![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ২/৩ দিন ধরে ব্লগে একটি গরম টপিক হচ্ছে -হিজাব পড়ার কারনে ব্র্রাক ইউনির্ভাসিটি থেকে ছাত্রী হাফসার বহিষ্কার । এটা নিয়ে ব্লগাররা পক্ষ বিপক্ষ নিয়েছে।কেউ পক্ষে বলছে , আবার কেউ বিপক্ষে বলছে।তবে মুসলিম অ্ধ্যুষিত দেশ হওয়ায় পর্দার পক্ষেই বেশী ব্লগারকে দেখা যাচ্ছে।পর্দা কি জিনিস তা বোঝানোর জন্য ব্লগারা উঠে পড়ে লেগেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে একটিভ দেখা যাচ্ছে ব্লগার "লেখাজোকা শামীম" কে।
তিনি বিভিন্ন ভাবে পর্দার ব্যাপারটা বুঝাচ্ছে।কোরআনের আয়াত দিয়ে বুঝাচ্ছেন।উনি মাদ্রাসাতে পড়াশুনা করেছেন তাও উল্লেখ করেছেন। উনার নিচের পোষ্টে ৬ নং কমেন্টে তিনি তা উল্লেখ করেছেন:
পর্দা নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা জায়েজ না
লিংক: Click This Link
মাদ্রাসা যারা পাশ করে তাদের নামের পাশে সাধারনত মাওলানা ,মুফতি ইত্যাদি লেখা থাকে।যে যেই ডিগ্রি পেয়েছে তা দেয়া থাকে।কিন্তু উনার নামের পাশে এধরনের কোন লেখা দেখা যাচ্ছে না।কেন আমরা কি একটু জানতে পারি?
উনি পর্দার কথা আমাদর বুজাচ্ছেন । ভাল কথা । উনার ব্লগে ঢুকে নিচের পোষ্ট গুলো পেলাম :
"আমাদের সিনেমা শিল্প উন্নয়নের জন্য ৮ দফা : আগে আমাদের শিল্পের উন্নয়ন ঘটান, তারপর কেবল ভারতীয় কেন, সকল সিনেমার জন্য আমাদের দরজা খুলে দিন "
লিংক:http://somewhereinblog.net/blog/amishamimblog/29870101
সিনেমা পিপলস এর তিন বছর পূর্তি : স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা দিন
লিংক: Click This Link
এবার পাঠান স্ক্রিপ্ট এবং শিখুন ফিল্ম মেকিং
লিংক: Click This Link
উনি আমাদের সবাইকে পর্দা বুজাচ্ছেন। অথচ সিনেমার উন্নয়নের জন্য, ফিল্ম মেকিং শিখার জন্য সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা দেয়ার জন্য সবাইকে আহবান করছে। আচ্ছা মেয়ে মানুষ ছাড়া শুধু পুরুষ মানুষ দিয়ে তো বর্তমানে কোন সিনেমা হয় না। এখন বলুন যে সিনেমা গুলো উনি বানাচ্ছেন সেখানে যে মুসলিম মেয়েরা কাজ করছে তাদের কি পর্দা হচ্ছে?
