![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পটঃ ধানমন্ডি লেক সংলগ্ন পানসি রেস্তরার দক্ষিণ পাশ। সময়ঃ সন্ধ্যা ৭টা। তারিখঃ ২৮ এপ্রিল,২০১৩।
ঘটনাঃ একটা জরুরি মিটিং শেষ করে পানসি থেকে বের হয়ে দেখি লেকের রাস্তার ধারে একটা মেয়ে পড়ে আছে। প্রথমে অন্য কিছু ভেবে ইগনোর করে নিজের পথে চললাম কিন্তু একটু খেয়াল করে দেখি মেয়েটির পাশে একটি মোবাইল বেজে চলছে। একটু কাছে গিয়ে দেখার পর মনে হলো মেয়েটি লেখাপড়া জানা ঘরের মেয়ে আর সে কোন কারণে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ডেকে কোন সাড়া পেলাম না। মুঠোফোনটা হাতে নিয়ে দেখি “জান” নামক কেউ একজন ফোন করেছে, রিসিভ করলাম কিন্তু কোন কথা নাই; আমি দু’তিন বার বললাম এই ফোনটা যার সে অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছে কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নাই অপর পাশ থেকে এরপর থেকে “জান”(পুরুষ নামের অপুরুষ)-এর ফোনটা সুইজড অফ । এরপর আশেপাশে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়ে গেল এবং যথারীতি নানা ধরনের মন্তব্য শুরু হয়ে গেল কিন্তু যখন বললাম ভাই কেউ একটু সাহায্য করেন মেয়েটাকে তুলে ধরতে বেশিরভাগ মানুষই পিছিয়ে গেল। অবশেষে অপর একজন ব্যক্তির সাহায্য নিয়ে মেয়েটাকে একটা পরিস্কার জায়গায় শুইয়ে দিলাম। আশেপাশে খুঁজতেই মেয়েটির ছোট একটি ব্যাগ ও দু’পাতা ‘হিস্টাসিন’ ঔষধের খালি পাতা পেলাম। ব্যাগটার ভেতরে একটা আইডি কার্ড পেলাম যেখানে লিখা আছে মেয়েটির নাম ‘জান্নাতুল ফেরদৌস’ আর সে ঢাকার একটি পলিটেকনিক কলেজে অধ্যায়নরত।
মেয়েটির “জান”-এর ফোনটা সুইজড অফ দেখে মেয়েটির মোবাইল খুঁজে তার নিকট আত্নীয়দের নাম্বারে ফোন দিলাম এবং যাদের ফোনে পেলাম তাদের মেয়েটির বর্তমান অবস্থা জানিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসতে বললাম। আমি যখন ফোনে কথা বলছি তখন মেয়েটির জ্ঞান কিছুটা ফিরে আসতে শুরু করেছে। ঐ জায়গার ফুচকা বিক্রেতা জানালো যে মেয়েটি বিকেলের শেষ দিক থেকে এখানে বসে ছিল এবং কাউকে গালি দিয়ে বলছিল ‘কুত্তার বাচ্চা এখন না আসলে আমার লাশটা এসে নিয়ে যাস’। এমন সময় মেয়েটির নাম্বারে একটি ফোন আসে রিসিভ করি এবং জানতে পারলাম যে ফোন করেছে সে মেয়েটির বাবা, তাকে তার মেয়ের বর্তমান অবস্থা জানাতেই অপর পাশ থেকে তিনি কাঁদতে শুরু করেন। প্রচন্ড রাগ হলো মেয়েটির উপর; যে বাবা-মা তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন মেয়েটাকে একটু ভাল জীবন দেবার সে তাদের কথাটা না ভেবে কোন এক বালের “জান” যে কিনা হিজড়ার মত বিপদের সময় ফোন অফ করে বসে আছে তার জন্য জীবন দিতে বসেছে। ইচ্ছে করছিল কান টেনে ধরে দু’গালে থাপড়ায় আর বলি হিস্টাসিন খেয়ে কেউ মরে না, নাটক করো; বাবা-মা কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে খুব ভালো লাগছে এখন, তাই না?
মেয়েটাকে সাহায্য করার ইচ্ছাটাও মন থেকে চলে গিয়েছিল তাই সেই ফুচকাওয়ালা ও পাশের রেষ্টুরেন্টের কিছু লোকজন এসেছিল তাদের বললাম মেয়েটির ভাই আসলে ভাল করে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেয়ের বাবার সাথে কথা বলে তারপর মেয়েটিকে হ্যান্ডওভার করতে।
যখন চলে আসছিলাম তখন কয়েকটা কথা মনের ভেতর ঘুরেফিরে আসছিলঃ
এরা প্রেম বলতে কি বুঝে?
এরা কাকে “জান” বলে?
একজন সত্যিকারের প্রেমিক কি এতটা ক্যালাস আর দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে?
একটা মেয়ে কি করে তার পূজনীয় বাবা-মা এর কথা না ভেবে কোন এক আবাল এর জন্য জীবন দেবার চেষ্টা করতে পারে?
আত্নহত্যা কি কোন কিছুর সমাধান করতে পারে?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫১
তানজিমস্ বলেছেন: শায়মা বলেছেন: এই বোকা মেয়েগুলো বুঝেনা যাকে জান বলছে সেই তার জান কেড়ে নিতে পারে।
আপনার কথাগুলোর ভুরি ভুরি উদাহরণ চারপাশে; এরা কি প্রেমে এততাই অন্ধ যে সেগুলো চোখে পড়ে না?
