নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি জানবে আমায়? আমি ভেসে গেছি পদ্মপাতায়। ডুবে গেছি পৃথিবীর নিদারুণ অবহেলায়। ফেইসবুক https://www.facebook.com/tanzir.khan.3

তানজির খান

মানুষ হওয়ার সাধনা আমার চির বহমান, যদি চূড়ান্ত নিশ্বাসেও না হতে পারি তবে ক্ষমা করো বিধাতা, ক্ষমা করো হে প্রভু আর রহমান। ক্ষমা করো তোমরা যারা পেয়েছো আঘাত, তোমরা যারা পাবে অথচ থাকবে নিরাপরাধ।

তানজির খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাকে কাজ দাও, আমি ভাত খাব

২৫ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

লেখার শিরোনাম কেমন হলো আমি জানিনা। জানিনা কেউ এই লেখা পড়বে কিনা বা প্রকাশ হবে কিনা। তবে আজ আমাকে এই লেখা লিখতেই হবে। লিখতেই হবে আমরা বেকার যারা তারা কিভাবে বেঁচে আছি। আমি জানি কেউ কোন দিন আমার দরজায় নক করে কাজ দেবে না। তাই আই.বি.এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম বি এ শেষ করেই ঢাকায় চলে এসেছিলাম। যখন এই লেখা লিখতে বসেছি তার আগে অর্থনীতিতে বেকারত্ব বলতে পুস্তকিয় ভাষায় আর কি কি বোঝায় তা জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়েছিলাম। সাথে সাথেই মনে হলো এই মূহুর্তে আমার চাইতে বেশী কেইবা জানবে বেকারত্ব কি? বিজনেসের ছাত্র হিসাবে যা জানি সে তো জানাই আছে। তবুও একটি সঙ্গা তুলে দিলাম এখানে, যেটা http://www.investopedia.com থেকে নেয়া ”Unemployment occurs when a person who is actively searching for employment is unable to find work. Unemployment is often used as a measure of the health of the economy. The most frequently cited measure of unemployment is the unemployment rate. This is the number of unemployed persons divided by the number of people in the labor force”

