নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেকার জীবন(২য় পর্ব)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

ঢাকা শহরে ব্যাচেলরদের জন্য বাসা খুজে পাওয়া যেখানে চাকুরী পাওয়ার চেয়েও কঠিন সেখানে সৌভাগ্যবশত খুব সহজেই মেস খুজে পেল রাশেদ । বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের এক রুমমেটের সহয়তায় মেস খুজে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হল না তাকে । চাররুমের একটি বড় ফ্লাট,ভাড়া ত্রিশ হাজার টাকা।মোট ১৫ জন সদস্য এই মেসে। রাশেদকে সব মিলিয়ে আড়াই হাজার টাকা দিতে হয়, আর খাওয়ার খরচ দুই হাজার টাকা। তোশক পেতে ফ্লোরে ঘুমাতে হয়,বাকি মেসমেটরাও এভাবেই ঘুমায়। মেসমেটদের মধ্যে চাকুরীজীবী, ছাত্র, বেকার এই তিন ক্যাটাগরির লোকই আছে।

উওরার রাজউক কলেজের নামকরা একজন শিক্ষক রাশেদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়,তিনিই মুলত রাশেদকে টিউশনি খুজে পেতে সহায়তা করেন।এই লোকটাকে রাশেদ সবসময় খুবই শ্রদ্ধা করে,ঢাকা শহরে যদি কেউ তাকে সহয়তা করে থাকেন তবে ইনিই করেছেন। কথায় আছে আপনের চেয়ে পর ভাল।

দূটো টিউশনি থেকে ইনকাম সাত হাজার টাকা যা তার থাকা খাওয়া ও চাকুরীর আবেদনের জন্য ব্যাংক ড্রাফটের টাকা দিতে দিতে খুব বেশী টাকা অবশিষ্ট থাকে না । এই দেশে সরকারি এবং বেসরকারী উভয় চাকুরীদাতারাই বেকারের ব্যাংক ড্রাফটের টাকা খাওয়ার জন্য হা করে বসে থাকেন । বিসিএস, শিক্ষক নিবন্ধন সব পরিক্ষাতেই এক থেকে দেড় হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট দিতে হয়। এই টাকা একজন বেকার কোথায় পাবে সেটা ভাববার সময় কারো নেই।

রাশেদের দুটো টিউশনির মধ্যে একটি হচ্ছে ঢাকার একটি থানার ওসির ক্লাশ ফাইভের মেয়েকে পড়াতে হয় ।ওসি সাহেব অঢেল সম্পদের মালিক, উওরাতে নিজের ছয়তলা বাড়ি, গাড়ি, এছাড়া যাত্রাবাড়ীতেও একটা ফ্লাট আছে যাতে উনার ছেলে থাকেন। এত সম্পদ কিভাবে অর্জন করেছেন সেটা নিয়ে রাশেদের খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। ওসি সাহেবর ব্যবহার ভাল, রাশেদকে স্নেহ এবং সম্মান দূটোই করেন। তাছাড়া ওসি সাহেব খুবই নামাজী,নামাজ পড়তে পড়তে কপালের নিচে দাগ ফেলে দিয়েছেন। রাশেদের পড়ানোয় ওসি সাহেব মোটমুটি সন্তুষ্ট। প্রতিদিন সন্ধ্যায় চা নাস্তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন, ওসি সাহেবের বাসার গাঢ় দুধের চা খুবই পছন্দ রাশেদের।তাছাড়া প্রায় প্রতি মাসেই ওসি সাহেবের বউ রাশেদকে দাওয়াত করে পোলাও গরু,খাশি, মুরগীর মাংস রান্না করে খাওয়ান।


এই পর্বের শিক্ষাঃ

বেকার জীবনে বড়লোক আত্মীয়ের বাসায় প্রতিদিন গালমন্দ খেয়ে থাকার চেয়ে নিজের অল্প রোজগারে মেসের ফ্লোরে ঘুমিয়েও অনেক শান্তিতে থাকা যায়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

সোনালী ঈগল২৭৪ বলেছেন: বাস্তবধর্মী লিখা , আমার মনে হয় প্রায় সব বেকার যুবককেই এই পরিস্তিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সোনালী ঈগল ভাই

জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে বেকার জীবন। বেকারকে পৃথিবীর কেউই পছন্দ করে না। আবার এই লোকটাই যখন ভাল চাকুরী পায় তখন মেয়ের বাবারা তার পিছনে লাইন দেয় মেয়ে বিয়ে দেওয়া জন্য। সবাই তাকে সম্মান করে এটাই পৃথিবীর নিয়ম।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেকভাই,

বেশ ভালো লাগলো। ঠিকই শহুরে বড়লোক আত্মীয়ের চেয়ে নিজের স্বল্পার্জনে মেসের ফ্লোর অনেক আরামদায়ক, অনেক নিরাপদ ।


