![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চ্যাটের বাল এটি একটি বাগধারা,এই বাগধারাটি আমার নয়,প্রিয় পাঠক এই সুন্দর বাগধারাটি আবিষ্কার হয়েছে নব্বই'র দশকের স্বৈরচার বিরোধী ছাত্রসমাজ।আর তা এই বর্তমান আওয়ামীলিগ সরকারের আমলে আজ আবার শুনতে হচ্ছে আমার ছাত্রসমাজের মুখ থেকে।
চ্যাট শব্দের অর্থ পুরুষাঙ্গ। বাল শব্দের অর্থ চুল, পশম বা কেশ। শব্দ দুটি চিকিৎসাশাস্ত্র, ফেকাহশাস্ত্র ও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বহুল ব্যবহৃত।
শব্দ দ্বয়ের ব্যবহারিক ব্যাখ্যা: মাত্রাতিরিক্ত পশম স্বাস্থ্যনাশক। তাই উপড়ে ফেলা আবশ্যক। পুলিশের আচরণও তাদের কাছে মাত্রাতিরিক্ত মনে হওয়ায় পশমের মতো তাদেরকে পরিত্যাগ করার মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে শক্তিশালী এই "চ্যাটের বাল" বাগধারাটি প্রয়োগ করেছে।
এই শব্দ টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্র/ছাত্রীদের মুখ থেক বের হওয়ার জন্য আমাদের সমাজের মুখোশে আছন্ন ভদ্র লোকেরা লজ্জ্বায় মরি মরি অবস্থা । আর যখন তসলিমা নাসরিন,হুমায়ুন আজাদের মতো নামী লেখক/কবিরা তাদের বইয়ের পৃষ্টায় পৃষ্টায় এর চেয়ও অশ্লীল ভাষায় বই লেখে তখন তাই হয় কবিতা/গল্প -শিল্পকর্ম।আর তাদের শিল্পকর্ম আমাদের দেশের ছোট বড় সবার হাতে হাতে ছড়িয়ে দেয়া হয়,আর আমাদের স্যার জাফর ইকবাল সাহেব তো আছেনই একেকটা ব্যতিক্রম ধর্মী শিল্পকর্ম নিয়ে উদাহরণ হিসেবে জাফর ইকবাল স্যারের সমাজে অশান্তির জন্য বিগত কয়েক মাস পূর্বের প্রকাশিত বই ভুতের বাচ্ছা সোলেমান।
আজ স্যার জাফর ইকবাল সাহেব কোথায়?
সরকারে দমন-পীড়নে আর পুলিশের অতিরিক্ত অন্যায় ব্যবহারের আজ বাংলাদেশ মানুষ অতিষ্ট,এখন যেমন সরকারে সাধারণ মানুষ এক কানা-খড়ির মুল্য দিতনা যদি না তাদের পাশে এই পুলিশ না থাকত,এরং সরকার আজ পুলিশের উপর ভড় করার কারনে পুলিশ গুলা তাদের ইচ্ছে মতো যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করছে দেশের নিরীহ জনগনের উপর, ( গত ০২ /০৪/২০১৮ ইং তারিখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মতে -শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করছে বিএনপি, আসলে তার সম্পুর্ণ বিপরিত - বি এন পি ভড় করেনি কারো উপর -ভড়তো করেছেন আপনারা পুলিশের উপর)
পুলিশ দিয়ে তাদের ধাওয়া দিলেন, পেটালেন। গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তুললেন। যে কিশোরীটিকে পুলিশ মোটা লাঠি দিয়ে পেটালো, তার বয়স বড়জোর ১৭ বছর। যে কিশোর বা কিশোরীর রক্তমাখা কাপড়ের জুতার ছবি ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যে পুলিশ পেটালো তারও নিশ্চয়ই এমন বয়সের একটি সন্তান আছে। যারা বা যাদের নির্দেশে পেটালো, সন্তান আছে তাদেরও।
মাথায় ব্যান্ডেজ, কলেজের সাদা পোশাকে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ, পুলিশি নিপীড়নে আহত হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছে যে কিশোর, বাস পিষে মেরে ফেলেছে তার বন্ধুকে।
তার প্রতিবাদেই সে রাস্তায় নেমে এসেছিল। বন্ধু- সহপাঠী হারিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন বিলাপ করছিলেন, মন্ত্রী তখন হাসছিলেন। ২ জন আর ৩৩ জনের তুলনা করছিলেন।
শিশু-কিশোরদের ক্ষোভের প্রতি সম্মান দেখালেন না। দেখালেন না সহানুভূতি বা সংবেদনশীলতা। হাসির পরে মন্ত্রী বললেন ‘আমি কেন ক্ষমা চাইব’। তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন একদিন পরে, গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বলার পরে।