উনি সিনেমা বানাচ্ছে যেখানে মেয়েরা পর্দা মেনে চলতে পারে না। উনি নিজেই তো মেয়েদের বেপর্দা করছে, আবার সবাইকে ব্লগে পর্দা বুঝাচ্ছে।
আর শামীম ভাই কথায় কথায় ইরানের উদাহরন টানবেন না। হাশরের ময়দানে আল্লাহ যে বিচার করবেন তা হচ্ছে দুনিয়াতে থাকা অবস্থায় কে কতটুকু কোরআন , হাদিস মেনে জীবন-যাপন করেছে তার উপর, কে কতটুকু ইরানকে অনুসরন করেছে তার উপর নয়। তাই দয়া করে ইরান ইরান করবেন না।
আর ইরানের বেশীর ভাগ মানুষই হচ্ছে শিয়া মতালম্বী। শিয়া একটি বাতিল পন্থা। তাদের আকীদা ঠিক নেই। সুতরাং তাদেরকে কখনই উদাহরন হিসেবে নেয়া যাবে না।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি কোথায় ভুল বললাম, সেটা বললেন না তো ? আমি তো স্বীকার করছি, যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন, আমি ভুল বলেছি, ক্ষমা চেয়ে আপনার কথা স্বীকার করে নেব। আমি ভুল স্বীকার করতে জানি, ক্ষমা চাইতে জানি।
আমি আমার সম্মানিত শিক্ষকদের কাছ থেকে পর্দা সম্পর্কে যা শিখেছি, তা-ই বলেছি।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
উযায়র বলেছেন: জনাব শমীম, আপনাকে বার বার বলার পরও আপনি মিথ্যা বলেই যাচ্ছেন !
কোরাণে সৌন্দর্য ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে, সেটা কি আপনি মানেন ?
এর জবাব দিচ্ছেন না কেন ?
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: জনাব উযায়র,
আপনি কি এই আয়াতটার কথা বলছেন ?
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (31
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
And tell the believing women to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts, etc.) and not to show off their adornment except only that which is apparent (like palms of hands or one eye or both eyes for necessity to see the way, or outer dress like veil, gloves, head-cover, apron, etc.), and to draw their veils all over Juyubihinna (i.e. their bodies, faces, necks and bosoms, etc.) and not to reveal their adornment except to their husbands, their fathers, their husband’s fathers, their sons, their husband’s sons, their brothers or their brother’s sons, or their sister’s sons, or their (Muslim) women (i.e. their sisters in Islâm), or the (female) slaves whom their right hands possess, or old male servants who lack vigour, or small children who have no sense of the shame of sex. And let them not stamp their feet so as to reveal what they hide of their adornment. And all of you beg Allâh to forgive you all, O believers, that you may be successful[].
Click This Link
এই আয়াত না মানার কোন কারণ তো নাই। কিন্তু মুখমণ্ডল খুললে পর্দা নষ্ট হয়ে যাবে এমন কোন বিধান আছে কি ?
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
মুঘল সম্রাট বলেছেন: জনাব লেখাজোকা শামীম। মুখ মন্ডল কি মেয়েদের সৌন্দর্যের অংশ নয় ???
নিচের বাক্যটির ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে করবেন বলেনতো ???
"তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে।"
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬
উযায়র বলেছেন: জনাব শামীম, আপনি কি কোটি কোটি মুসলমানদের বলদ মনে করেন ?
আপনি ঘাস দিবেন আর সবাই সবাই বিনা বক্য ব্যয়ে চিবাবে?
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মুঘল সম্রাট,
ওই অংশে বলা হয়েছে, এমন কোন অলংকার ব্যবহার না করে যার শব্দ কোন পুরুষকে আকৃষ্ট করে।
মেয়েদের পুরো শরীর ঢাকাটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার শিক্ষক মাওলানা সাহেবদের কাছে জেনেছি, মুখমণ্ডল, দুই হাত-পায়ের কব্জি পর্যন্ত না ঢাকলে পর্দা নষ্ট হবে না। ক্লাস সিক্স থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত কোন ইসলাম শিক্ষা বইয়ে এই রকমভাবে বলা আছে।
পর্দা মূলত নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত ঠিক না থাকলে সারা শরীর ঢাকলেও আপনার পর্দা হবে না।
যেই মেয়েরা দেহ-ব্যবসার জন্য বোরকা পরে গভীর রাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে, তারা কি আসলে পর্দা করার জন্য বোরকা পরে ?
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ভাই উযায়র, আমিও তো মুসলমান। কোটি কোটি মুসলমানকে কেন বলদ মনে করব ? আমি বরং নিজেকে বলদ মনে করতে পারি।
আমি তো পবিত্র কোরানের আয়াত দিলাম। সেটাকে কি আপনার ঘাস বলে মনে হচ্ছে ?