স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে একটি অর্থনীতি কতটা শক্ত অবস্থানে আছে তা বোঝা যায় বেকারত্বের হার দেখে।এই মূহুর্তে যে কথাটা বারবার শুনছি সেটা হলো আমাদের প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে ছয় হয়েছে।তার মানে অতীতের চাইতে অনেক ভাল আছি অর্থনৈতিক ভাবে। কিন্তু যখন নিজের দিকে তাকাই,যখন বাসা ভাড়া নেবার জন্য বাড়িওয়ালা আসে,যখন বাজারে যাই তখন বুঝি অর্থনীতি কোথায় আছে! এমন হতে পারে আমি একাই অপদার্থ তাই হয়ত জীবনের সব দাবী মেটাতে ব্যার্থ হচ্ছি। কিন্তু যখন চারপাশে চোখ বুলাই তখন বুঝতে পারি একজন নই আরো আছে ভুড়ি ভুড়ি।যখন চাকরীর ইন্টারভিউ দিতে যাই তখনও বুঝতে পারি আমি একাই বেকারত্ব নামক গ্রহের বাসিন্দা না। তাহলে কি এত সব আদম সন্তান এই পৃথিবীতে বাচবে না? আমাদের কি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে আসতে হবে? মাননীয় রাষ্ট্র যন্ত্র তাই করুন দয়া করে আমাদের কাজ দিন নয়তো বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে আসেন।
ঢাকা আসার পরে জীবন নিয়ে যখন অথৈ সাগরে তখন বুঝতে শুরু করলাম কেন নজরুল বলেছিল ”হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান”। বাসা ভাড়া আর ক্ষুধার জ্বালায় এই সান্ত্বনা বাক্য বলা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। হে মহান কবি আপনি এই কবিতা না লিখলে আমি সান্ত্বনা পাবার জায়গাটাও হারাতাম। অনেক কিছু হতে চেয়েছিলাম কিন্তু কিছুই হতে পারি নাই।এম বি এ শেষ করে ঢাকায় এসে চাকরীর প্রস্তুতি নিয়ে চলেছি। সরকারি ব্যাংক ও বেশ কয়েকটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয় নাই। সাক্ষাতকারের পর ফলাফল সিটে নিজের নাম না দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত হয়ে পরেছি।
বিজনেসের ছাত্র হওয়ায় ব্যবসার প্রতি কিছুটা ঝোঁক ছিল কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ ও মূলধনের অভাবে করতে পারছি না। আমার খুব ইচ্ছে ছিল শিক্ষকতা পেশায় থাকার তাই কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতাম।বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। তার কয়েকটিতে খুব কাছে যেয়েও নিয়োগ পাই নাই। শেষ পর্যন্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে চাকরী নিয়েছিলাম লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হয়ে।ভেবেছিলাম লেখালেখি আর আর শিক্ষকতা করেই জীবন পার করে দিব। এক বছর চাকরী করার পর যখন সিনিয়র হলাম,অনেক দায়িত্ব পেতে শুরু করলাম। সকল ছাত্রছাত্রীর কাছে ইতিমধ্যে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছি। আমার খুব ভাল লাগছিল দায়িত্ব পালন করতে। তখন সেই সাথে কিছু অসঙ্গতি চোখে পরেছিল যা জুনিয়র থাকা অবস্থায় বোঝা সম্ভব ছিল না।অনেক চেষ্টা করেছিলাম সেগুলো ঠিক করতে। শেষ পর্যন্ত নীতির সাথে আপস করি নাই। চাকরি ছেড়ে দিলাম। সবাই বললো ভুল করলে, আমি বললা করলাম না হয় একটা ভুল।আমার প্রয়াত বাবা বলতেন সৎ ও সত্যকে আকরে থাকবে। সে কথা আমি রেখে চলেছি এখনও পর্যন্ত তাই যখন ব্যাংকে ভাইবা দিলাম, আমার সাথের বন্ধুরা আরো অনেক কিছুর পেছনে ছুটেছে চাকরী নিশ্চিত করবার জন্য আমি তখন বি বি এ,এম বি এ এর বই সহ নানান বই হাতে বসে ছিলাম ছোট্ট রুমে ইট পাথরের ঢাকায়।বেশ কয়েক মাস হলো কর্মহীন হয়ে বসে আছি।শিক্ষকতা পেশাতেই থাকতে চাই তাই এখনও চেষ্টা করছি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার। তবে সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন হওয়া কঠিন বুঝে গেছি এই কিছু দিনেই। দিন দিন প্রদীপের তেল শেষ হয়ে আসছে,আর বড় জোর কয়েকদিন তারপরেই সব বিলীন হবে আমার।
আমি যদি এই লেখাটা বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে মেইল করে আত্নহত্যা করি তবে আগামীকালই বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে খবর আসবে। শিরোনাম হয়তো হবে ”বেকারত্বের কষ্টে যুবকের আত্নহত্যা”।ফেইসবুকে প্রথম সারির পত্রিকা ও ভুইফোড় পত্রিকার খবরের অনলাইন এডিসন শেয়ারের পর শেয়ার হবে। কিন্তু বেঁচে থাকতে চাকরী পাব না আমি। না আমি আত্নহত্যা করছি না। আমি একজন যোদ্ধা। আমি সব শেষ দেখতে চাই,শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব। মাঝে মাঝে মনে হয় চিৎকার করে বলি ”জিডিপি এর প্রবৃদ্ধির কি হবে আমি জানিনা,ঢাকার শহরের যানজট কমাতে আর কয়টা ওভার ব্রীজ লাগবে আমি জানিনা,আর কয়টা বাংলাওয়াস হলে রেকর্ড হতো আমি জানিনা। আমি কাজ চাই যোগ্যতা অনুযায়ী,আমি ভাত খাব।”

লেখকঃ তানজির খান
কবি,ব্লগার ও উচ্চ শিক্ষিত বেকার
[email protected]

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

অগ্নিবীণা! বলেছেন: চরম বাস্তবতা!

