নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলিগেমি আহমাদ

পলিগেমি আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীয়ত যদি কুরআনের সব ব্যখ্যা করতে পারতো তবে তা ধর্মের কাতারেই পড়ত না৷

০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

মারেফত কেন?
যদি শরীয়ত কুরআনের সব ব্যখ্যা করতে পারতো তবে তা হতো আইন বা নিয়ম কানুন ৷ তা ধর্মের কাতারেই পড়ত না৷

ধর্ম জিনিসটাই আধ্যাত্মিক৷ যেখানে আত্মার অস্তিস্থ নিয়ে গবেষনা হয়৷ শরীয়ত হলো নিয়ম কানুন৷ মুহাম্মদ সঃ একজন পীর ছিলেন৷ স্বপ্ন থেকেই আত্মার অস্তিত্বের কল্পনা করতে শিখে মানুষ৷ তিনি সাধনা ( মেডিটেশন) করতেন৷

সাধনা করে তিনি যা পানঃ
মৃত্যুর পর রুহ,নফস, দেহ তিনটি আলাদা ভাগ হয়ে পড়ে৷ রুহ অমর৷ নফসের ধ্বংসের মাধ্যমে রুহের জাগরণ হয়৷ সাধনার মাধ্যমে মুহাম্মদ সঃ এই রুহকে নফস থেকে আলাদা করে ফেলেন৷ ফলে সব গোপন বিষয় জেনে ফেলেন৷ ফলে কুরআনকে কাফেররা মুহাম্মদের বানানো কিতাব মনে করত৷ কারন মুহাম্মদের কথা আর আল্লাহর কথা প্রায় এক৷আবার বক্তা হিসেবে মুহাম্মদ সাঃ নাকি আল্লাহ কে বক্তা তাও কুরআনে কনফিউশন তৈরি করে৷ কারন আত্মা আর পরমাত্মার সংযোগ খুব কাছাকাছি৷ আত্মাও পরমাত্মার মতো অবিনাশী৷

এই রুহই আল্লাহ৷ এর সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই৷ প্রানের জন্যে রুহের দরকার নেই৷ অন্যান্য প্রানীর শধু দেহ আর নফস থাকে৷ মানুষ ব্যাতিক্রম৷ তার মধ্যে রুহ ফুকে দেওয়া হয়েছে যা একেবারেই বাড়তি একটি জিনিস যা ধ্বংস বা শেষ হয় না৷ শুধু রুপ বদলায়৷ মানুষ বা ফেরেশতা বা যেকোনকিছুতে ভর করতে পারে এমন একটি আলোকরশ্মি যা আল্লাহর নূর৷ মানুষ মারা গেলে এই নুর আবার আল্লাহর হয়ে যায়৷ পরমাত্মার সাথে যোগ হয়ে পড়ে৷ এটা শাস্তিও ভোগ করে না বরং জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করে নফস৷ জান্নাতে যায় নফস মু ত মা ইন্না৷ কুল্লু নাফস জা ইকাতুল মাউত৷ নফস মরবে৷ রুহ নয়৷
মুহাম্মদ সাঃ জিবরাইল নামক যে ফেরেশতার সাথে দেখা হয় তাকেও রুহ বলে ডাকা হয়েছে৷ হয়তো জিবরাইল মুহাম্মদেরই আত্মা৷
আমরা শরীয়ত অনুযায়ী যেভাবে কুরআনকে মনে করি অনেককিছু আসলে তা নয়৷ বরং কুরআন রুপক ও মেটাফর৷ জাস্ট বুঝানোর জন্যে অনেক কিছু উদাহরন নিয়ে এসেছে৷

মোট কথা বিজ্ঞানের জগতে যদি অ্যারিস্টটল ও নিউটন থাকতে পারে তবে আধ্যাত্মিকতার জগতে কেউ থাকবে না ব্যপারটি এমন নয়৷ বস্তুত নাস্তিকরা চরম ধুকার মধ্যে রয়েছে৷ আর তারা সন্দেহে ফেলেছে শরীয়তের হুজুরদের৷ কারন কুরআন শরীয়ত ও মারেফত দুটি নিয়েই গঠিত৷
শরীয়ত অনুযায়ী হেরা গুহায় ধ্যান করার গুরত্বই ব্যখ্যা করা যায় না৷ আরো বহু কিছু যা পরে আরেকটি পোস্ট দিব


মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

সনেট কবি বলেছেন: জটিল বিষয়!

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: লেখাটি সংগ্রহে রাখলাম, পরে বিশদ চিন্তা ভাবনা করা যাবে।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

আমি রানা বলেছেন: চিন্তা করার অনেক রসদ আছে।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: শরীয়ত মারফত বাদ দেন।
শুধু প্যাচিয়ে লাভ কি?
কোরআন আর হাদীসের আলোকে জীবন যাপন করেন।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এগিয়ে যান । পরের পোষ্ট দিলে আমাকে নক করুন। পড়তে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.