আমি যদি ভুল বলে থাকি, সরাসরি কোরান হাদীসের তথ্য উল্লেখ করেন। আমি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নেব।
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
মুঘল সম্রাট বলেছেন: জনাব লেখাজোকা শামীম আপনি আমার প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমার প্রশ্ন ছিল মুখ মন্ডল কি মেয়েদের সৌন্দর্যের অংশ নয় ???
দয়া করে উত্তর দিবেন সহজ সরল ভাবে।
সাজ সজ্বাকে শুধু শব্দরে মধ্যে সিমাবদ্ধ করতে চাচ্ছেন। একটু চিন্তা করে উত্তর দিয়েন কিন্তু?
'পর্দা মূলত নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত ঠিক না থাকলে সারা শরীর ঢাকলেও আপনার পর্দা হবে না।' আপনি কি মনে করেন নিয়ত ঠিক মত করে শরীর একটু খোলা থাকলেও কোন অসুবিধা নাই।
আপনি বলছেন বোরকা পরে মেয়েরা দেহ-ব্যবসা করে। এটা একটা নিয়মের অপ-ব্যবহার। একটা অপ ব্যবহার রোধ করার জন্য হাজারো ব্যবহারকে আপনি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন কেন?
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
গরম কফি বলেছেন: শামিম ভাই খেয়াল করুন যদি মুখ মন্ডল ডাকা বাধতা মুলক হয় তবে হিজাব ওরনা এসব তো বাতিল এবং পাপীদের পোশাক হবে । কোটি কোটি পরহেজগার মহিলা যারা হিজাব পরে তারা তো বেপর্দা পাপী । শিয়ারা বাতিল ,ওহাবীরা ইহুদী আরে ভাই এতো নাক উচা নিয়া মুসলমান না হইয়া জংলি হইলে বেশি ভালো হইতো । জংলিকে কি বুঝাবেন ! আপনি কেমন মানুষ আমরা জানি, আপনার সাথে আছি ।
১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন:
আমি লেখাজোকা শামীমের সাথে একমত। আমি জানি মেয়েদের মুখমন্ডল ঢাকা অত্যাবশকীয় নয়। তবে উত্তম।
আমার ভুলও হতে পারে। যদি ভুল হয় তাহলে ক্ষমা প্রার্থী।
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
মদন বলেছেন: মুখমন্ডল ঢাকা যদি পর্দার জন্য ফরজ হতো তাহলে হজ্জের সময় মহিলাদের মুখমন্ডল ঢাকা বাধ্যতামুলক থাকতো। বরং হজ্জের সময় মেয়েদের মুখমন্ডল খোলা ই রাখতে হয়।
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০
তারেক বলেছেন: @গরম কফি - ভাই ওহাবীরা ইহুদী কিনা তা আমি ঠিক জানিনা কিন্তু শিয়াদের আকীদা গত সমস্যা আছে এ ব্যাপারে ১০০% শিওর।
আর এতে নাক উচু বা অহংকার এর কি আছে? কেউ যদি নবীকে না মানে আর আপনি যদি বলেন সে নবীকে মানে না বা স্বীকার করে না তাতে কি প্রমানিত হয় আপনি অহংকারী?আপনার নাক উচু করে চলার স্বভাব আছে? মোটেই না। বরং সত্য স্বাভাবিক ব্যাপারকে আপনি প্রকাশ করেছেন। আমিও তাই করেছি।
আমাদের নমুনা হুজুর(সঃ) এবং তার সাহাবারা। আমাদের সবার উচিত তাদের অনুসরন করা । ইরানীরা আমাদের কোন নমুনা নয়।
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
নষ্ট ছেলে বলেছেন: আমি আমাদের খতিব হুজুরের কাছে একবার বিস্তারিত আলোচনা শুনেছিলাম মুখ ঢাকা আর না ঢাকা সম্পর্কে। হিজাব পড়লেও পর্দা আদায় হবে তবে সেটা একবারে নিম্ন লেভেলের। বোরকা এবং নিকাবকে তিনি উত্তম পর্দা হিসাবে বলেছেন।
তিনি এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন। আমি সারসংক্ষেপ বললাম।
আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক এটা ভাবা ঠিক হবে না। আবার মুখ খোলা থাকলে পর্দা হবে না এটা বলাও বাড়াবাড়ি।
কিছু কিছু ব্যাপার আছে নাঃ ভাল, খুব ভাল, মোটামুটি ভাল। পর্দা বিষয়ে মুখ ঢাকা না ঢাকা ব্যাপারটাও মনে হয় এমন। তবে এই নিয়ে উভয় পক্ষেরই সহনশীল হওয়া প্রয়োজন।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১
রবিনহুড বলেছেন: মানুাষ রোগ হলে যায় একজন ডাক্টারের কাছে। আর রোগের জটিলতা বেশী হলে আরো বড় সিনিয়র ডাক্তারের নিকট যায়.....
গনিত শিখার জন্য এজন গনিতজ্ঞের নিকট যায়। ইংরেজী পড়ার জন্য বড় কোন ইংরেজী শিক্ষকের নিকট যায়.....
আইনের ব্যক্ষার জন্য যায় আইনজ্ঞের নিকট....
এটাই জগৎ এর রীতি... যে যে বিষয়ে অভিজ্ঞ তার নিকট সেই বিষয়ে শিখার জন্য বা পরামর্শের জন্য যেতে হয়.....
আর ব্লগের গরু ছাগল গুলো দেখি ইসলামের জন্য আলেম ওলামা মুফতি বাদ দিয়ে ২পাতা বাংলা ইংরেজী পড়া নাপিত গুলোর কাছে যায়.....
এই নাপিত গুলো "বাঙ্গালীর হাসির গল্পে"র মত নিজ বুদ্ধিতে যা খুশি তাই বলে ফতোয়া দিচ্ছে....
ইসলামী বিষয়ে ফতোয়া দেবার জন্য প্রয়োজন একজন মুফতি... যার ইসলামী বিষয়ের বিশেষ জ্ঞান অর্জন করা আছে.....
ফতোয়া হলো অনেকটা আইনের ব্যক্ষার মত একটা বিষয়। এই বিষয়টা এজন আলেম বা মুফতি না দিয়ে যদি সেটা ২পাতা ইংরেজী পড়া কোন ব্যক্তি দেয় সেটা কতটা সঠিক হবার সম্ভাবন আছে?...
সেই প্রশ্ন রইল... এই সকল নাপিত পন্ডিতের নিকট.....
যেখানে আমরা আইনের ব্যক্ষার জন্য আইনজ্ঞের নিকট যাই... তখন কোন বুদ্ধিতে ইসলামী ফতোয়া বা ব্যক্ষার জন্য মুফতি রেখে ব্লগের ২পাতা পড়া নাপিতের কাছে যাব?
বিষয়টা কেউ বুঝিয়ে বলবেন কি?
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
রবিনহুড বলেছেন: লেখাজোকা শামীম @
আপনি এই কথাটা ইসলামের কোথায় পেলেন? একটু রেফারেন্স দিয়ে বলবেন কি?
(পর্দা মূলত নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত ঠিক না থাকলে সারা শরীর ঢাকলেও আপনার পর্দা হবে না। )
ইসলামে কাজ গুলো দুটি জায়গা থেকে করার উপর গুরুত্ব স্থাপন করা হয়ে থাকে।
এক বাহ্যিক , দুই অন্তরের থেকে...
তার মানে এটা না যে এগুলো সব ক্ষেত্রই প্রযোজ্য।
একজন বালক যদিও নামাজ পড়ার ইচ্ছা না থাকে... তখন যদি তাকে জোর করে ফরজ নামাজ পড়ানো হয় তখন কিন্তু সেটা বাহ্যিক একটা বিষয় হয়ে যায়.... কারন সেই বালক হয়তো অন্তর থেকে তখন নামাজ পড়তে চায় নি বা চাচ্ছে না....
