নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পলিগেমি আহমাদ

পলিগেমি আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনকে শান্ত করাঃসেল্ফ হিপনোটাইজ ধর্মের মূল লক্ষ্যঃ

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

মনকে শান্ত করাঃসেল্ফ হিপনোটাইজ ধর্মের মূল লক্ষ্যঃ
যে কুপ্রবৃত্তিকে দমন করে তার স্থান জান্নাত (কুরআন)
ধর্মের জন্যে মানুষ নয়, মানুষের জন্যে ধর্ম
ধর্মের মূল বিষয় পরকাল নয় বরং মনকে শান্ত করে শান্তি লাভ করা৷ নফস ধোকাবাজ৷ নফস মানে মন৷ এর খারাপ দিক (কুপ্রবৃত্তি) মানুষকে ধ্বংস করে৷ সালাত (শরীর+ মনের মেডিটেশন) ও জিকির ( মনের মেডিটেশন) দ্বারা মনকে শান্ত করতে হয়৷
নিশ্চয় আল্লাহর জিকির মনকে শান্ত রাখে
(কুরআন)
মন অশান্ত হলেই খুন, ধর্ষন, ব্যভিচার, মন, চিটিং ইত্যাদির মাধ্যমে পৃথিবী অশান্ত হয়ে যাবে৷

কালবে সালিমঃশান্ত মনের জন্যে জান্নাত
নফসে মুতমাইন্নাঃ প্রশান্ত মনের জন্যে জান্নাত
সবর ও সালাতঃ
অবাক বিষয়৷ কুরআন বলে না আমি নামাযীদের সাথে আছি৷ বরং বলে আমি সবর কারীর সাথে আছি৷ কারন নামাযের উদ্দেশ্যেই ধ্যানের মাধ্যমে মনকে শান্ত করে সবরের শিক্ষা৷

ইসলাম অর্থ মনের শান্তিঃ
অশান্ত মনেই থাকে দোযখের অশান্তি৷ সবরের অভ্যাস উশৃংখল মনকে নিয়ন্ত্রনে আনে৷ নামাযের ধ্যান মনকে শান্ত করে৷
যার মনে শান্তি নাই সে ইসলামে নেই৷

মনকে চাইলেই বশ করা যায় না৷ এটি সাধকের জন্যে সহজ৷ মন থেকে চাইলেই কোন জিনিস বাদ দেওয়া যায় না৷ কিন্তু অন্য আরেকটি জিনিস দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায়৷ মনকে হিপনোটাইজ (বশ)
করা বেশ কঠিন

১) ধর্মের মূল আলোচিত বিষয় কোনটি?
পরকালীন শান্তি ও শাস্তি৷ তাহলে চৈত্রের গীত বৈশাখে গাওয়ার উদ্দেশ্য কি? মনকে ভয় দেখিয়ে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা৷
২)জাহান্নামের ভয় থেকে কিভাবে সান্তনা লাভ করবে?
যেমন কারও জ্বর হলো৷ সে চিন্তা করবে এতে তার পরকালীন গুনাহ মাফ হচ্ছে৷ দুনিয়াতেই তার সাজা হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে সে দুনিয়াতেই জ্বরের কষ্ট ভুলে যাবে৷
কুরআন পরকালের হেদায়তের জন্যে কোন কিতাব নয়৷ মৃত্যুর পর কুরআন পাঠের দরকার নেই৷

হিপনোটিজম কি?
১) কেউ কোন একটি মেয়েকে ভালোবাসতো, মেয়েটি রিফিউজ করায় ছেলেটি কষ্ট পেল৷ পরে আরেকটি মেয়ে পেয়ে গেল আগেরটি সহজেই ভুলে গেল৷মানে মন পরের টি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গেল৷ মনের পজেটিভ নেগেটিভ দুটি প্রান্ত আছে৷ দুটি একটি ব্যলান্স অবস্থায় থাকে৷
২)আধ্যাত্মিক কল্পনা করাঃ মনকে কন্ট্রোল করা যায়৷রাস্তায় সুন্দরী নারী দেখলে পুরুষের মনে শুন্যতা তৈরি হয়৷ মনে হয় ঐ নারীর মাঝে কি না জানি আছে৷
তাই রাস্তায় সুন্দরী নারী দেখলে ভাবুন আপনি আর ও একই জিনিস৷ দেহ দুটি কিন্তু আত্মা একই৷ ও-ই তো আমি৷ আমি কেন আমার জন্যে ব্যকুল হচ্ছি৷ আমিতো ওর থেকে আলাদা নই৷ আর সঙ্গমরত অবস্থাতেও আমার শরীরে আমি একাই৷
নারী পুরুষের আকর্ষন চিরন্তন তবে এটা তো নিজ নিজ মস্তিষ্কে অবস্থিত৷ এটাই মন৷ এটাই নফস৷
২) আপনি হয়তো কাউকে ঠকাবেন৷ দোকানদারকে ছিড়া নোট দিবেন৷ কিন্তু দোকানদার আর আপনি তো একই জিনিস৷ দেহ ভিন্ন৷ রুহ একই৷ আপনি তো আপনাকেই কম দিচ্ছেন৷
৷ আপনার রুহ দোকানদারের রুহ থেকে আলাদা কিছু নয়৷