২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

২| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাবিল বলেছেন:

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাবে সত্য কথা লিখেছেন।

২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫১

তানজির খান বলেছেন: সব দুঃখ কষ্ট লেখালেখির মাধ্যমেই শেয়ার করি। ধন্যবাদ ভাই

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

নীল আকাশ নদী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কিন্ত আপনাকে মাস্টার অব নান বলে মনে হচ্ছে। ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, A rolling stone gathers no moss. অনেকেই আউটসোর্সিং করেও ভালো আছে। এজন্য চাই একাগ্রতা। আমিও চাকরির পাশাপাশি আউটসোর্সিং কিছুদিন করেছি। দেখিছি উখানে লেগে থাকলে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।

২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩০

তানজির খান বলেছেন: যা ইচ্ছে বলতে পারেন নীল আকাশ কারন আমি আছি শোনার জন্যে। আমার প্রতি পৃথিবীর অবহেলা শয্য হয়ে গেছে। ভাল থাকবেন দোয়া করি।

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি কাজ চাই যোগ্যতা অনুযায়ী,আমি ভাত খাব। কষ্টময় সুন্দর বলেছেন। আমাদের দেশে যোগ্যদের ভাত নেই, সব যাবে অযোগ্যদের দলে। ভেঙ্গে পড়বেন না ভাই, একদিন আপনার এই খারাপ সময় শেষ হবেই। বিশ্বাস রাখুন, আর ভিন্নতর কিছু করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পরিচিত সব সোর্সে যোগাযোগ করুন। আপনার জ্ঞাতার্থে বলি, বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানি কমবেশি রিকম্যান্ডেড সিভি দেখে ভাইভা কল করে এবং সেখান হতে নিয়োগ চূড়ান্ত করে। বিশেষ করে বিজনেস গ্রাজুয়েট যেহেতু, সেহেতু এটা আরও বেশী হবে।

পবিত্র মাসে আপনার জন্য দোয়া রইল, আল্লাহ্‌ আপনার দুরাবস্থা অতিদ্রুত দূর করে দিন। তার সাথে আপনি নিজেও আপনার নিজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভুলত্রুটিগুলোকে শুধরে নিবেন আশা করি। আমরা যারা চাকুরীজীবী, তাদের বেশীরভাগ সময় কম্প্রোমাইজ করে চলতে হয়, কমবেশি সবার।

অনেক কথা বললাম, মন খারাপ হয়ে গেল আপনার লেখা পড়ে, তাই বলা। আমার যদি সামর্থ্য থাকত আমি আপনার জন্য একটা চাকুরীর ব্যবস্থা করতাম অতি অবশ্যই। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৪৮

তানজির খান বলেছেন: বলেছেন: আপন মানুষগুলোও অনেক পর হয়ে গেছে এই দূরবস্থায়। আপনার কথাগুলো অসম্ভব ভাল লাগলো। অনেকদিন এত আপন করে বলা কথা আমি শুনি নাই ভাই। এত আপন করে কেউ আমাকে সমালোচনা করে নাই। আমার ভুল ত্রুটি ঠিক করার বিষয়ে আরো বেশী মনযোগী হবো ,আপনাকে কথা দিলাম। কিছুক্ষন পরেই সেহরী খাব তার আগে এমন দোয়া আমার অনেক কষ্ট কমিয়ে দিলো। আল্লাহ নিশ্চই সব কিছু জানেন। আমার জব হলে আমি আপনার লেখায় জানিয়ে আসবো। এমন অনুপ্রেরণা অপরিচিত হয়ে গিয়েছিল আমার কাছে। বেচে থাকার উৎসাহ হয়ে থাকবে আপনার বলা কথা গুলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৬| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৫৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনি যেহেতু বিজনেস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্ট, আপনাকে বলি। ঢাকা ভার্সিটি থেকে এমবিএ করা, সিএমএ (কষ্ট এন্ড ম্যানেজমেণ্ট একাউণ্টেণ্ট) কম্পলিট হতে জাস্ট একটা সাবজেক্ট বাকী আছে, পাঁচ বছরের জব এক্সপেরিয়েন্স আছে, আপনার মত মানিয়ে না নিতে পেরে জব ছেড়ে দিয়ে দেড় বছর যাবত বেকার বসে আছে। বিশ্বাস হয়? এটাই বাস্তবতা। তাই নাথিং টু লুজ অর ওরি, উপরে আল্লাহ্‌ আছেন, উনি নিশ্চয়ই আপনার ভাগ্যে আরও ভালো কিছু রেখেছেন, এখন ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন।

ভালো থাকুন। :)

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১২

তানজির খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই অনুপ্রাণিত করবার জন্য।

৭| ২৬ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: অর্থনীতির সব সুত্রই আমাদের দেশে অচল,আপনার খোলাচিঠি পড়ে আর বাজারের হাল দেখে তাই মনে হচ্ছে।।
না ভাই,এতো ভেঙ্গে পড়ার কিছুই নেই।। এই আমি কোন একসময় একটা ডালপুড়ি খেয়ে সারাদিন কাটিয়েছি।। এমন কোন কাজ নেই,যা করি নি।। মিটফোর্ড থেকে পাইকারি ঐষধ কিনে তা বিভিন্ন জেলায় বেচতে যাওয়া থেকে শুরু করে ৪/৫টা সেলাই মেশিন কিনে মৌচকের দোকানে অর্ডারী সার্ট সাপ্লাই দেয়া থেকে লন্ড্রির ব্যাবসা পর্যন্ত করেছি,কোথাও সুস্থির হতে না পেরে।। কিন্তু নাগালের মাঝে "সব থাকা" সত্বেও হাত না বাড়িয়ে একাই চলেছি এবং আজো চলছি।। আপনি আগে লক্ষ্যস্থির করুন তারপর শুরু করুন সেই অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পথ চলা।। দেখবেন একদিন ঠিকই সেখানে পৌছে গেছেন।। হয় একটু আগে না হয় একটু পরে কিন্তু পৌছুবেনই।। সে পর্যন্ত ভাল এবং সুস্থ থাকুন এই কামনায়।।

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

তানজির খান বলেছেন: এমন সংগ্রামী জীবনের উদহরণ দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য ধন্যবাদ ভাই

৮| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

হাবিব কবি বলেছেন: কবিদের জীবন কষ্টের। দেশ বা আন্য কাউকে দুষারোপ না করাই ভাল। ওডেস্ক এ ফিলান্স্যারের কাজ করুন। প্রথমে ডাটা এন্টি দিয়ে শুরু করুন। তারপর আপনার ক্রিয়েটিভ কাজে লাগান। ১-২ মাসেই সাফল্য আসবে ইনশাল্লাহ।

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

তানজির খান বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাই

৯| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: একটি সত্য কথা বলি রেগে যাবেন না।যদি কেবল চাকরিকেই পেশা হিসেবে নিতে চান তবে লজ্জা বা অহংকার না করে অপেক্ষাকৃত কম বেতন(যে টা হলে এই মহুর্তে আপনার মোটামুটি চলবে) অথবা অপেক্ষাকৃত ছোট পদে কোন কোম্পানীতে কিছুদিন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তারপর কাংখিত পদে আবেদন করুন।শিক্ষাগত যোগ্যতায় যে চাকরি আপনার প্রাপ্য মনে করে ঘুরছেন এটাও চাকরী পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা বলে মনে করুন।

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২০

তানজির খান বলেছেন: না না রাগব কেন? আপনাকে পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাই

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কয়েক মাস পরে আমার বিবিএ শেষ হবে । হয়ত এমবিএ করা হবেনা । একজন সম্ভাব্য বেকার হিসেবে আপনার কষ্ট বুঝতে পেরে ব্যথিত হলাম । যাহোক, আশা করি, অতিসত্বর কিছু একটা করতে পারবেন আপনি । শুভ কামনা রইলো ।

