![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ মধে্যবৃত্ত এবং নিন্ম আয়ের ।নুন আনতে অনেকেরই পান্তা ফুরায়,পেটের তাগিদে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মা,বাবা,স্ত্রী,ছেলে-মেয়েদের অন্ন যোগায়।সামনে ঈদ ,ঈদের সময় সবাই চায় ভালো খাবার,জামা-কাপর কিন্তু তা কি সবার পক্ষে সম্ভব?
দেশে বহু শিল্পপতি ও ধনুকুব লোকের অভাব নেই,যাদের আছে বড় বড় কল-কারখানা,তাদের টাকার ও শেষ নেই,তারা জানে না তাদের কত টাকা দেশ ও বিদেশের ব্যাংকে জমা আছে।আর এই সব টাকা উপার্জনে শ্রমিকেররা মুখ্য ভুমিকা পালন করছে,শ্রমিক সারা দিন এমনকি রাত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মালিকের জন্য কাজ করে বস্তা বস্তা টাকা মালিকের হাতে তুলে দিচ্ছে।বিনিময়ে তারা কি পাচ্ছে?এমন প্রশ্নের উত্তর কত জন মালিক দিতে পারবে।মালিকরা দিতে পারুক আর নাই পারুক প্রাচীন সভ্যতা থেকে আজ অব্দি সভ্যতা ক্রমবিকাশের পর থেকেই দেখতে পাচ্ছি শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিত,ইতিহাস স্বাক্ষি।বহিবিশ্বের দিকে নাই বা তাকালাম,তাকিয়ে দেখি আমাদের সোনার বাংলার দিকে,কেমন আছেন আমাদের মালিক ও আমাদের শ্রমিক গোষ্ঠি।ফিরে দেখি ২৪ এপ্রিল ২০১৩ সকাল ৮:৪৫ এ সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে।ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে। এ দূর্ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।সাধারণ জনগণ, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালায়। ভবনটিতে পোশাক কারখানা, একটি ব্যাংক এবং একাধিক অন্যান্য দোকান ছিল, সকালে ব্যস্ত সময়ে এই ধসের ঘটনাটি ঘটে।ভবনটিতে ফাটল থাকার কারণে ভবন না ব্যবহারের সতর্কবার্তা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছিল।এর মাত্র পাঁচ মাস আগে ঢাকা পোশাক কারখানায় একটি বড় অগ্নিকান্ডের পর এই দুর্ঘটনাটি হয়, যেটি বাংলাদেশে ঘটা সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল দুর্ঘটনা।
এই ঘটনার পর ও আমাদের শ্রমিকরা পেটের ক্ষুধা নিবারনের জন্য ভয় ভীতি উপেক্ষা করে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ১০ জুলাই ২০১৫ এই দিন টা ধনকুবের জয় হল আর গরীবের কাফনের কাপর জুটলো, সারা বছর যাকাত/দান করার কোন ভুমিকা বা অনুভব,অনুভুতি নেই এই সব ধনী ব্যাক্তির মনে,রমজানের ঈদ আসলে যাকাতের জন্য পাগল হয়ে উঠেন কিছু ধনকুব।ইহা কেবল মাত্র লোক দেখানোর জন্য।তাই আজ ময়মনসিংহের নুরানী জর্দা কারখানায় যাকাতের কাপর আনতে গিয়ে ২৩ জন মারা গেছেন,এই নুরানী জর্দা কারখানার মালিক শামীম তালুকদার প্রতিবছর ঘটা করে যাকাতের কাপর বিলি করেন।
সতি্য বলতে আমাদের সমাজের ধনীরা জোঁকের মত অসহায় গরীব শ্রমিকদের রক্ত চুষে দিন দিন মোটা হচ্ছেন,তারা হলেন রক্ত চুষা জোঁকক,তাদের আচরন জোঁকের ন্যায় অথবা জোঁকের চাইতে নিকৃষ্ট ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪
সুমন কর বলেছেন: সহমত। কিন্তু, এ সবের প্রতিকার আমরা কি দেখতে পাবো?