৩) নফস খারাপ হলে দেহের উপরও প্রভাব পড়ে৷ আত্মহত্যাকারীর নফস খারাপ হয়ে যায়৷ ফলে দেহই ধ্বংস হয়৷ ব্যভিচারে নফস খারাপ হয় তখন বাচ্চাকে মানুষ ডাস্টবিনে ফেলে দেয়৷
ব্যভিচারে আল্লাহ ও রাসুলের কোন ক্ষতি হয় না৷ কিন্তু তোমাদের মন অশান্ত হয়ে পড়ে৷ বিবাহে মন শান্ত হয়৷ পুরুষের বহুবিবাহ উত্তম৷ কিন্তু এতে নারীর মন অশান্ত হয়ে যায়৷ তাই পুরুষকে বহুবিবাহের আগে নারীর মনকে হিপনোটাইজ(বশ) করে নিতে হয়৷ নবীর বহু স্ত্রী ছিল৷ তিনি তাদের বশ করে রাখতেন৷ দুনিয়ার সবচেয়ে হেয়ালি মন নারীদের মন৷ বশ করা কঠিন নয়৷

৪)রুহ হচ্ছে আমর বা রবের নির্দেশ৷ দেহ তা বাস্তবায়ন করে৷

৫) তুমি হয়তো সঙ্গীর খুজ করছ৷ কিন্তু শত সঙ্গীর মাঝেও তুমি তোমার শরীরে একাই৷ আর তোমার সঙ্গীগুলাও তোমার আত্মা থেকে আলাদা নয়৷ ভিন্ন শুধু দেহে৷ তাহলে তো তুমি তোমাকেই খুজে বেড়াচ্ছ৷এভাবেই তুমি নিজের মনে একাগ্রতা এনে অন্যকে বিসর্জন দাও৷ তারপর তোমাকেও তুমি বিসর্জন দাও৷ এবার সকলের আত্মাই তোমার আত্মা বলে কল্পনা কর৷

৬) সে প্রকৃত বীর নয় যে যুদ্ধে জিতে, সেই বীর যে রাগের মাথায় ধৈয্য ধরে৷ এর জন্যে দরকার নিজের মনকে বশ করা৷

সবগুলি কথার মূল কথাঃ
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরষ্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

ইকবাল সরদার বলেছেন: ব্যাপক শান্তির উপাদান ছয়টি; যথাঃ- (১) যৌবন, (২) স্বাস্থ্য, (৩) স্বচ্ছলতা, (৪) সৎসঙ্গিনী, (৫) সৎপরিবেশ ও (৬) স্বাধীনতা) , এই ছয় টি উপাদান এক সঙ্গে জান্নাতে পাওয়া যাবে। এই জগতেও শান্তি পাওয়া যায় তবে তা ক্ষণস্থায়ী।

জান্নাতে যেতে হইলে আপনাকে ইমানদার / বিশ্বাসী হতে হবে।

আবার সৃষ্টিকর্তা ও শেষ বিচার দিনে বিশ্বাস করলেও বিশ্বাসী হওয়া যায় না,আল্লাহ বলেন ২ঃ০৮"Among the people are those who say, “We believe in God and in the Last Day,” but they are not believers." তাই আল্লাহর কাছে ইমানদার হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে হবে।

বিশ্বাসীরা সৎকর্ম ও ধৈর্যের পরামর্শ দিবে । তাদের জিবনে সন্তোষটি ও শান্তি থাকবে, পরকালে ব্যাপক শান্তি পাবে।
কোনটা রুপক আয়াত কোনটা সরাসরি আয়াত তাহারা বুঝতে পারে, আরও বুঝতে পারে জীব আত্মা কি পরমাত্মা কি, আত্মার শ্রেণীবিভাগ কত প্রকার, সৎকর্ম কি? তাহারা খোঁজেন পরকালিন মুক্তির পথ ৪ঃ৪১ "Then how will it be, when We bring a witness from every community, and We bring you as a witness against these?"

সত্য সব সময়ই সুন্দর, যে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হউক না কেন সত্য অপরিবর্তিত থাকবে।সত্যের সাথে কিছু যোগ বা বিয়োগ করলে সেটা মিথ্যা হয়ে যায়।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: মন দিয়ে পোষ্ট টি পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.