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

তানজির খান বলেছেন: সহমর্মিতা জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই

১১| ২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

বাংলার ডাকু বলেছেন: আমার কথগুলই মনেহয় আপনি বলেদিলেন ”জিডিপি এর প্রবৃদ্ধির কি হবে
আমি জানিনা,ঢাকার শহরের
যানজট কমাতে আর কয়টা ওভার
ব্রীজ লাগবে আমি জানিনা,আর
কয়টা বাংলাওয়াস হলে রেকর্ড
হতো আমি জানিনা। আমি কাজ
চাই যোগ্যতা অনুযায়ী,আমি
ভাত খাব।”

২৬ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

তানজির খান বলেছেন: সমবেদনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই

১২| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার এবং বাস্তব কথা বলেছেন। আসলে যে কোন জবই ঝামেলার। তার মধ্যে আছে, জব পলিটিক্স। সৎ থাকতে না পারা। কারণ আপনি ঘুষ না খেলে ওরা খেতে পারবে না।

আশা করি, সৃষ্টিকর্তা আপনার পাশে থাকবে।

শুভ কামনা রইলো।

২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

তানজির খান বলেছেন: শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ ভাই

১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশে যে ছেলেটি পাতি মাস্তান , সে ছেলেটি বিদেশ গেলে হয় দক্ষ শ্রমিক । দেশে থাকলে যে যেতো ক্রসফায়ারে সে বিদেশ গিয়ে এখন ফরেন কারেন্সির জোগানদার ।
এদেশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেধাবীদের মুল্যায়ন করেনি ।
স্টীফেন হকিং এদেশে জন্মালে আজিমপুর গোরস্থানে ভিক্ষা করা ছাড়া গতি ছিল না ।
তার পরও বলছি হতাশ হবার কিছু নেই ।
''একদিন ঝড় থেমে যাবে , পৃথিবী আবার শান্ত হবে ।''
সব কিছুর শেষ আছে , বেকারত্বেরও । আপনার জন্য শুভ কামনা ।

২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

তানজির খান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর করে শুভ কামনা জানানোর জন্য।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

রিকি বলেছেন: দয়া করে আমাদের কাজ দিন নয়তো বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে আসেন। ভাই আমাদের মত বেকার গোষ্ঠীর বঙ্গোপসাগরেও জায়গা মিলবে বলে মনে হয় না !!!!! :(

১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: রেজাল্টের আগেই চাকরী পাইছি, বেকার থাকা কি জিনিস নিজে বুঝিনাই। তবে আমার বড় ভাই আমার চেয়ে অনেক শিক্ষিত হওয়ার পরেও অনেকদিন লাগছে একটা পর্যায়ে আসতে। ৫ হাজারের চাকরী দিয়া শুরু, ২-৩ বছর এইভাবে, এরপর প্রায় ৫ বছর ২০-২২ হাজারে। এখন প্রায় ১০ বছর পর এই বছর ৮০ হাজারে ঢুকলো। মামা চাচার মত ভাগ্যও বড় ব্যাপার। আমার যেমন কিছুই লাগেনাই কিন্তু ওর যোগ্যতা বেশি থাকা সত্তেও অনেক বেশি কস্ট করছে। দেশের মধ্যে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্র ছিলো, আর আমি টাইনা টুইনা পাস হইয়াও ভুগিনাই। প্রথম চাকরী খুব কম বেতন হইলেও ঢুইকা পরলে ভালো। সম্মানের নাম কইরা সময় নস্ট কইরেননা। জব এক্সপেরিয়েন্স একটা বড় ব্যাপার।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:১৬

রঈসুল ওমর বলেছেন: ভাইয় আপনার পোস্ট দেখে ক্যারিয়ার নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। আইন বিভাগ, ১ম বর্ষ।

১৭| ২৯ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:১৭

রঈসুল ওমর বলেছেন: ভাইয়া, আপনার পোস্ট দেখে ক্যারিয়ার নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। আইন বিভাগ, ১ম বর্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.