অথচ এ ক্ষেত্রে সেই নামাজ কিন্তু ইসলামে নামাজ পড়া হয়েছে হিসাবেই গন্য করা হয়ে থাকে...
এখন আপনার তত্ব হিসাবে যদি বলেন যে, তার অন্তর থেকে তো নামাজ পড়তে চায় নি... তা হলে কি সেই নামাজটা ইসলামী মতে আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য বলে বলা যাবে না?
এই ধরনের ফালতু যুক্তি না দেয়াই ভাল.....
আপনার কথার পক্ষে কোন গ্রহন যোগ্য আলেম ওলামা বা মুফতির রেফারেন্স কি দিতে পারবেন?
এই ধরেনর কথা কিন্তু বিভ্রন্তি তৌরি করে.....
ইসলামের আদেশ নিষেধ গুলো হলো আইন... এই আইনের ব্যক্ষা কিন্তু একজন ইসলামী আইনজ্ঞের নিকটা (মুফতি) থেকে আসা উচিৎ.....
আপনি বা আমি যদি ২পাতা হাদিস পরে মনে করি যে আমরাও ইসলামের ব্যক্ষা করার মত জ্ঞান অর্জন করে ফেলেছি ত হলে সেটা হবে ... একজন আইনজ্ঞের থেকে আপনি আমি বেশি জেনে গেছি সেই অবস্থা.....
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
রবিনহুড বলেছেন:
আমি বর্তমানের ব্রাক ভার্সিটির হিজাব নিয়ে চুলকানীর বিষয়টা একটু বর্ননা করতে চাই.....
ব্রাক ভার্সিটি শুরু থেকেই এটা তথাকথিত সুশীল দের একটা ভার্সিটি.... ব্রাকের প্রতিটি কাজই হলো পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি নির্ভর।
পশ্চিমা যেমন ইসলাম আর হিজাবের প্রতি সব সময়ই চুলকানী আছে.... তেমনি ব্রাকের প্রতিটা কাজেই কিন্তু ইসলাম নিয়ে চুলকানী আছে.... যার ব্রাকের কাজ কর্ম একটু কাছ থেকে দেখেছেন তার এটার বিষয়টা ভাল করেই বুঝবেন....
ব্রাকের তথাকথিত শিক্ষিত ব্যক্তিগন কিছুটা নাস্তিক ধারনার প্রগতি বাদী প্রবক্তা বিশেষ..... এরা এখন একটা মিশন নিয়ে নেমেছে.....
এই সরকার হল নাস্তিক ধরনার সরকার.... এই সুযোগে... তারা হিজাব নিয়ে যদি একটা আইনগত অবস্থান তৌরি করতে পারে তা হলে সেই সকল সুশীল নাস্তিত ঘরনার পোয়া বারো....
এখন তারা এটাকে আদালতে নিয়ে যাবে... তারপর সেটা কে নিজেদের মন মত আদালত থেকে একটা রায় তৌরি করে নিয়ে আসবে... সেখানে বলা থাকবে.... হিজাব /নেকাব পড়ার জন্য বহিষ্কার বৈধ.... সাথে হয়ত জুরে দিবে.... নেকাব পড়া জরুরী নয়.... নেকাব না পড়ার জন্য বাধ্য করা যাবে....
ব্যাস.... তাদের আগামী দিনের পথ চলাটা আরো ১০০ এগিয়ে গেলো.....
আদালতের রায় হাতে থাকে মানে তারা কিন্তু আরো ১০ ধাপ এগিয়ে গেলো.... এটা নিয়ে আগামীতে আরো সহজেই ইসলামের বিরুধিতা করার সুযোগ তৌরি করতে পারবে....
এটাই হল ব্রাকের ও তার সাথের নাস্তিক ঘরনাদের মূল উদ্দেশ্য....