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
ফারজানা শিরিন বলেছেন: এরা প্রেম বলতে কি বুঝে?
এরা কাকে “জান” বলে?
একজন সত্যিকারের প্রেমিক কি এতটা ক্যালাস আর দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে?
একটা মেয়ে কি করে তার পূজনীয় বাবা-মা এর কথা না ভেবে কোন এক আবাল এর জন্য জীবন দেবার চেষ্টা করতে পারে
উত্তর আমিও খুজতেছি !
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২
তানজিমস্ বলেছেন: একটা ফালতুর জন্য নিজেকেও ফালতু বানানো-টা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? নাকি লজিক জিনিসটা তথাকথিত প্রেম খেয়ে নিয়েছে?
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: এরা প্রেম বলতে কি বুঝে?
এরা কাকে “জান” বলে?
একজন সত্যিকারের প্রেমিক কি এতটা ক্যালাস আর দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে?
একটা মেয়ে কি করে তার পূজনীয় বাবা-মা এর কথা না ভেবে কোন এক আবাল এর জন্য জীবন দেবার চেষ্টা করতে পারে?
আত্নহত্যা কি কোন কিছুর সমাধান করতে পারে?
জানের জান্রে মানে যে হিস্টাসিন খেয়ে মরতাছিলো তারে জিগাইলে মনে অয় পাইলেও পাইতে পারেন।
এখনকার ওই "জান"তেই সীমাবদ্ধ, মনে ঢুকতে পারেনা, বেশি হলে শরীর পর্যন্তই।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
তানজিমস্ বলেছেন: প্রেমকে কলুষিত করা এইসব অপুষ্ট বুদ্ধির বিকৃত রুচির মানুষগুলোকে... ধিক শত ধিক।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: বেক্কলের দল। জীবনটা কি এতই সস্তা!
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০
তানজিমস্ বলেছেন: এসব সস্তা সেন্টিমেন্ট ওয়ালাদের জীবন সস্তা হতে পারে কিন্তু যারা এদের জন্ম দিয়েছে, বড় করেছে তাদের জীবনটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কে দিয়েছে এদের?
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০১
সাখাওয়াত০২ বলেছেন: এরা মরে গেলে খুব কী ক্ষতি হবে? মনে হয় না। এরা মরেও না বাবা মা কে কষ্ট দিতে ও ছারে না। মেয়ে জন্ম দিয়ে যেন বাবা মা ভূল করেছে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৫
তানজিমস্ বলেছেন: প্রেমকে কলুষিত করা এইসব অপুষ্ট বুদ্ধির বিকৃত রুচির মানুষগুলোকে... ধিক শত ধিক।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩
কেএসরথি বলেছেন: সাখাওয়াত০২ বলেছেন: এরা মরে গেলে খুব কী ক্ষতি হবে? মনে হয় না। এরা মরেও না বাবা মা কে কষ্ট দিতে ও ছারে না। মেয়ে জন্ম দিয়ে যেন বাবা মা ভূল করেছে।
আমার মনে হয় আপনি বলতে চেয়েছেন "এমন মেয়ে জন্ম দিয়ে যেন বাবা মা..." । কারন নিশ্চয়ই মেয়ে জন্ম দেয়ে ভূল নয়।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৭
তানজিমস্ বলেছেন: এসব সস্তা সেন্টিমেন্ট ওয়ালাদের জীবন সস্তা হতে পারে কিন্তু যারা এদের জন্ম দিয়েছে, বড় করেছে তাদের জীবনটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কে দিয়েছে এদের?
৮| ০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:২৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমার নিজের একটা ফিলোসফী হলো, মানুষ যখন নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পরে, তখন সে আত্মহত্যা করে।
তবে প্লেটোর একটা বই পড়ছি। নাম 'ফিডো'। এখানে বলা হলো এরকম। ধরে নিলাম যারা আত্মহত্যা করে বা মৃত্যূর মুখোমুখি হতে পারে তারা সাহসী। তারা সাহসী কেননা তারা ভীতু।
এইবার ব্যাপারটা খোলাসা করি। যারা আত্মহত্যা করছে। তারা মৃত্যূর চেয়েও ভংয়কর কিছু থেকে নিজেকে বাচাতে চাইছে। তাই আসলে তারা ভীতু।
জ্ঞান কপচানো আমার ইচ্ছায় ছিলো না। কিন্তু কি আর করা ঢেকী স্বর্গে গেলেও নাকি ধান ভানে। মেয়েটির জন্য এপিটাফ!
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: এরা প্রেম বলতে কি বুঝে?
এরা কাকে “জান” বলে?
একজন সত্যিকারের প্রেমিক কি এতটা ক্যালাস আর দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারে?
একটা মেয়ে কি করে তার পূজনীয় বাবা-মা এর কথা না ভেবে কোন এক আবাল এর জন্য জীবন দেবার চেষ্টা করতে পারে?
আত্নহত্যা কি কোন কিছুর সমাধান করতে পারে?
প্রশ্ন গুলো আমারও
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
শায়মা বলেছেন: এই বোকা মেয়েগুলো বুঝেনা যাকে জান বলছে সেই তার জান কেড়ে নিতে পারে।
কাজ নাই হিসটাসিন খেয়ে মরতে যায় যেন জান ছাড়া দুনিয়ায় আর কেউ নেই।
বাবা মা ভাই বোন সবার ভালোবাসা ভুলে জানের জন্য জান হারাতে চায়।