![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট একটি দেশ। এ দেশের মানুষ খুব ভদ্র ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দিনে দিনে উন্নতির দিকে এগুচ্ছে । বিশ্বের বিভিন্ন দেশর বাংলাদেশের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে,বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজ করতে অনেক দেশের মানুষ আগ্রহী কিন্তু আজকের এই বাংলাদেশর সুনাম দিনে-দিনে ক্ষুন্ন হচ্ছে তার প্রকৃত কারণ কি?এসব প্রশ্নর উত্তর পাওয়া বড় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে,আইন-আদালত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষা করার যাদের দ্বয়িত্ব তারা অনেক কিছু দেখে ও না দেখার ভান করে থাকে আবার অনেক সময় নিরিহ মানুষ নিযর্াতনের শিকার হয়,আবার এ গোষ্টির লোক বাংলাদেশে কে জঙ্গী রাষ্ট্র পরিনত করায় লিপ্ত। অতপর আমাদের সরাষ্ট্র মন্ত্রীরা মন্ত্রনালয়ের কাজে এমন ব্যস্ত যে,কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় বলে বসেন যে দেয়াল ধরে নাড়ানোর কারনে রানা প্লাজা ধসে পড়েছে।আমরা এমন মন্ত্রী অব্যশই কামনা করি না,"গনতন্ত্র-গনতন্ত্র বলিয়া চিৎকার করিয়া গলা পাঠাইয়া ফেলিলে ও গনতন্ত্র উদ্ধার হইলো না"যাক গনতন্ত্র নাই বা ফিরে পেলাম দেশের স্বাভাবিক অবস্থা তো ফিরে পাওয়ার আশা করতে পারি। এক ঘন্টার মধ্যে হেফাজতে ইসলাম কে যদি আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহীনি শাপলা চত্তর থেকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম সেখানে মাসের পর মাস খুন হয়ে যাওয়া মানুষের খুনি কে ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অক্ষম। সাংবাদিক সাগর-রুনী খুনি তো ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে এমন কি বেশ কয়েক জন ব্লগার,আর বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের কথা বা বাদ ই দিলাম কেননা তাদের ভাগ্যে বিচারের জন্য সহায়ক নয়, গেলো একথা-বিদেশী নাগরিক তারা তো আমাদের মেহমান তাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা আমাদের সকলের দ্বায়িত্ব কিন্তু কেন ঐ বিদেশি নাগরিক গন খুন হচ্ছেন বা হত্যা করা হচ্ছে। আমি ইতালীর নাগরিক সিজার তাভেলা হত্যা নিন্দা জানাচ্ছি আর তার সাথে সরকারের নিকট আবেদন করছি যে যত তারাতারি সম্ভব এ হত্যা যারা ঘঠিয়েছে তাদের বিচার করার।
যেভাবে খুন হলেন সিজার তাভেলা এবং প্রতিক্রিয়া:-সময় তখন সন্ধ্যা ৬টা। গুলশান-২-এর কূটনৈতিকপাড়ায় ঘটে নৃশংস ঘটনাটি। ৯০নং সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সিজার তাভেলা। ওই সড়কের শুরুতেই মূল সড়কসংলগ্ন গভর্নর ভবন। পাশে কয়েকটি দূতাবাস। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসংবলিত ওই এলাকা। সন্ধ্যা ৬টায় নিয়ম করেই প্রতিদিন জ্বলে সড়কবাতি। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ঘটনার সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলের দুটি বাতি বন্ধ ছিল। আলোহীন আবছা অন্ধকারেই তাভেলাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের একদিন পেরিয়ে গেলেও কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাভেলার ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন বিষয় ও জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতাকে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে পুলিশের বিভিন্ন শাখার দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। মূল ঘটনার তদন্তভার দেয়া হয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে। হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পর ইসলামিক স্টেট (আইএস) দায় স্বীকার করেছে বলে জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েব সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ জানালেও এর কোন সতত্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঘটনাস্থলটি গুলশান-২-এর মূল সড়ক থেকে ৯০নং সড়কের শুরুতে। সড়কের উত্তরে গভর্নর ভবন। দক্ষিণের নির্মাণাধীন একটি বাড়ি। এ সড়কের শুরু থেকে মাত্র ষাট গজ পরেই উত্তরদিকে ৮৩নং সড়ক। ওই সড়কের রয়েছে স্পেন, নেদারল্যান্ডসসহ কয়েক দেশের দূতাবাস। সার্বক্ষণিক থাকে টহল পুলিশের নজরদারি। পূর্বদিকে এক্সিম ব্যাংক, উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩-এর কার্যালয়। প্রত্যক্ষদর্শী সেতারা বেগম জানান, সন্ধ্যা থেকে ওই এলাকার অন্যান্য বাতি চালু থাকলেও বন্ধ ছিল দুটি বাতি। এর মধ্যে ৯০নং সড়কে যেখানে হত্যা করা হয় তাভেলাকে এবং ৮৩নং সড়কের যে স্থানে দুর্বৃত্তরা তাদের মোটরসাইকেলটি রেখেছিল এ দুটি বাতি। অথচ অল্পদূরে থাকা অন্য বাতিগুলো ঠিকই জ্বলছিল। তবে রহস্যজনকভাবে হত্যাকাণ্ডের ১০ মিনিট পরেই ওই বাতি দুটিও প্রজ্বলিত হয়। তবে বাতি বন্ধ থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৩-এর উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আবদুল হালিম সরকার। তিনি জানান, তার জানামতে কোন সড়কবাতি বন্ধ ছিল না। সন্ধ্যা ৬টায় সড়কবাতি চালু করেন সুইচম্যান নাসিরুল কবির। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৬টায় মেইনসুইচ অন করেন তিনি। কোন বাতি বন্ধ ছিল কি-না তা দেখার দায়িত্ব তার না বলে জানান তিনি। এটি দেখভাল করেন লাইনম্যান জামাল। তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অন্য এলাকা দেখভাল করছিলেন। যে কারণে ওই বাতি দুটি বন্ধ ছিল কি-না তা জানা নেই তার। তবে রাত ৮টার পর বাতি দুটি চালু ছিল বলে জানান জামাল।
প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বাতি বন্ধ থাকার কারণে কিলারদের স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব হয়নি। ৯০ ও ৮৩নং সড়কের মোড়ে ১৮ বছর ধরে আছেন পঙ্গু ভিক্ষুক সেতারা বেগম। রাত-দিন সেখানেই থাকেন তিনি। ঘটনার সময় গুলির আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলের দিকে তাকান। মুহূর্তের মধ্যেই দুই যুবক দৌড়ে ৮৩নং সড়কের বন্ধ সড়কবাতির নিচে যায়। সেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়ানো ছিল লাল ও সাদা টি-শার্ট পরা যুবক। অন্য দুজনের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ওই সড়ক দিয়ে চলে যায়। একই কথা বলেন রিকশা মেরামতকারী জয়নাল। তাভেলাকে হত্যার আগে রেকি করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। তাকে গুলি করার আগ পর্যন্ত দুই যুবক তার পিছু নিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শী ইন্টিগ্রেটেড সিকিউরিটি সার্ভিসেসের এরিয়া ইন্সপেক্টর সাবেক সেনাসদস্য মোশাররফ হোসেন জানান, টি-শার্ট ও থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট পরা তাভেলা সড়ক দিয়ে হাঁটছিলেন। তার কিছুটা পেছনে দুই যুবক ছিল। গুলির শব্দ শোনার পর ওই দুই যুবককেই দ্রুত মোটরসাইকেলে উঠতে দেখেছেন তিনি। তাদের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিল। তবে সড়কবাতি বন্ধ থাকায় তাদের চেহারা চেনা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কেন এবং কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিজার তাভেলা ছিলেন বিনয়ী ও মিশুক প্রকৃতির। বন্ধু-সহকর্মীদের নিয়ে আড্ডা দিতে পছন্দ করতেন তিনি। তার বাসায় অনেকে আসা-যাওয়া করতেন। গুলশান-২-এর ৫৪নং সড়কের একটি ছয় তলা বাড়ির পঞ্চম তলায় ফ্ল্যাটে একা থাকতেন তিনি। বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আবদুল হাই জানান, ঘটনার দিন বিকালে তিনি বাসা থেকে জগিং করার জন্য বের হন। নিয়মিতই তিনি জগিং করতেন। এ ছাড়া বাসায় তার সহকর্মীও আসা-যাওয়া করতেন বলে জানান তিনি।
আইসিসিও কো-অপারেশন নামক সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন সিজার তাভেলা। দারিদ্র্যবিমোচনে কাজ করতেন তিনি। তার হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। তারা এ হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন। আইসিসিওর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া আঞ্চলিক অফিসের সিনিয়র কমিউনিকেশন ও মার্কেটিং ম্যানেজার রাইসা চৌধুরী বলেন, তিনি পেশাগতভাবে কঠোর পরিশ্রমী ও প্রতিশ্রুতিশীল ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের সহযোগিতার জন্য কাজ করেছেন। তার হত্যাকাণ্ডে আইসিসিওর পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। রাইসা জানান, গত মে মাসে বাংলাদেশে আসেন সিজার তাভেলা। তার সঙ্গে কারও কোন শত্রুতা ছিল বলে জানা নেই তাদের। গুলশান-১-এর ৩০নং সড়কের একটি বাড়িতে এ প্রতিষ্ঠানের অফিস। ঘটনার দিন বিকাল পর্যন্ত অফিসে ছিলেন তিনি। এর বাইরে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে, ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলাকে হত্যার ঘটনায় কূটনৈতিক জোনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত চেকপোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পুলিশের দক্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে রহস্য: সিসি ক্যামেরার অস্পষ্ট ফুটেজ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রাস্তায় থাকা সিটি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ এলেও তাতে হত্যাকারীদের স্পষ্ট কোন চিত্র পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার ইতালিয়ান নাগরিককে হত্যার ঘটনাস্থলের পাশে একটি ভবন থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে গুলশান এলাকায় স্থাপিত ১০৯টি সিসি ক্যামেরা থেকে মোটরসাইকেলে করে ঘাতকদের পালিয়ে যাওয়ার কোন ভিডিও ফুটেজ বের করতে পারেনি। ঠিক একইভাবে গত ১৩ই জানুয়ারি গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা সংস্থা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বের করে, তাও ছিল অস্পষ্ট। এর আগে গুলশানে ২০১২ সালের ৫ই মার্চ গুলশানের ১২০নং সড়কে সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলীকে রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় গুলশানের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বের করেও ঘাতকদের শনাক্তের ব্যাপারে বলা হয়েছিল ওইসব ফুটেজ অস্পষ্ট।
মামলা দায়ের: তাভেলার খুনের ঘটনায় সোমবার রাতে নেদারল্যান্ডসভিক্তিক এনজিও আইসিসিওর ক্যান্টি ডিরেক্টর হেলেন বেন্ডার বিক বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। ইংরেজিতে লেখা মামলার এজাহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাত কতজন আসামি করা হয়েছে তা সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। গতকাল সকালে গুলশান থানায় সাংবাদিকদের হেলেন বেন্ডার বিক জানান, আমাদের এক সহকর্মী মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ায় আমরা শোকাহত। এ ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। আশা করছি পুলিশ ঘটনার ক্লু উদ্ঘাটন করবে। পরে হেলেন বেন্ডার বিক তিনি তার সহকর্মীর লাশ দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যান। তিনি তাভেলার লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের অফিসের পক্ষে হত্যা মামলা করা হয়েছে। খুনের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তার ক্লু উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি খুনিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে: এদিকে, নিহতের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কাজী মো. আবু শ্যামা জানান, নিহতের শরীরে ৫টি ছিদ্রের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার বুকের পাঁজরে তিনটি গুলি ঢোকে। এর মধ্যে দুটি গুলি বের হয়ে গেছে। আর একটি গুলি বুকের মধ্য থেকে বের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই গুলি রিভলবারের গুলি। ধারণা করা হচ্ছে, খুনিরা তাকে টার্গেট করেই বুকে গুলি করেছে। গুলির ক্ষতস্থান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের এডিসি (উত্তর) মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, নিহতের বাসা থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে। ওই আলামতগুলো ক্লু উদ্ঘাটনের বেশ সহায়ক হবে। এ ছাড়া নিহতের ব্যক্তিগত ও এনজিওকেন্দ্রিক কোন বিরোধ ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের কয়েকজন সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে গুলশান-২-এর ৫৪নং রোডের ১১/বি নম্বর ছয় তলা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। ছয় তলা বাড়ির প্রতিটি ফ্লোরে ৪টি করে ফ্ল্যাটে আছে। তাভেলা বাড়ির পাঁচ তলার ৫/বি নম্বর ফ্ল্যাটের তিন কক্ষের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী আবদুল হাই জানালেন, তিনি কারও সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া তেমন কোন কথা বলতেন না। শুধু হাই-হ্যালো করে বাড়ির বাইরে ব্যক্তিগত কাজে বের হয়ে যেতেন। গতকাল দুপুরে বাড়িটিতে গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ, এডিসি আবদুল আহাদ, ডিবির উত্তর বিভাগের এডিসি মাহাফুজুল ইসলাম, গুলশান জোনের পুলিশের এসি রফিকুল ইসলাম, গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশের কর্মকর্তা ওই বাসায় যান। বাসার দরজার তালা খুলে ওই তাভেলার কক্ষ থেকে বেশ কিছু জিনিসপত্র জব্দ করে নিয়ে যান
আমার কিছু জিজ্ঞাসা:-
১) এ পর্যন্ত কয়েক টি হত্যা/হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে সেই স্থানে তবু ও কেন সিসি টিভির ফুটেজ আবছা আসে?
২)লাইট কেন অফ করা থাকবে ,যেখান পাশের লাইট জ্বলছে?
৩) হত্যার পর কেনই বা লাইটপোষ্ট জ্বলে উঠবে?
৪)এতো নিরাপত্তা থাকতে কিভাবে হত্যা কারা সম্ভব হলো?
আমি আশা করি এরকম হত্যা যেন আর না হয় সে দিকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বিশেষ নজর দেয়ার ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন:
সহমত দিলাম
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশের নাগরিকরাতো প্রাণ মুঠোয় নিয়েই চলছেন।
এখন বিদেশীরাও নিরাপদ রইল না! কি আজব!
আপনি বলেছেন- "গনতন্ত্র-গনতন্ত্র বলিয়া চিৎকার করিয়া গলা পাঠাইয়া ফেলিলে ও গনতন্ত্র উদ্ধার হইলো না"যাক গনতন্ত্র নাই বা ফিরে পেলাম দেশের স্বাভাবিক অবস্থা তো ফিরে পাওয়ার আশা করতে পারি।
কি করে আশা করতে পারেন? যেখানে মৌলিক অধীকার ভূলীন্ঠিত, দায়হীন অনির্বাচিত সরকার স্বৈরাচার হয়ে বসে থঅকে- তাদেরতো কারো কাছে কোন দায় থাকে না। স্রেফ ক্ষমতার নেশা থাকে্
যা দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থা কখনোই ফিরে পাোয়া সম্ভব নয়।
ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে স্ব-দেশ!
আল্লাহ তুমি রক্ষা করো দেশকে, মানুষকে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সহমত
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বিচারের সংস্কৃতি গড়ে উঠুক
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪১
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সঠিক তদন্ত হোক.......
সিজার তাভেলার পরিবারের জন্য সমবেদনা