এক দিকে দুঃখ প্রকাশ, আরেকদিকে পুলিশ দিয়ে পেটালেন। কেন মারলেন! কেন মারবেন? আর কিছু করার ছিল না? সংবিধান তো এভাবে মারার অধিকার কাউকে দেয়নি।
ক্ষোভ প্রশমনের একমাত্র পথ যে পুলিশি লাঠিপেটা নয়, আমাদের কোনো ক্ষমতার দল কেন যেন বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। যারা বিক্ষুব্ধ ছিল, পিটিয়ে তাদের আরও বিক্ষুব্ধ করে দিলেন। করে দিচ্ছেন।
হ্যাঁ, এর ফলে তারা রাস্তায় টিকতে পারবে না, ঘরে-স্কুলে-কলেজে ফিরে যেতে বাধ্য হবে। না পেটালেও তারা ফিরে যেত। তারা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আসেনি। এমনকি তাদের কোনো নেতাও নেই। তাদেরকে শান্ত করার আরও অনেক পথ খোলা ছিল। মন্ত্রীরা বা দলীয় নেতারা তাদের কাছে গিয়ে কথা বলতে পারতেন। তা না করে শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিলেন।
কিন্তু কাজের কাজ হলো বিপরীত ছাত্ররা রাস্তায় নেমে গেল, রাস্তায় নেমে একদিনেই তারা দেশের চিত্র পাল্টে দিলো,ইউরোপ/আমেরিকার মতো ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ী চালাতে হলো,আর এই সময়িক সময়ে মাধ্যমে দেখা গেলো পুলিশই বেশি অবৈধ গাড়ি চালায়-গাড়ীর লাইসেন্স নাই এমন কি সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নেই,সাথে আর অনেক সরকারি আমলাদের এবং মন্ত্রী /সাংসদ আইন অমান্য করে গাড়ীচালাচ্ছেন।
রাজনৈতিক ইস্যু,এই শব্দটি এখন সরকারের একটি দাবার গুটির চাল ও যুদ্বের ঢাল হিসেবে সরাচর ব্যবহার করা হচ্ছে, যেকোন ধরনের মিছিল সমাবেশ,সমাজ কল্যানমুলক কাজের জন্য সমাবেশ,মানববন্ধন ,পথ সভা, সবকিছুই আজ রাজৈনৈতি ইস্যু হয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। “ভুতের মুখে রাম নাম শুনার মতো” এই কথাটি আমার ব্যক্তিগত নয় তা হলো আমজনতার ভাষা, আমাদের ভাষা বুঝার মতো এই সরকারে নেই, কিন্তু সামনে দিন আসছে -এই দিন বলতে আমি আগামী নির্বাচন কে বুঝাতে চাচ্ছি না! এই সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া পরপর দুটি আন্দোলেন প্রথমটি কোটাআন্দোলন অপরটি নিরাপদ সড়ক চাই ১৭/১৮ বছরের ছাত্র/ছাত্রীদের আন্দোলন।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারে আর বুঝার বাকি নেই যে,দেশের জনগন আওয়ামীলিগ সরকারকে আর চায় না,এই সরকারের পরিবর্তন চায়।
আজ পুলিশ কে বলা হয়েছে পুলিশ কার চ্যাটের বাল, আজ মানুষ ভিতরে ভিতরে বলে আওয়ামীলিগ কার চ্যাটে বাল।একদিন এমন ও সময় আসবে চিৎকার করে বলা হবে আওয়ামীলিগ কার চ্যাটের বাল””
আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কথা আজ আর জনগন বিশ্বাস করে না কেননা -“কোটা— আর থাকবে না” কোটা না থাকা তো দুরের কথা-কোটা সংষ্কার করাও হলো না-এমন কি যারা কোটা আন্দোলন করছিলো তাদের কে আজ জেলে পঁচে মরতে হচ্ছে।আমরা সবাই দেখেছি কোটা আন্দোলনের ছাত্র/ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগ এবং পুলিশের নির্যাতন।যে দেশের মন্ত্রীরা যে হারে মিথ্যা কথা বলে তাতে তাদের লজ্জ্বা লাগে না,গন্যমান্য ব্যক্তিদের চোখে ভাঁসে না,গনমাধ্যমের নজরে আসেনা,আসে শুধু এই চ্যাটের বাল কথাটি “বড়-বড় অক্ষরে ছাপানো, আর মায়া কান্নায় অধীর সুশীল সমাজ।জাফর ইকবাল স্যার আজ নাকে সরিষার তেল দিয়ে সুখ নিদ্রায় নিমজ্জিত ।
শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক ও এসব দাবিগুলো সরকার মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এভাবে ছাত্র- ছাত্রীদের আন্দোলন চলতে থাকলে কিছু একটা ঘটেই যেতে পারে। আর কিছু ঘটে গেলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এর দায়দায়িত্ব নিতে পারবে না। এখানে লক্ষ করার মতো অনেক বিষয় আছে,কেন নিরাপত্তা বাহিনী দায়দায়িত্ব নিতে পারবেনা,আমাদের টাকায় এই নিরাপত্তা বাহিনীর পরিবার চলে,আর আমাদের ছেলে/মেয়েদের দায়দায়িত্ব নিতে পারবে না সে হাস্যকর একটি কথা। দায়িত্ব নিতে না পরলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন পদত্যাগ করেন, সরাচর সারা বিশ্বে যা হয়ে থাকে পদত্যাগের পদ সবসময় খোলা থাকে -অপারগ প্রধান মন্ত্রী,মন্ত্রীদের”!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:০০
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সত্যি-ক্ষমতা ,পদ,দলের মোহ বড়ই মারাত্মক , আপনার সাথে সহমত!!
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫৬
যবড়জং বলেছেন: আপনার সাতে সহমত ! তবে ব্লগপাড়ায় অনেকে সহমত হতে পারবেন না । তাদের আবার সুশীল ভর করে ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০২
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: ধন্যবাদ সহমতের জন্য।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৪
পিকো মাইন্ড বলেছেন: সহমত। শিক্ষা ব্যবস্থা যেমন, শিক্ষার্থীরা হচ্ছেও তেমন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২২
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: ধন্যবাদ সহমতের জন্য,আর শিক্ষাব্যস্থার কথা সেতো কবেই মেরুদন্ড ভেঙ্গে গিয়েছে,
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সময়টা গর্ত থেকে বেড়িয়ে আসার জন্যে পার্ফেক্ট!
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৬
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সময়টা দেশ থেকে আগাছা ছাঁটাই করার জন্য উপযুক্ত
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩
এম এ কাশেম বলেছেন: সুশীল মার্কা দল কানাদের মুখও মুখোশ থেকে বেড়িয়ে আসছে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫২
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সুশীল বলতে আর কিছু নেই! সবই স্বার্থের শীল।।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: গণপরিবহন মালিকদের ধর্মঘট ডাকার যুক্তি কী? গণপরিবহন রাস্তায় না নামাবারই বা যুক্তি কী? মেরেছে তারা, মরেছে কি? খুন করেছে তারা, খুন হয়েছে কি?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: কোন পরিবহন মালিকদের না রেখে পাবলিক করা হতো তাহলে আর ধর্মঘট বলে কিছুই থাকতো না।
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
হাঙ্গামা বলেছেন: 'প্রধানমন্ত্রী' শব্দটার আগে যে 'মাননীয়' শদটা ব্যবহার হচ্ছে তা নিতান্তই বাধ্য হয়ে, সময় আসবে যখন ওখানে অপমানজনক কোন শব্দের ব্যবহার হবে।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
তারেক সালমান জাবেদ বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ওবায়েদুল সাহেব একটা সময় মিনমিন করে সত্য বলতেন। এখন মিনমিন করে মিথ্যা বলেন।
ক্ষমতা, পদ, দলের মোহ বড়ই মারাত্মক! মানুষের উপর ভর করলে অমানুষ হতে টাইম নেয় না।