![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভ্যতা দিনে দিনে যত এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ ও দেশ তারই সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে,মানুষে বিচার-বুদ্ধির ক্ষমতা সাম্প্রতিক সময়ে সমাজের কল্যানে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে।আজ মানব সভ্যতা উচ্চ মর্যাদার আসলে অধিষ্ঠিত।
উপরুক্ত কথা গুলো কেন বললাম তার আগে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু শিশু ধর্ষন,শিশু শ্রমিক,শিশুদের দিয়ে অপরাধ সংঘঠিত করা ও শিশু নির্যাতন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেখি:-
আজ থেকে ২ দিন পূর্বে ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসেদপুর ইউনিয়নের পল্লী বাজার এলাকায় ৭ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে বখাটে সরুজ , সেলিম, রানা ও সিরাজ নামের ৪ জন। মেয়েটি দোহার উপজেলার মধুরখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। বখাটেরা মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধরে পাশের ময়নার বস্তিতে নিয়ে মুখবেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারী সুরুজ ও সেলিম উপজেলার মধূর খোলা গ্রামের বাসীন্দা এবং রানা ও সিরাজ উপজেলার রুইতা গ্রামের বাসীন্দা।
এখানে একটি কথা না বললে না হয়,ধর্ষনকরীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলো কিন্তু আসামিদের একজনকে ও আজ পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পারলো না কেন? নাকি নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা মফজেল শেখএকজন ভ্যান চালক তাই পুলিশকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে পারেন নাই সে জন্য। যেখানে রাজন হত্যা মামলার আসামি ২৪ ঘন্টার মাঝে গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম সেখানে ২ দিন পার হয়ে গেলো কিছুই হলো না। জনগন জেগেছিল রাজন হত্যার নরপশুদের ধরিয়ে দিতে তাই সম্ভব হয়েছিলো। জনগন কে জাগতে হবে আমরা চাই ঐ বখাটে সরুজ , সেলিম, রানা ও সিরাজ নামের ৪ জন নরপশুর ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার গ্রামে,বাজারে পোষ্টারে মাধ্যমে দেয়ালে লাগানো হোক।
শুনা যাক আরেকটি ধর্ষণের কথা:-তিনি অবশ্য শিশু নন তবে এই ঘটনাটি ও মনকে মর্মাহত করে, পত্রিকার নিউজে পড়েছিলাম,মেয়টির নাম উল্লেখ নেই,মেয়েটির স্বপ্ন ছিল জজ হবার তাই ঢাকার একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন,সম্ভবত মেয়টির সম্মান রক্ষার্থে পরিচয় দেয়া হয়নি।এছাডা গতকাল সকালে মানিকগঞ্জের একটি হাসপাতালে পাঁচ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) ও এনডিপি প্রোগ্রামের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার। ছাত্রীর সঙ্গে দেখা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র। অপরাধীদের শাস্তির জন্য তার পরিবারকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা দেয়া হবে। এ ছাড়া মেয়েটির জজ হওয়ার আশা পূরণে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা। ভালো কথা তিনিতো বললেন না মেয়েটির হারানো ইজ্জত ফিরিয়ে দেবেন।আর তা তিনি কোন দিন ও পারবেন না। শনিবার বনানীর একটি ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে জোর করে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। এর পর নির্জন জায়গায় নিয়ে তার হাত-পা বেঁধে গাড়ির ভেতরেই জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সবুজ। শরীরের ওপর চালায় অমানসিক নির্যাতন। গাড়ির চালক ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও চিত্র তার মুঠোফোনে ধারণ করে। পরে বিকালের দিকে অনেকটা বিবস্ত্র অবস্থায় সবুজ তাকে ছাত্রী নিবাসের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সবুজ কে পুলিশ ধরেছে কিন্তু গাড়ী চালক ও তার সহযোগি এখনো পুলিশ ধরতে পারিনি।
এই হলো মাত্র দুটি ঘটনার সামান্য বিবরণ,আরেক টি ঘঠনা পরেছিলাম -হাতীবান্ধায় পূঁজার ছুটিতে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী। শিশুটিকে ধর্ষণের পর বাঁশঝাড়ে ফেলে পালিয়ে গেছে ধর্ষক। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির নানার বাড়ির এলাকায় পূঁজা মন্ডপ দেখতে যায় সে সহ তিন শিশু। তারা পূঁজা মন্ডপ দেখার সময় সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়া এক যুবক তাদের কে চকলেট কিনে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে। পরে কিছুদূর সামনে গিয়ে দু‘জন শিশুর হাতে ৫টাকা ধরিয়ে দিয়ে চকলেট আনতে পাঠায় সেই যুবক। এই ফাঁকে সেখানে একা থাকা তৃতীয় শ্রেনীর শিশুটির মুখে চেপে ধরে অদূরের বাঁশঝাড়ের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। হায়রে মানুষ আর মানবতা,দয়া মায়া বলতে কি কিছুই নেই।
