![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট
পর্ব :০২
***দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী স্নায়ু যুদ্ধের চাকে ঢিল ছুড়লে যে ঝামেলা হতে পারে সে বিষয়ে অবগত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তৎকালের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন- উভয়ের কাছেই ছিলো বিপুল পরিমান আনবিক শক্তি। সেই সময় এই দুই শক্তি নিজ নিজ দর্শনের সংঘাতে ব্যস্ত ছিলো। এদের মধ্যে সেই সময় কারা বঙ্গবন্ধুর জন্য মিত্র ছিলো সেটা তিনি জানতেন। তবে তাঁর চিন্তা ছিলো এই পরাশক্তিদের কৌশলগত দাবার বোর্ডে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে।****
***এরইমধ্যে সেসময় বিশ্বযুদ্ধের কু-কর্মের ফলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজেদের সবচেয় ঘৃণিত সামরিক একনায়কতন্ত্র হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছিলো। যার সাথে অনেক বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যেত পাকিস্তানের, যার হাত থেকেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে মুক্ত করতে চাচ্ছিলেন। তাই এক কথায় বলা যায় যুক্তরাষ্টকে বাংলাদেশের এই অভিযানে কখনোই মিত্র হিসেবে পাওয়া যেত না। ইতোমধ্যেই আমারা পর্ব ০১ থেকে জেনেছি, পাকিস্তানের সাথে চীনের বারোমাসি মিত্রতার কারণে, তাদের বঙ্গবন্ধু মিত্র হিসেবে না পাওয়ার তালিকার প্রথমেই রেখেছে। আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই নেতিবাচক আবহাওয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্য সে সময় যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে সাবধানী না হয়ে উপায় ছিলো না। বিশ্বের তৎকালিন স্নায়ু যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিলো ভারতের সবচেয় বিশ্বাসী মিত্র ও কৌশলগত অংশীদার। আর ভারতের মত সবচেয় বড় গণতান্ত্রিক দেশের সমর্থন পাওয়া মানে বিশ্বের একটি পরাশক্তির সমর্থন পাওয়া, যা তৎকালে অত্যন্ত প্রয়োজন ছিলো বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য। আর সব চিন্তা ভাবনার পরই বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন ইন্দো-সোভিয়েত ইউনিয়নের কৌশলগত মিত্রতা শক্তিশালির এক বড় নিয়ামক। আর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এর ফলাফলই বলে দেয় বঙ্গবন্ধুর সূদূর প্রসারী সেই চিন্তা ও সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো না।*******
©somewhere in net ltd.