![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত 2.00 টা! শান্ত মেঘনা হঠাৎই অশান্ত হয়ে উঠল। প্রচন্ড বাতাসে মেহেন্দীগন্জ থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ টি দু পাশে দুলছে। (বরিশালের প্রধান রুটের লঞ্চ গুলোর মত অত শক্তিশালী নয় এটি )যে কোন মুহূর্তে অসংখ্য যাত্রী নিয়ে একদিকে কাত হয়ে ডুবে যেতে পারে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা যাত্রীরা দুঃস্বপ্নের মত চারিদিকে ছুটাছুটি করছে। মহিলা আর বাচ্চাদের ভয়ার্ত চিৎকার। লঞ্চ এর স্টাফ দের সাথে যুদ্ধ করে আমি আর আব্বু দুটো বয়া (পানিতে ভাসিয়ে রাখে) নিয়ে লঞ্চ এর ছাদে দাড়িয়ে আছি! আব্বু আমাকে শিখাচ্ছিল, "লঞ্চ যেদিকে কাত হবে তার উল্টো দিকে লাফ দিবি। কিরে বেটা ভয় পাচ্ছিস কেন! তুই সিপাই (সিপাহী) বাড়ির পোলা। আমার বাপ দাদারা বাড়ির সামনের নদী সাতরাইয়া এপার দিয়া ওপার যাইত! "হঠাৎ ই তিনি ভেঙে পড়লেন। আমাকে বললেন, বাবা আমি বুড়া হইয়া গেছি, পানিতে বেশিক্ষন না ও টিকতে পারি। আমার সৎ ভাইয়েরা আমারে অনেক ঠকাইছে। তারপর ও তোদের জন্য কষ্ট করে কিছু জমি করছি। তুই তোর বোন গুলারে পাওনা বুঝাইয়া দিস। ঠকাইস না। তোর মায় আমার জন্য অনেক কষ্ট করছে। তারে কইস আমার জন্য দুঃখ না করতে। তুই তারে কোন দিন কষ্ট দিস না। বাবা আমি অশিক্ষিত মানুষ। আমি চাই না তুমি আমার মত হও, তুমি শিক্ষিত পোলা হইয়া দেহাইয়া দিবা। আর তোমার এই বাপ টারে ভুইলো না। তুমি তার সব স্বপ্ন আছিলা। "সিগারেট আর চা একসাথে কিভাবে খেতে হয় ওইটা শিখাতে শিখাতে নদীর পারে বসে আমার খালাতো ভাই তার আর খালুর সেই রাতের ঘটনাটি আমাকে বলছিল। থামলে কেন ভাইয়া! দেখি ভাইয়ার চোখে পানি! "তারপর আল্লাহর ইচ্ছায় আস্তে আস্তে ঝড় থেমে গেল! আমরা নতুন জীবন পেলাম।"বলল সে।আমি আর খালাতো ভাই বাড়ি ফিরে এসে দেখি খালু খালি গায়ে মাচায় বসে বিড়ি ফুঁকতেছে! ডাক দিয়ে বললেন, "কি হঊরের (শশুরের) পুতেরা কই গেছিলা! আমার বেনছন দুইডা কম কা!!খালাতো ভাই বলল, "আমনেরে মাইষে প্যাকেটে কম দিলে আমি কিয়ারতাম! "ওরে হারামী! বলেই ভাইয়ার পিছনে খালি গায়ে খালুর দৌড়! বাপ ছেলে মাঠের ভিতর দিয়ে দৌড়াচ্ছিল, আমি মুগ্ধ চোখে তা দেখছিলাম!!!
বিঃদ্রঃ (আমি স্মোকার না! ওই এক দুই দিন ই! সিগারেটে আমারে ধরে না!!!! )
২| ২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
অনির্বাণ তন্ময় বলেছেন:
দ্বিতীয় ভালো লাগা।
আশা করি জলদি জেনারেল হয়ে যাবেন।।
হ্যাপি ব্লগিং।।
৩| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮
তানভীর এফ আখতার বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু একজন আরমান কে
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
তানভীর এফ আখতার বলেছেন: অনিরবান তন্ময়.আসলে ব্লগ এ নতুন .আর ও ভাল লেখার চেষ্টা করব.সাথে থাকুন
৫| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: এটা পড়ে একটা কথা মনে পড়লো,
কিছু দিন আগে আম্মা বাড়ী গিয়েছিলেন (ঝড় মহাসেন যখন হয় তখন)। নদীর অবস্থা খুব খারাপ। স্রোত আর ঢেউয়ে ফেরী নাকি প্রবল ভাবে দুলছিলো ( পরে শুনেছি একটানা ২৪মিনিট ঐ অবস্থা ছিলো)। তার মাঝেই সন্ধ্যা হয়ে গেলে আম্মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন " ও সোনা খুব ঝামেলায় আছি আমরা দোয়া কইরো, তোমার ভাইয়া বাসায় না ফিরলে সন্ধ্যার পর তালা দিয়ে বাড়িওয়ালার বাসায় যাইয়ো"
ঐরকম একটা মুহুর্তে নিজের চিন্তার চেয়ে বড় ছিলো মেয়ে বাসায় একটা ভয় পাবে ! এই কারনেই উনারা বাবা-মা
৬| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২০
তানভীর এফ আখতার বলেছেন: সত্যিই তাই . মা বাবার মত নি:স্বারথ ভালবাসা কে দিতে পারে .ধন্যবাদ নীল দরপন কে .
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
একজন আরমান বলেছেন:
বাবা-মায়ের ভালোবাসা ফিল করাটা বড় ব্যাপার।
সবাই এইটা ফিল করতে পারে না।
হ্যাপি ব্লগিং দোস্ত।