আমাদের দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর আইন আছে কিন্তু তার কতটুকু প্রয়োগ হচ্ছে জানিনা। গত ২৮ জুলাই ২০১৩ বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকা "প্রথম আলোতে"দেয়া কয়েক জন গুনি ব্যাক্তির সাক্ষাত কারের কিছু তুলে ধরলাম।
০১/শিশুদের সুরক্ষার জন্য শিশু আইন তৈরি করা হয়েছে। এমন একটি আইনের খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু শুধু আইন করেই শিশুদের রক্ষা করা যাবে না, এর জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজন বুঝে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে।
জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে শিশুর যে কয়টি অধিকারের কথা বলা হয়েছে, তা যেন আমাদের দেশের শিশুরা পায়, সে জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
শিশুর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শিশুকে কখনোই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়।
উন্নত বিশ্বের কোনো দেশেই শিশুর প্রতি এমন অবিচার করা হয় না। শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য অনুকূল পরিবেশ দিতে হবে। সর্বোপরি শিশুকে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সবাইকে একসঙ্গে হ্যাঁ বলতে হবে।
শফিক আহমেদ
আইনমন্ত্রী
০২/হাসান মাহমুদ খন্দকার
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শিশু আইন, ২০১৩ শিশুদের জন্য কল্যাণমূলক একটি আইন। আগেও এ আইন ছিল। যুগোপযোগী করে নতুন করে আইনটি পাস হওয়ায় আমরা খুবই সন্তুষ্ট।
আইনে শিশুর প্রতি সব অন্যায় আচরণের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এ আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের। এ আইনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ও ব্যবহারকারীকে শাস্তির যে বিধান রয়েছে, তা বাস্তবায়নেও পুলিশ অত্যন্ত দায়িত্ববান হবে। তবে তার আগে অন্যদের সচেতন হতে হবে।
বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। সবাইকে এ আইনের কথা জানাতে হবে।এ জন্য ব্যাপক প্রচার ও প্রচারণা চালাতে হবে।
০৩/মিজানুর রহমান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
শিশু আইন পাস হওয়ায় আমরা খুশি। তবে কেবল আইন দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা যায় না। সামাজিক বাস্তবতা পরিবর্তনে আইন সহায়তা করে ঠিকই, কিন্তু এর সঠিক বাস্তবায়ন তখনই ঘটবে, যখন মানুষ আইন মেনে চলবে।
শিশুদের জন্য নতুন আইনটিতে শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। এতে শিশুকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীকে শাস্তির বিধান করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি জেলায় শিশু আদালত তৈরির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনটি যেন শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ না থাকে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
কোনো শিশু বা কিশোর অপরাধী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাকে অন্যান্য সাধারণ অপরাধী থেকে আলাদা করে কিশোর সংশোধন কর্মকর্তার হাতে তুলে দিতে হবে।
সাধারণ শাস্তি না দিয়ে তার আচরণকে সংশোধন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দিতে হবে। তবেই শিশু আইনের সুফল পাওয়া যাবে।
উপরুক্ত কথা গুলো সোনার মত খাঁটি ,শিশুরাই হচ্ছে আগামীদিনের ভবিষ্যত,আমাদের সকলের দ্বায়িত্ব শিশুদের নির্যাতন থেকে বিরত থাকা আর নির্যাতিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানো।আর কোথাও শিশু নির্যাতন হলে তার প্রতিকার করা।আমাদের কে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৬৪% নারী ও শিশু। এই জনসংখ্যার জীবন সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ। তাই যতদুর সম্ভব প্রতিটি এলাকায় নারী ও শিশু বিষয়ক সংগঠন তৈরি করে তা প্রতিকার করার জন্য আমাদের সমাজের যুবকেরা এগিয়ে আসতে হবে,আসুন আমরা অঙ্গীকার করি,নারী ও শিশুকে সুরক্ষার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০১
মানবী বলেছেন: "ছাত্রীর সঙ্গে দেখা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র"
- ধর্ষন একটি দুর্ঘটনা মাত্র? ধর্ষিতাকে বললে ধরে নেয়া যেতো তাঁকে মানসিক শক্তি দেয়ার জন্য বলা, সাংবাদিকদের এমন বলার কি কারন! তার উপর ধর্ষক গ্রেফ্তার হলেও প্রাইভেট কার আর তার ড্রাইভারের খোঁজ নেই। মূল আসামী গ্রেফ্তার হওয়া সত্ত্বেও তার সহযোগির নাম ঠিকানা জোগাড় করে পুলিশ গ্রেফ্তার করতে পারছেনা এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
সেই পলাতক গাড়ি চালকেরই প্রধান আসামী হবার সম্ভাবনা বেশী, হয়তো সেই ইকবালে খুনি ভাতিজার মতো এও কোন নরাধম (?)যুবরাজ!
ফেসবুকে বসে বাংলাদেশের দূর্নীতিবাজ ক্ষমতাধরদের ঘৃন্য কার্যকলাপের সমালোচনা করলে, তাকে খুঁজে বের করতে কুলাঙ্গারদের সময় লাগেনা, অথচ দিনের আলো মতো স্পষ্ট ক্রাইমের এসব অপরাধীদের এরা খুঁজে পায়না!!
ছোট্ট শিশুকেও এই নপুংসক নরপশুরা রেহাই দেয়না।
পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ।