নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তন্ত্র,মন্ত্র যতই জপি না কেন জবানে,যৌবনের আসিলে ঋতু রাজে,কোকিল কুহু কুহু সুরে গান করে, আমি পাগল তোমারি,প্রেম সুধা পানে, ভোমর পান করে মধু ফুলে বসে ,সে হোক গোলাপ বৈকি ঘাঁস ফুলে।আমার পরিচয় ছন্দের মাঝে।।

তারেক সালমান জাবেদ

কবি

তারেক সালমান জাবেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েদী নম্বর ৭৮৬ বনাম একজন ফজলু মিয়া

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৪





Veerzara হিন্দি মুভিটি দেখেন নাই বর্তমান সময়ে এমন লোকের সংখ্যা কমই আছে। ছবিটিতে দেখা গেছে শারুখ খান বিনা অপরাধে পাকিস্তানের জেলে দীর্ঘ কারাবাস করেছেন শুধু preity zinta কে ভালোবাসার অপরাধে আর পাকিস্তানীদের মানহানীর ভয়ের কারনে। কিন্তু সেটা ছিলো রঙ্গীন পর্দার জগতে।কিন্তু এই পৃথীবির বিভিন্ন দেশে বাস্তবে এরকম অনেক ঘটনাই আছে আজ ও আমরা জানিনা,জানি না কত মানুষ বিনা অপরাধে বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলে আছে। বাংলাদেশ এরকম হয়তো অনেকেই আছে,অনেকই হয়তো অন্ধকার কারাবাসে জীবন অতিবাহিত করছেন তারই মধ্যে সিলেট কারাগারে ফজলু মিয়া নামের এমন একজন রয়েছেন, যিনি বিনা বিচারে কারাগারে আটকে আছেন ২২ বছর ধরে। তার কোন অপরাধ নেই তিনি বিনা অপরাধে সুদীর্ঘ ২২ টি বছর জেলের ভিতরে অমানবিক জীবন পার করছেন। মানুষের অনেক আশা-স্বপ্ন থাকে,থাকে জীবন সাজাবার কল্পনা কিন্তু ভাগ্য মানুষকে অনেক সময় তা থেকে অনেক দুরে নিয়ে যায়-ফজলু মিয়ার জীবনেও হয়তো অনেক আশা -স্বপ্ন ছিলো কিন্তু হায়!রে কপাল জেলের ভেতরে কেটে গেলো তারই জীবনের যৌবন কাল।

এখন জেনে নেই এই ফজলু মিয়া কে এবং কেনই বা তিনি ২২ বছর কারাগারে ছিলেন:-দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুরের মীরবাড়ির গোলাম মাওলা পালক পুত্র হিসেবে ফজলু মিয়াকে নেন। পালক পুত্র হলেও ফজলু মিয়া গোলাম মাওলা বাবার মতো সম্মান ভালোবাসতেন,
ঠিক গোলাম মাওলা ও ফজলু কে নিজের পুত্র মনে করতেন, ফজলু মিয়া বাবা গোলাম মাওলা পৃথীবিতে যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন সেবা যত্ন করেছেন।বাবা গোলাম মাওলার মৃত্যুর পর তাঁকে ১৯৯৩ সালের ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। আর এসবের পেছনে সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্র ছিল বলে এলাকার অনেকেরই মন্তব্য।

ফজলু মিয়া মুক্তি পাওয়ার পর:-
গত বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কারাফটকের বাইরে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ান ফজলু মিয়া। কারাগারের সামনের কারা কর্তৃপক্ষ ও ফজলুর গ্রাম ধরাধরপুরের মানুষ ফুলের মালা পরিয়ে তাকে সংবর্ধনা দেয়। ফজলুর মুক্তি দেওয়ায় অংশ হতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কারা কর্তৃপক্ষও। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ছগির মিয়া বলেন, ‘আমি বিষয়টার জন্য আমার কর্তৃপক্ষ আইজি প্রিজনকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁকে আগেও এ বিষয়টা (ফজলু মিয়ার মুক্তির বিষয়) জানিয়েছি। তিনি বলেছিলেন, যতই বিরূপ মন্তব্য আসুক না কেন, তুমি কাজ করো।’ কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সবার উদ্দেশে হাত ওপরে তোলেন ফজলু মিয়া। তাঁর মুখে তখন মুক্তির আনন্দ। আর কারাফটকের বাইরে গিয়েই তিনি তাঁর দক্ষিণ সুরমার পালক পিতা গোলাম মাওলার বাড়িতে যেতে চান। সেখানে গত ২২ বছরে অনেক কাজ জমে আছে বলে জানান তিনি। জড়িয়ে যাওয়া কণ্ঠে ফজলু মিয়া বলেন, ‘আমি দক্ষিণ সুরমা গ্রামে গিয়া কাম করমু। নইলে কাম করমু না।’ ফজলুর জিম্মাদার কামাল উদ্দিন রাসেল বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত; আমার এলাকা, আমার ইউনিয়ন আজকে কলঙ্কমুক্ত হলো।’ সে সঙ্গে এমন নির্মমতার পেছনে যারা জড়িত, তাদের বিচারের দাবি জানান ফজলুর এই সহপাঠী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান মিয়া জানান, ফজুলকে পুনর্বাসিত করার আগ পর্যন্ত তাঁকে তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের একটি বাড়িতে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হবে। এ জনপ্রতিনিধ বলেন, ‘এটা আমি ধরাধরপুর গ্রামবাসী নিয়ে, প্রয়োজনে আমার ইউনিয়নবাসী নিয়ে সর্বাত্মকভাবে তাঁর সম্পত্তি, তাঁর হক আমি উদ্ধার করে দেব।’ আর ফজলুর মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি জানিয়ে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, শিগগিরই ফজুলর বিরুদ্ধে সাজানো পাগল আইনের মামলা নিষ্পত্তি করে তাঁকে খালাস প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘ফজলুর মামলাটি আইনত নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। বিষয়টি জাস্ট প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী ২৩ তারিখ সেটা শেষ হয়ে যাবে।

আমি আজ এই ফজলু মিয়া জন্য আমার অন্তর থেকে ভালোবাসা জনাই এবং যারা এই নিরাপরাধ মানুষটির মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন তাদের কে আমার অন্তরের মাঝ থেক দোয়া অভিনন্দন জানাই। আর যারা ফজলুমিয়া কে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কারাগারে ২২ বছর কাটিয়েছেন তাদের প্রতি রহিলো ঘৃনা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: কান্না এসে গেল..

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৬

তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সত্যি কান্না পায় ঐ মানুষটির জন্য

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

রাবার বলেছেন: বেচারার সারা জীবন নস্ট করার জন্য দায়ীদের কঠিন শাস্তি দেয়া হউক।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৫

তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সহমত

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

শেখ মফিজ বলেছেন: এ রকম নিশ্চয় আরো আছে ।
তাদের জন্য আইনজীবিদের কিছু করা দরকার ।
এমন কি জেলের সাখে, যারা জড়িত
এমন সরকারি কমকর্তারাও তো পারেন ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:০৫

তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.