একটা জিনিস খেয়াল করুন... নেকাবের সাথে সিকিউরিটির বা লেখাপড়ার কি সম্পর্ক?
তার থেকে বেশী সম্পর্ক একটা ছাত্র ভার্সিটিতে ঢোকার সময় তার দেহ তল্লাশী করা... কিন্তু সেটা না করে তারা নিকাব নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে কেন?
১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১
তারেক বলেছেন: রবিনহুড - ভাই জোস লিখছেন। একদম উপযুক্ত কথা লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমি আমার পুরোনো এক শিক্ষককে আবারও বিষয়টা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। উনি যা বললেন তা হচ্ছে - পর্দার ক্ষেত্রে পুরো শরীর ঢেকে রাখা উত্তম। কিন্তু কেবল সতর ঢাকলেও পর্দা হবে। অর্থাৎ মুখমণ্ডল, দুই হাতের কব্জি ও দুই পায়ের পাতা না ঢাকলেও পর্দা নষ্ট হবে না। তবে ঢাকাটা উত্তম।
অন্য দিকে, কোন নারী যদি সর্ব অঙ্গ এমন কোন পোশাক দ্বারা আবৃত করে যা অত্যন্ত আটোসাটো, শরীরের রেখা বোঝা যায়, তবে পর্দা হবে না।
শরীরে বা পোশাকে আকর্ষক সুগন্ধি ব্যবহার করলে পর্দা হবে না।
শব্দ সৃষ্টিকারী কোন অলংকার ব্যবহার করলে পর্দা হবে না।
আমি নিজে সার্চ করে পর্দা সম্পর্কে যা পেলাম, তার লিংক দিলাম। আপনারা পড়াশোনা করে দেখেন, তারপর গালাগালি করতে চাইলে আমাকে গালাগালি করতে পারেন। আমি আমার লেখায় ইসলামের বিধানটা কেবল উল্লেখ করেছি, আমার নিজের কোন মতামত এখানে নাই। নিজের মতামত দেয়ার মতো জ্ঞানী আমি না।
Dress Code in Islam :
http://islamw3d.freehosting.net/
Click This Link
http://www.islamic-laws.com/hijab.htm
Click This Link
Click This Link).html
Click This Link
২০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আমার মূল লেখায় একটা 'কৈফিয়ত' যোগ করেছি, আগ্রহীদের পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Click This Link
২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মাননীয় তারেক,
দ্বিতীয় মন্তব্যে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমি আবারও বলছি, যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন, আমি ভুল বলেছি, ক্ষমা চেয়ে আপনার কথা স্বীকার করে নেব। আমি ভুল স্বীকার করতে জানি, ক্ষমা চাইতে জানি।
আমি আমার সম্মানিত শিক্ষকদের কাছ থেকে পর্দা সম্পর্কে যা শিখেছি, তা-ই বলেছি।
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২০
তারেক বলেছেন: @ লেখাজোকা শামীম ভাই একটা জিনিস বুঝতে পারলাম , আপনি বেশ সহনশীল মানুষ।
কিন্তু একটা ব্যাপারে আমার প্রশ্ন আর তাহল আপনি বলেছেন যাহা সতর তাহাই পর্দা । তাহলে আমার প্রশ্ন মেয়েদের ১৪ জন পুরুষের সাথে দেখা করা জায়েজ আছে যাদেরকে মাহরাম বলা হয় কিন্তু বাকীদের সাথে সরাসরি দেখা করা জায়েজ নাই - পর্দা আর সতর যদি একই হয় তাহলে এই বিভাজনটা কেন হল?