শুভকামনা জানবেন ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী ভাই

আপনার মন্তব্য পেলে মনটা ভরে ওঠে। গত পর্বে ওমেরা আপু আমার পোষ্টে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছিলেন, ওনার মন্তব্য ছিল পৃথিবীতে কেউ কারো জন্য কিছুই করে না, তাই কারো কাছ থেকে কোন কিছু আশাকরা উচিত নয়। আশা করলে শুধুইভকষ্ট পেতে হয়। ওমেরা আপুর এই মন্তব্যই দ্বিতীয় পর্ব লেখার অনুপ্রেরণা।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় রাজীব নুর ভাই

এ অভিজ্ঞতা সব বেকারের জীবনের, যেহেতু আমিও একসময় বেকার ছিলাম তাই আমারও। ধরে নিন আমিই রাশেদ।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাশেদ যেই ওসির বাসায় টিউশানি করে, সেই ওসি যেই পরিমাণ সম্পদ দখল করেছে, এতে ২০ জন লোক অনায়সে বেকার হওয়ার ক্থা।

আমাদের দেশের বেকারত্বের কারণ হলো, অল্প পরিমাণ লোকজন বেশী স্ম্পদ দখল করে রেখেছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই
গল্পে বর্নিত ওসি সাথেবের সম্পদের পরিমাণ বর্নণার চেয়েও অনেক বেশি। যেহেতু ওসি সাহেব রাশেদের প্রতি সহানুভূতিশীল তাই ওসি সাহেবের সম্পদের বিস্তারিত বর্ননা দিতে চায় না রাশেদ।৷

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গাজী ভাই।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

করুণাধারা বলেছেন: গল্প এবং শিক্ষা, দুটোই ভালো লাগল। বেকার জীবন প্রথম পর্বের গল্প ছিল দুঃখের, এই গল্পটা পজেটিভ। তাই বেশি ভালো লাগলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: করুনাধারা আপু

দুটি পর্বই পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটি খুবই চমৎকার। আসলে মানুষের দুঃসময় সবসময় থাকে না। তবে এই সময়গুলোতেই মানুষ চেনা যায়।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গল্প দারুন হচ্ছে।

আর কয়টা পর্ব আছে?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া/নিজাম ভাই

যখন লেখা শুরু করেছিলাম তখন পর্ব করার কোন ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু ওমেরা আপুর সুন্দর একটি মন্তব্যে দ্বিতীয় পর্ব লিখতে ইচ্ছা হল। আমি নিজেও জানি না কয় পর্ব হবে। তবে আরও দু' এক পর্বতো হবেই।দেখা যাক কোথায় শেষ হয়?

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বেকার জীবন আসলেই অনেক কঠিন একটা জীবন। টিউশনী সবাই করতেও পারে না আবার করতে চায়ও না। তবু টিউশনী থাকাতে অনেকের জন্য উপকার হচ্ছে। কারো কাছে হাত পাততে হচ্ছে না...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার ভাই

ঢাকা শহরে টিউশনি পাওয়াটা যেমন কঠিন আবার সেটা টিকিয়ে রাখাটাও কঠিন। অভিভাবকদের মনঃপুত না হলে টাকা পয়সা দিয়ে বিদায় করে দেয়। তবে বেকার জীবনে টিউশনি খুবই উপকারী একদিকে যেমন কিছু টাকা পাওয়া যায় আবার অংক ইংলিশের যে চর্চা হয় তা চাকুরীর পরিক্ষায় বেশ কাজে লাগে। আপনি ঠিকই বলেছেন বেকার জীবন জীবনের অনেক কঠিন সময়।

পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শিক্ষা টুকু চিরন্তন সত্য ভাই, বেকার যুবকের আত্মীয় স্বজনের বাসায় পড়ে না থেকে মেস করে চারজন মিলে থাকার মধ্যে ব্যক্তিত্ব থাকে, আত্মতৃপ্তি থাকে। ভালো লাগলো ভাই রাশেদের ঢাকার শহরে টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্প। সুন্দর গুছানো লেখা, দারুণ হয়েছে ভাই।

শুভকামনা রইলো রাশেদের জন্য

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নয়ন ভাই

এই গল্পের মুলভাব আপনার মন্তব্যে ফুটে উঠেছে। আত্মীয়দের বিরক্তির কারণ না হয়ে বেকারদের উচিত নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য প্রাণপন সংগ্রাম করা।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ছোট্টবেলায় পড়া একটা ছড়া মনে পড়ে গেল--

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”


লেখা ভালো লেগেছে তারেক মাহমুদ ভাই ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার সাথে সহমত জাহিদ অনিক ভাই

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৬

চাঙ্কু বলেছেন: মনে হচ্ছে ঢাকার বেশীরভাগ বেকারের জীবনের কথা লেখছেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন বেশিরভাগ বেকারদের জীবনের গল্পগুলো এমনকি।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

সূচরিতা সেন বলেছেন: ভালো লাগলো।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সুচরিতা সেন আপু।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম , লেখার ধারাটি সুন্দর ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২

সনেট কবি বলেছেন: বেকার জীবন আসলেই অনেক কঠিন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন প্রিয় সনেট কবি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.