![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা এমন হয়ে গেলাম কেন?আমাদের মানবতা আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে?যে দিকে তাকাই শুধু ভেজাল আর মিশ্রণ,হাটে-বাজারে,নগর-বন্দরে ভেজাল জিনিষের ছুটাছুটি ।চাকরি-বাকরি এমন কি মেডিকেল ভর্তি ও রাজনৈতি যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই ভেজাল আর ভেজাল । এক দিন চারিদিকে ছিলো সবুজের সমারূহ এখন চারিদিকে রক্তের গন্ধ। হ্যাঁ আমি বলতে চাচ্ছি যে-আর কতদিন অতিবাহিত হলে আমরা সাধারণ মানুষ এসব থেকে মুক্তি পাবো,পৃথিবীর যতটা দেশ আছে সব দেশের শাসক চায় তার দেশের জনগন ভালো খাবার ও ভালো কাপর পরিধান করুক,শান্তিতে জীবন যাপন করুক,দেশের মানুষের বেকারত্বের অবসান হোক,অতপর কোন মানুষ যেন অভুক্ত না থাকুক,আর তার জন্য সব দেশেই সরকারি খাদ্য ভন্ডার আছে তেমনি আমাদের দেশে ও আছে। আমাদের দেশের বর্তমান জনসংখ্যা---
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ এর সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লাখ
আদমশুমারি ও গৃহগননা ২০১১ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ।
বাংলাদেশের আয়তন অনুযায়ী জনসংখ্যা অধিক তা আমরা সভাই জানি,তাই আমাদের পক্ষে খাদ্য অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়,তবু এক আধ বেলা খেয়ে অনেকেই জীবন রক্ষা করছেন। সরকারে সেদিকে নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী।
কেন জরুরী তা এই জন্য যে,ব্রাজিল থেকে পচা গম আমদানির স্মৃতি সহিতে না সহিতে আবার ও ফ্রান্স থেকে ২১ হাজার ৫০০ টন খাবার অনুপযোগী গম আমদানি করা হয়েছে। পুরানো স্মৃতি নতুন করে আবার ও ভাবিয়ে তুলেছে আমাদের কে,কেন এমন হয়-কি অপরাধে জনগনের টাকার কেনা খাদ্য যাবে বড় বড় নেতা-খেতা,আর অফিস্যারদের মৎস খামারে,আর উপরি টাকা ভাগ ভাটোরা নিয়ে শুরু হবে হানাহানি অতএব আমারা গরীবের পেটে আবার ও পড়বে লাথি।
গত ১৮ই অক্টোবর খাদ্য অধিদপ্তর এমভি পিনটেল জাহাজে ফ্রান্স থেকে আনা এসব গম বাজেয়াপ্ত করেছে এবংপরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর বলা হয়েছে এসব গমকে নিম্নমানের ও মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী । মংলা বন্দরের গম খালাস তদারকি কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ঢাকার খাদ্য অধিদপ্তর।ইমপেক্স কনসালট্যান্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি গত মার্চে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম আমদানির কার্যাদেশ পায়। এর ভিত্তিতে ২৪শে মার্চ ঠিকাদারি কোম্পানির সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের চুক্তি হয়। এরপর তড়িঘড়ি করে ফ্রান্স থেকে তারা গম নিয়ে আসে। এ বছরের ২১শে মে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৩০ হাজার ১৬৪ টনের প্রথম চালান দেশে আসে ও খালাস হয়।
ইমপেক্স কনসালট্যান্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি কার ?এবং কেন এই প্রতিষ্ঠানটি খাবার অনউপযুক্ত গম পূনরায় নিয়ে আসে? যদিও নিয়ে ?এসব এর মুল হোতা কে বা কারা জানতে চায় বাংলাদেশর জনগন।
গত ১২ই অক্টোবর মংলা বন্দর দিয়ে চালানটি দেশে আসতেই বিপত্তি বেধে যায়। মংলা বন্দর গম খালাস তদারক কমিটি তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। শেষ পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে তা খাবার অনুপযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এমভি পিনটেল নামের সাইপ্রাসের পতাকাবাহী জাহাজটি ৫-৬ মাস আগে ফ্রান্স থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে বাংলাদেশে আসে। কিন্তু তখনই গম পরীক্ষায় নিম্নমানের হওয়ায় জাহাজ থেকে গম খালাস হয়নি। তবে নানা কায়দাকানুনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আসা গম খালাস করা হয়। সমপ্রতি দুই বিদেশী খুন হওয়ার পর চট্টগ্রামে অবস্থানরত খাদ্য অধিদপ্তরের বিদেশী বিশেষজ্ঞ ছুটি নিয়ে দেশে ফিরে যায়। এই সুযোগে ঢাকার আমদানিকারক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমপেক্স কনসালট্যান্ট লিমিটেড প্রভাব বিস্তার আর অবৈধ সুবিধা দিয়ে পিনটেল জাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে পুনরায় ভিড়িয়ে ৩১ হাজার ৫শ’ টন গম খালাস করে।
পরে জাহাজটির বাকি ২১ হাজার টন গম নিয়ে ১২ই অক্টোবর মংলা বন্দরে প্রবেশ করে। ১৩ই অক্টোবর মংলা বন্দরে আমদানি গম খালাস তদারকি কমিটির ৮ সদস্য জাহাজটির গম পরীক্ষা করে এবং নমুনা সংগ্রহ করে। এই কমিটি আমদানিকৃত গম নিম্নমানের ও পচা বলে অভিমত দিলেও ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে গমের নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সর্বশেষ সেই নমুনা পরীক্ষা করে গমের মান নিম্ন এবং মানুষের খাবার অনুপযোগী বলে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
আমার কিছু প্রশ্ন:
০১/ইমপেক্স কনসালট্যান্ট নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন এখনো দুর্ণীতির মামলা হয়নি?
০২/ ব্রাজিলের পঁচা গম আনার স্মৃতি মুছার আগে আবার ও কেন পঁচা গমের আমদানি?
০৩/ কার ইশারায় ইমপেক্স কনসালট্যান্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি এই কাজটি করতে সাহস পেলো?
০৪/কত টাকা কার পকেটে গেলো?
০৫/ আর কতদিন এভাবে গরীবের পেটে লাথি দেয়া হবে?
০৬/ মানুষত্ব নামের বালাই কি এদের কাছে নেই?
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: ব্যাবসায়ীদের অপরাধ করতে সহায়তা করছোে সরকারী লোক। ঝোলের ভাগ পাচ্ছে।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
হামিদ আহসান বলেছেন: ইমপেক্স কনসালট্যান্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি কার ?এবং কেন এই প্রতিষ্ঠানটি খাবার অনউপযুক্ত গম পূনরায় নিয়ে আসে? যদিও নিয়ে ?এসব এর মুল হোতা কে বা কারা জানতে চায় বাংলাদেশর জনগন।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
আবু আবদুর রহমান বলেছেন: খাদ্য ভেজালকারীদের পৃথিবীর অন্যে কোন দেশে হলে রক্ষা ছিলো না । লাইসেন্স বাতিল, বিরাট অংকের জরিমানা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, জেল স হ আর বিভিন্ন ধরণের সাজা হয় । আমাদের দেশে কিছু হয় না । সে জন্য তারা বারবার এমন অধরাধ করতে সাহস পায় । তারা জন গনকে নিরবে হত্যা করছে । তারা ঘাতক । সংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা চুপ থাকবেন না । লিখুন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে , সামাস্য কিছু অসাধু দুষ্কৃতিরকারীর কাছে যেন জনগন বন্ধী না হয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীদের মুরগীতে পরিণত করেছে কিছু ব্যবসায়ী।