ববিনহুড ভাই মুখ খোলা রাখার ব্যাপারে যা বলেছে তা ঠিক আছে।
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: যাহা সতর তাহা পর্দা নয়। পর্দার একটা অংশ হল সতর ঢাকা। সাধারণত প্রকাশ্যে নামাজ পড়ার সময় সতর ঢাকতে হয়। পর্দার পুরো বিষয়টা হল পুরুষ ও নারীর অবাধ মেলামেশার উপর নিয়ন্ত্রণ। মূল উদ্দেশ্যটা হল ব্যাভিচার ঠেকানো। এটা ঠেকানোর জন্যই একটা ড্রেস কোড তৈরি হয়েছে যা পর্দার অংশ। মাহরামও পর্দার অংশ।
আমার ওই লেখাটা যেহেতু কেবল ড্রেস কোড সংক্রান্ত , তাই মাহরাম, গায়রে মাহরাম বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করি নি।
আপনি যেভাবে আদালত পাড়ার আইনজীবীদের আমার চরিত্র হনন করার চেষ্টা করেছেন, সেটা কি ইসলামসম্মত ?
আপনি যুক্তিসঙ্গত আলোচনায় আসতে পারতেন। ইসলাম কি সহনশীল ধর্ম নয় ?
আমার এই লেখাটা দেখতে পারেন।
Click This Link
২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২
এম ই জাভেদ বলেছেন: Click This Link
২৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইসলামে পর্দা করা ফরয। সত্যি বলতে কি মানুষ এটা নিয়ে কিভাবছে তারচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহ তায়ালা কেমন পর্দা করার কথা বলেছেন ।
২৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পুরুষ আরবদের থেকে মেয়েদের লুকিয়ে রাখতে হয়।
২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
টি এম মাজাহর বলেছেন: ওফ, দুইটা জিনিস জানলাম, প্রথমত, "লেখাজোকা শামীম" অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। লেখালেখির জগতে এমনটা দেখি নাই। দ্বিতীয়ত- একজন লোক বিভিন্নভাবে তথ্যের সূত্রসহ কিছু লেখার চেষ্টা করেছে, যেগুলো ভুল, শুদ্ধ কিংবা আংশিক ভূল বলবার জন্য আমারও নিশ্চয়ই ওগুলো নিয়ে কিছু পড়ালেখা করা উচিত। কিন্তু আমি কিন্তু তাকে গালাগাল করেই যাচ্ছি, আমার জ্ঞান বাড়াচ্ছিনা, চেষ্টাও করছিনা, এবং আমার জানার সর্বোচ্চ সোর্স "অমুকের কাছ থেকে শুনেছি" কিংবা আমার পূর্ববর্তী ধারণা। শামীম সাহেবের লেখায় এমন কিছু ছিলো না, যা আমাদের মৌলিক কোন ধারণার বিরুদ্ধে দেখলাম বলে আমার মনে হলো না।
এবং সবচেয়ে বেশী দুঃখ লাগলো যে, একজন মানুষ সিনেমা বিষয়ক কোন কাজ করলেই সে নষ্ট হয়ে গেলো এরকম একটা ধারণা করা দেখে। ইরান নিয়ে কথা বলতে পারবে না, শিয়াদের নিয়ে কথা বলতে পারবেনা, ইত্যাদি ইত্যাদি যুক্তি তো সৌদি হুজুরদের ও বলতে শুনি নাই।
তবে একটা কথাও স্বীকার করি, শাহবাগ ও হেফাজত আন্দোলন পরবর্তী ঢাকার সামাজিক জীবনে ধর্ম এবং ধর্মের বিধিবিধান নিয়ে এতো বেশী সচেতনতা তৈরী হয়েছে, যে, তথাকথিত প্রগতিশীল বা স্বঘোষিত ........ রাও কুরআন হাদিসের বিভিন্ন রেফারেন্স টেনে মিডিয়াতে কথা শুরু করে! লেখালেখি শামীম ভাইয়ের উপর ওদের ওপর রাগই বোধ হয় ঝেড়েছে অনেকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: আর বইলেন না, এরা না ওদিকে পেরেছে, আর না এদিকে পেরেছে। এখন একটু শুশিল সাজার নাটক করে যদি জাতে ওঠা যায়।