নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

তারেক সালমান জাবেদ

কবি

তারেক সালমান জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনার দেশের সোনার ছেলে হোক সে বখাটে কিংবা পুলিশ

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৬



এই হলো আমাদের সোনার দেশ, নাম বাংলাদেশ। এই দেশের বর্তমান মানবতা চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে,আমরা আদিম যুগের দিনে চলে যাচ্ছি চলে যাচ্ছি আরবের জাহেলাতি যুগে,আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে এখন আর সোনার মানুষ নেই,নেই মানবতার বিন্দু পরিমান কিছু,আমি কি লিখতে চাচ্ছি তা কিভাবে লিখবো তার ভাষাগত দিক দিয়ে প্রকাশ করে বুঝাবার মতো লেখক বা ক্ষমতা আমার নাই, তবু বিবেকের তারনায় কিছু লিখে মনকে হাল্কা করার চেষ্টা করছি।

পত্রিকার সূত্র ধরে-

টাঙ্গাইলে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ।পুলিশ এতে ৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৫০ জন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক (৩২) ও কালিয়া গ্রামের আলহাজের ছেলে শামীম (৩৫)। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাফুজা ইয়াসমিন দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে ধর্ষকের বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে বিক্ষোভ বের করে ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পুলিশ তাতে বাধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে। এতে প্রায় ১০জন গুলিবিদ্ধ হন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাসপাতালে আনার পর দুজনের মৃত্যু হয়। কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রেমিকের মাকে সালিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সড়ক অবরোধ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ। আর তারই জের ধরে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এলাকাবাসী কালীহাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ করে। পরে তারা টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধ ওঠাতে গেলে অবরোধকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়ে মারে। সে সময় তারা এক পুলিশ সদস্যকে আটক করে মারধর করতে থাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে অবরোধকারীদের ধাওয়া দেয়। এসময় পুলিশ অবরোধকারীদের হঠাতে লাঠিপেটা, প্রায় ৬০ রাউন্ড গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে এক নারীসহ ছয় ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া আরো প্রায় ৫০ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহতদের কালীহাতী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন জনের মৃত্যু হয়। এদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকাবাসীর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, রাস্তায় আগুন জ্বালানো এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। -

এসব ঘঠনার কারণ কি? আমাদের দেশের সুশিল সমাজের লোকেরা আজ কোথায়? কোথায় আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ,আমরা আমাদের মন-মানষিকতা এতো নিচে নেমে এনেছি কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারবে কি-পারবে বলে মনে হয় না, শাহবাগের গনজাগরন আজ কেন জাগরিত হচ্ছে না, এসব ঘটনার একটি কারণ হলো সরকার আজ পুলিশ ও তার দলের কিছু লোকের কাছে জিম্মী হয়ে আছে তাই,পুলিশের উপর নির্ভরশীল সরকার পুলিশ বাহীনি কে নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা,পুলিশ আজ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে,দেশের আইনশৃঙ্খলার রক্ষার পরিবর্তে তারা অপরাধ জগতের ডন/বক্ষক হয়ে গেছে,আমরা তা থেকে পরিবর্তন চাই,প্রতিকার চাই?কিভাবে এ থেকে পরিত্রান পাবো, দেশের এই পরিস্থিতি দেখে আমার খুব কষ্ট হয়,মনে হয় কেন জানি আমি যদি ক্ষমতাধর কেউ হতাম তাহলে দেশের জন্য কিছু করতে পারতাম।

এবার আরেকটি সূত্র তুলে ধরলাম:
শিশুদের সুরক্ষায় দেশে যথেষ্ট আইন থাকলেও মহেশপুর থানা পুলিশের কাছে সে আইনের কোনো মূল্য নেই।
মহেশপুর থানার টি এস আই আমির হোসেন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে না পেয়ে তার নিরপরাধ স্ত্রী ও ২ বছরের শিশুকে ধরে ১৭ ঘণ্টা থানাহাজতে রাখার পর ছেড়ে দেন।
এলাকাবাসী জানান, মহেশপুর থানার টি এস আই আমির হোসেন বুধবার রাত ৯টায় ভালাইপুর গ্রামের একাধিক মামলার পলাতক আসামি আজব আলীর ছেলে রাজুুুকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যায়। তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী লিপি খাতুন (২৭) ও শিশুপুত্র আলিফকে (২) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর তাদের অন্য আসামিদের সাথে হাজতে রাখা হয়। এ ব্যাপারে টি এস আই আমির হোসেন তার আগে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে বলেছেন, আসামি রাজুকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে নাটিমা এলাকার একটি বাড়ি থেকে আটক করে হাজতে রাখা হয়। বেলা আড়াইটার সময় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, নাটিমা এলাকার লোকজন অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার সন্দেহে লিপি খাতুনকে তার শিশুসহ আটক করে পুলিশে দেন। যাচাই করে দেখা যায়, তিনি তার স্বামী পলাতক আসামি রাজুর সাথেই একত্রে অবস্থান করছিলেন। বেলা ২টার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

২ বছরের শিশু সে আবার জেলে-এই হলো আমাদের দেশের আইন, এরকম আইনের সাথে মনে হয় আমার প্রথম পরিচয়।অদ্ভুত আজব দেশের আজব রানী আর তার পরিচালিত আইনের নমুনা দেখে মনে হয়-আমাজানের জঙ্গলের আদিবাসীর আইন তার চেয়ও উত্তম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১১

সাঈদ মোহাম্মদ ফাহিম আবরার বলেছেন: হে হে কিছুই করার নাই। ও হ্যাঁ মেডিকেল এক্সামের ব্যাপারটা জানেন তো?? না জানলে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১১

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: এটাই বাংলাদেশ।
হায় বাংলাদেশ এই কি তোর ছিল মনে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.