![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুদ একটি মারাত্মক
গোনাহের কাজ,
মুসলমান মাত্রই এর
নাম শুনলে ঘৃণায় ভ্রু
কুঁচকায় কিন্তু যখন
এই সুদের নাম দেওয়া
হয় ইন্টারেস্ট বা
মুনাফা তখন কিন্তু এই
মনোভাব বাকি
থাকেনা। এটা সত্য যে
মনুষ্যমল প্যাকিং করে
কোহিনূর হালুয়া নাম
দিলে সেটা কোন খাবার
বস্তু হয়ে যায়না, বরং
যা আছে তাই থাকে।
এমনিভাবে স্রষ্টাকে
অস্বীকার করা
নাস্তিকতা এটাকে যে
নামেই চালানো হোক না
কেন তা অন্য কিছু
হতেই পারেনা।
বাংলাদেশের বর্তমান
প্রেক্ষাপটে আমরা
দেখি যখন কোন
নাস্তিক মারা যায় বা
মারা হয় তখন কথিত
গোঁফওয়ালা সুশীলেরা
কী রোনাজারি শুরু
করে! তাদের মতে
একজন বিজ্ঞানীকে
হত্যা করা হল। এরা
কি আসলেই
বিজ্ঞানী?
আমরা জানি
বিজ্ঞানীরা বছরের
পর বছর ল্যাবে পড়ে
থেকে গবেষণা করেন,
তাদের গবেষণার স্থান
ল্যাব আর বাংলাদেশি
কথিত বিজ্ঞান
লেখকদের বেশি দিন
গবেষণা করতে হয়না,
অল্প বয়সেই
দৈবজ্ঞানে তারা
বিজ্ঞানী হয়ে যায়
আর গবেষণা করার
জন্য ল্যাবের
প্রয়োজন হয়না তারা
গবেষণা করে ব্লগে।
আজিব বিগ- জ্ঞানী
বটে।আরেকটা কথা
হল একেক বিজ্ঞানী
একেক বিষয় নিয়ে
গবেষণা করেন, কেউ
মহাকাশ কেউ পদার্থ,
কেউ রসায়ন ইত্যাদি।
সকলের উদ্দেশ্য
মানবকল্যাণ।
পক্ষান্তরে কথিত
বিগ-জ্ঞানীদের
গবেষণার বিষয়বস্তু
বিশেষ একটা ধর্ম
খোলামেলা বললে
এদেশের মেজরিটি
মানুষের ধর্ম ইসলাম
নিয়ে কটাক্ষ আর
তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা।
যা কোন অবস্থাতেই
মানবকল্যাণ হতে
পারেনা বরং তা সমাজ
ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও
অশান্তি সৃষ্টি করে।
দেখা গেছে এসব কথিত
বিগ-জ্ঞানীদের
আবির্ভাবের ফলে
দেশে কি ধরণের
অরাজক পরিস্থিতি
সৃষ্টি হয়েছিল।
বাংলাদেশের মানুষের
সাথে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের
দূরত্ব সৃষ্টি হল যার
ফলে স্বাধীনতার
যুদ্ধে নেতৃত্ব
দানকারী দল হওয়া
সত্ত্বেও তামাশার
নির্বাচন করে
ক্ষমতা ধরে রাখতে
হল।
২.
যে সকল বিষয়
সংবিধান দ্বারা
সংরক্ষিত এমন
বিষয়ের প্রতি
তাচ্ছিল্য করা
সংবিধানকে
তাচ্ছিল্য করার
শামিল। শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতিকৃতি
সংরক্ষণ ও প্রদর্শন
সংবিধান দ্বারা
সংরক্ষিত। যদি কেউ
এই বিধান লঙ্ঘন করে
সেটা সংবিধান
অবমাননা হবে।
এমনিভাবে ইসলাম
এদেশের রাষ্ট্রধর্ম যা
সংবিধান দ্বারা
সংরক্ষিত, সুতরাং এর
বিরুদ্ধতা করা,
অবমাননা করা বা এসব
কাজে যারা জড়িত
তাদেরকে সমর্থন ও
সাহায্য করা সংবিধান
লঙ্ঘন করার মত
অপরাধ।
ক্ষেত্রবিশেষ তা
হয়তো
রাষ্ট্রদোহীতার
পর্যায়েও পড়তে পারে।
এখন দেখার বিষয় হল
এসব বিষয় কথিত
বিজ্ঞানীরা করেছে
কি না। যদি তাদের
ব্লগ খোঁজা হয় তাহলে
এর অসংখ্য উদাহরণ
পাওয়া যায় এমনকি
বলতে গেলে তাদের
"গবেষণার"একমাত্র
টপিক হল ইসলাম
বিদ্বেষ। অবশ্য কোন
কোন ব্লগার (পড়ুন
নাস্তিক) অন্য
ধর্মের বিরুদ্ধেও দুই
একটা পোস্ট দেয় যাতে
তাদেরকে নিরপেক্ষ
মনে হয়। কিন্তু কথা
হল অন্য যেকোনো
ধর্মের বিরুদ্ধে বলাও
অপরাধ এবং তা
সংবিধান লঙ্ঘন।
সুতরাং যারা ধর্ম নিয়ে
কটাক্ষ করে
তাদেরকে সংবিধান
লঙ্ঘনের অপরাধে
শাস্তির আওতায়
আনা যেতে পারে।
৩.
কোন একজন ব্লগার
মারা গেলেই সন্দেহের
তীর উত্তোলন করা
হয় নামি-বেনামি কোন
ইসলামি দলের দিকে।
আবার কোন ক্ষেত্রে
কোন জঙ্গি সংগঠন
দায়-দায়িত্ব
স্বীকারও করে নেয়
এটা কতটুকু সত্য ও
বাস্তব তা
প্রশ্নসাপেক্ষ।ইদানীং
কালে নিলয় হত্যার
পর দেখা গেল তার
শয্যাসঙ্গী আশামনি
বলছে হত্যাকারীরা
তাকবীর দিয়ে হত্যা
করেছে। এর দ্বারা
উদ্দেশ্য স্পষ্ট
অর্থাৎ এটা মুসলিম
জঙ্গিদের কাজ।
কিন্তু আমাদের
জিজ্ঞাসা অন্যত্র,
আমরা বলি যদি এরা
আল্লাহু আকবার না
বলে হরে রাম হরে
কৃষ্ণ বলে হত্যা করত
তাহলে কি কেউ বলত
এটা হিন্দু জঙ্গিদের
কাজ?কেউ বলতনা।
কে হত্যা করেছে সেটা
তদন্ত হোক তারপর
অপরাধী শনাক্ত হবে
কিন্তু আগে থেকেই
কোন নির্দিষ্ট দলের
দিকে অঙ্গুলি তোলা
সুষ্ঠু তদন্তকে
বাধাগ্রস্থ করে।
সুষ্ঠু তদন্তের
মাধ্যমে অপরাধী
শনাক্ত হোক সেটা
আমরা চাই সাথে এটাও
চাই যাতে এরকম
পরিস্থিতি সৃষ্টি না
হয়। যেমনটা বলেছেন
আইজিপি ও
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মহোদয়। আশাকরি
তাদের পরামর্শ মেনে
নিলে আর দেশে
অশান্তি সৃষ্টি হবেনা
©somewhere in net ltd.