাগানো থাকবে৷
৩) গাড়ির রাস্তার চেয়েও বেশী ওয়াকওয়ে(হাটার ৩ ফুট প্রস্ত রাস্তা) থাকবে৷ যা বাজারে পৌছে দিবে, মসজিদে পৌছে দিবে৷
৪) রাস্তার ডিজাইনের মতো ওয়াকওয়ের আলাদা ডিজাইন থাকবে৷ এটি কোথা দিয়ে যাবে৷ ওয়াকওয়ে সোজা না হয়ে আকাবাকা হলে ভালো৷
৫) দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে গুলোর দুই পাশে বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো থাকবে৷ আপনি হয়তো মসজিদে যাচ্ছেন দুই পাশে বকুল ফুল গাছের তল দিয়ে৷ আবার বাজারে যাচ্ছেন ঝাউগাছের নিচ দিয়ে৷ স্কুলে যাচ্ছেন হাসনাহেনা গাছের নিচ দিয়ে৷ কখনও বা কৃষ্ণচুড়া গাছের নিচ দিয়ে৷
৬) ওয়াকওয়ে নির্মান খরচ পরিকল্পিত সুবিশাল পার্ক থেকে অনেক কম৷ কিন্তু পার্ক সবসময় কাজে লাগে না, ওয়াকওয়ে সবসময় কাজে লাগে৷

ওয়াকওয়ে বনাম পার্কঃ
ওয়াকওয়ে ২৪ ঘন্টায় বিনোদন দিতে পারে৷ কিন্তু পার্ক বছরে একদিন এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে কখনও বিনোদন দিতে পারে না৷ মিরপুর ডিওএইচএস এর ভিতরে পার্ক আছে দুটি৷ আমি কখনো হাটার জন্যে ঢুকিনি৷ অনেককে সেখানে ব্যায়াম করতে দেখি৷
অথচ কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা প্রকল্পের ওয়াকওয়েটি কিশোরগঞ্জবাসী প্রতিদিন ব্যবহার করে৷ কারন বাজার, স্কুল, পৌরসভা ও ব্যংক যেখানেই যান না কেন এটি পড়বে৷

১) মিরপুর ডিওএইচ এস এর পার্কটি মসজিদে গেলে কাজে লাগে না, কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা প্রকল্পের ওয়াকওয়েটি ব্যবহার করে মসজিদে যাই৷
২) মিরপুর ডিওএইচ এস এর পার্কটি মার্কেটে গেলে কাজে লাগে না, কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা প্রকল্পের ওয়াকওয়েটি ব্যবহার করে আখরাবাজার, গৌরাঙ্গবাজার মার্কেটে যাই৷
৩) মিরপুর ডিওএইচ এস এর পার্কটি কলেজে গেলে কাজে লাগে না, কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা প্রকল্পের ওয়াকওয়েটি ব্যবহার করে গুরুদয়াল কলেজে যাই৷
পরিকল্পিত নগরায়নে যেমন মিরপুর ডিওএইচএস, রাজউক উত্তরা ৩, রূপায়ন সিটি, পিংকি সিটি, লেইক সিটি সর্বত্র বহুতল ভবন ও সুপ্রশস্ত রাস্তা নিয়ে ডিজাইন হয়েছে৷ কিন্তু গাছপালায় ছায়াঢাকা স্বল্প খরচের স্বর্পিল প্যচানো ওয়াকওয়ে অনুপস্থিত৷ কিন্তু কেন?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে কত ধরনের ভূত আছে জানেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.