নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর ওয়াস্তে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা পাঠাবেন না। সৌদি আরব বাংলাদেশের ভিসা চালু করছে এটা খুশির খবর হলেও অবস্থাদৃষ্টে এবং আমাদের শ্রমমন্ত্রীর কথাবার্তা শুনে বুঝা যায় আপাতত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকা পাঠানোই প্রধান টার্গেট এবং এ ব্যপারে উভয় দেশের মধ্যে সাক্ষরিত চুক্তিতেও কেবল গৃহপরিচারিকার বেতনকড়ির বিষয়ই সুস্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে যে, গৃহপরিচারিকা বা কাজের বুয়া পাঠানোই মূল টার্গেট।
মাহরাম ছাড়া কাজের জন্য মেয়েদের দুরদেশে যাওয়া বা পাঠানো হারাম এবং জঘন্য অপরাধ। সেটি একটি দিক। এছাড়াও ইতিপূর্বে আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং লিবিয়া সহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকাদের করুণ দশার কথা আমরা সবাই জানি। কোন ভীনদেশী নারী যখন সহায়-সঙ্গী ও আপনজন থেকে হাজার হাজার মাইল দুরে আপনার বাড়িতে অনেকটা বন্দির মতো থাকবে, তখন তার ইজ্জতের নিরাপত্তা কতখানি থাকতে পারে? অন্যায়ের সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি হলে আজন্ম ভালুমানুষেরও কু-প্রবৃত্তি জেগে উঠে। এটা মানুষের সহজাত বিষয়। সুতরাং কোন ধরণের প্রোটেকশনই নেই, এমন কোন স্থানে মেয়েদের কাজের জন্য পাঠানো মানে তাদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া।
এসব গৃহপরিচারিকারা পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে এমনসব অপরাধ সংগঠিত করে থাকে, যা দেশের বদনাম ছাড়াও অন্য সাধারণ প্রবাসীদের জন্য বিপদ ডেকে আনে। সৌদি শ্রমবাজারে থাকা অন্য সব দেশ যেখানে গৃহপরিচারিকা পাঠানো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে নিছক রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই কাজটি আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। আসলে সরকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়ে তাদেরকে ময়লার মত ড্রেনে ফেলছে! সুতরাং আমাদের দেশ থেকে আর যা হোক, যেন কোন গৃহপরিচারিকা না আসে। কারণ এর ভালো দিকের চেয়ে খারাপ দিকই বেশি। সাধারণ নাগরিকদের প্রয়োজন/চাহিদা এবং অন্যসব দেশের হাত গুটিয়ে নেওয়ার ভিত্তিতেই সৌদি সরকার বাংলাদেশের দারস্থ হয়েছে। আমাদের উচিত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।আমার ফেসবুক
লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
তার ছিড়া আমি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই, তাহলে বুঝবে জ্বালাটা কোথায়!
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২০
প্রামানিক বলেছেন: আস্তাগ ফেরুল্লা।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২
তার ছিড়া আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার আশপাশের লোকদের জানিয়ে দিন।
.......... হতে পারে আপনার কথার কারনে কোন এক মা-বোন এই ভয়ানক বিপদ থেকে বেচে থাকতে পারে।
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২২
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
"আসলে সরকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়ে তাদেরকে ময়লার মত ড্রেনে ফেলছে! সুতরাং আমাদের দেশ থেকে আর যা হোক, যেন কোন গৃহপরিচারিকা না আসে। কারণ এর ভালো দিকের চেয়ে খারাপ দিকই বেশি। সাধারণ নাগরিকদের প্রয়োজন/চাহিদা এবং অন্যসব দেশের হাত গুটিয়ে নেওয়ার ভিত্তিতেই সৌদি সরকার বাংলাদেশের দারস্থ হয়েছে।"
সহমত।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
তার ছিড়া আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
তবে আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিলে আরোও খুশি হব।
৪| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪
আশালিনা আকীফাহ্ বলেছেন: হুম, বিগত সময়ে অনেক মহিলা গৃহপরিচারিকা হিসেবে বিদেশে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছে যাদের চোখের জল টিভি পর্দায় দেখেছি। আমাদের দেশের গ্রামের সরল মহিলারা না বুঝেই এমন অফার লুফে নেয় আর পরিণতি হয় কষ্টের যার দায়ভার নেয়ার মতো কেউ থাকেনা ॥
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
তার ছিড়া আমি বলেছেন: বুঝতেই পারছেন, এ ধরনের বিপদ থেকে আমাদের মা-বোনদের সতর্ক করার দায়িত্ব আমাদেরই।
সো, যারা জানেনা তাদের জানিয়ে দেয়া আপনার/আমার সকলের দায়িত্ব।
তারপরও জেনে-বুঝে যদি কেউ যায়, সেটা হবে তার ব্যাপার।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত কর।
৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৬
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: বুয়া শ্রেণির বুদ্ধিবৃত্তির মন্ত্রী হলে তাদের মাথা থেকে বুয়া পাঠানোর চুক্তি করার চেয়ে কিছু আশা করা যায় না... এইটাই তাদের যোগ্যতা...
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
তার ছিড়া আমি বলেছেন: হুম... যথার্থই বলেছেন
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুধু সৌদি আরব নয়, মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশেই নারী গৃহ পরিচারিকা পাঠানো উচিত হবে না। যার যার অবস্থান থেকেই এই উদ্যোগের বিপক্ষে জনমত তৈরি করা উচিৎ।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
তার ছিড়া আমি বলেছেন: যার যার অবস্থান থেকেই এই উদ্যোগের বিপক্ষে জনমত তৈরি করা উচিৎ।
৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৯
অন্ধ আইন বলেছেন: সুন্দর কখা বলেছেন ভালো লাগলো
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
তার ছিড়া আমি বলেছেন: ধন্যবাদ।
সবাইকে জানিয়ে দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা পাঠানোর কথা ভাবছে, তাদের স্ত্রীদের পাঠানো হোক।