নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নীলাঞ্জনা

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকের কথা। ঢাকা শহরের আমরা এসেছি এক মাসের মত হবে। আমাদের এই পাড়াটা বেশ সুন্দর, ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকার মত ঘিঞ্জি নয়। সরকারি কোয়ার্টার হওয়ায় চারিপাশে বাউন্ডারি দেওয়া, আছে বেশ কিছু গাছপালা, একটা খেলার মাঠও আছে। পাড়ার মানুষের বিনোদনের জন্য রয়েছে একটি রিক্রেশন রুম, যেখানে সন্ধ্যা বেলায় ক্যারামবোর্ড, দাবা, তাস খেলা হয়। কুড়ি ইঞ্চি একটা সাদাকালো টেলিভিশনে পাড়ার মুরব্বীরা রাত আটটার বাংলাদেশ টেলিভিশনের খবর দেখেন।

আমাদের বাসাটা তিন তলায়। সামনের বিল্ডিংটা বেশ খানিকটা দূরে হওয়ায় জানালা খোলা রাখলে সুন্দর বাতাস আসে এজন্য বেশিরভাগ সময় আমার রুমের জানালা খোলা রাখি। একদিন জানালা দিয়ে খেয়াল করলাম সামনের বিল্ডিংয়ের দোতালায় একটা মেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তার লম্বা চুল আঁচড়াচ্ছে। পড়া ফেলে মেয়েটার চুল আঁচড়ানো দেখতে লাগলাম। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই এক দুইবার মেয়েটাকে দেখতে পেতাম।

আমি শফিক, সদ্য এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে চিটাগং থেকে বাবার বদলীর কারণে ঢাকায় এসেছি।বাবার বদলীটা অনেকদিন আগেই হয়েছে, এতদিন আমার পরীক্ষার কারণে অফিসে রিকোয়েস্ট করে সেটা আটকে রাখা হয়েছিল।
এটা
নতুন পাড়ায় ধীরে ধীরে দু একজন বন্ধু তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইকবাল, মিন্টুদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে। ওরাও আমার মত এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে এখন রেজাল্টের অপেক্ষায় আছে । বেশ সুবিধাই হল, ওদের সাথে পড়াশোনা, কে কোন কলেজে ভর্তি হবো তা নিয়ে আলাপ করা যায়।পড়াশোনার বাইরে আমাদের সবারই প্রিয় খেলা ক্রিকেট, তবে ফুটবল খেলাও পছন্দ করি। আবাহনী মোহামেডানের মধ্যে ফুটবল খেলা হলে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে।সবাই দলবেঁধে স্টেডিয়ামে যাই খেলা দেখতে। নিজ দলের শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করি, যা নিয়ে আমাদের মধ্যে বেশ বাক বিতন্ডা হয়।

কথায় কথায় একদিন জানলাম এ পাড়ার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের নাম নিলু।
- নীলুতো তোদের সামনের বিল্ডিংয়ের দোতালায় থাকে,মিন্টু জানালো।
আমার বুঝতে বাকী রইলো না সামনের দোতালার চুলে চিরুনি করা মেয়েটাই নীলু।

-কিন্তু সাবধান! নীলুকে পাড়ার মতিন ভাই পছন্দ করে। মতিন ভাই ভিশন ডেঞ্জারাস লোক কালা জাহাঙ্গীরের ডান হাত। সবসময় পকেটে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ইকবাল জানলো তথ্যটা।( সে সময় ঢাকা শহরে শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের দুর্দান্ত প্রতাপ ছিল, তার নাম শুনলে পুরো ঢাকা শহর কাপতো। আমাদের বয়সী অনেক কিশোরের হাতেও অস্ত্র তুলে দিয়েছিল এই কালা জাহাঙ্গীর )

ওরে বাবা! শুনে বুকের ভিতর ভয়ের স্রোত বয়ে গেল।

ইস মতিন ভাই আর কোন মেয়ে পেল না পছন্দ করার জন্য।

যদিও আমার রুমের জানালা সবসময় খোলা থাকে তবে আগের মত ওই বাসার দিকে তাকাই না, পরে যদি মতিন ভাইয়ের চোখে পড়ে যাই। আমি জানালায় খুব বেশি না দাড়ালেও দুইএকবার লুকিয়ে লুকিয়ে নীলুকে দেখি আর মনে মনে আফসোস করতে থাকি।

একসময় আমি ইকবাল মিন্টু আমরা সবাই বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হলাম। বিকেলে সবাই পাড়ার রিক্রেশন রুমের সামনে এক হতাম ।পাড়ার মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যডমিন্টনসহ সারাবছর নানান ধরনের খেলা খেলতাম। পাড়ায় দুইটা টিম আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল, আমি ইকবালদের সাথে মিশতাম তাই আমি অবধারিতভাবেই ইকবালদের গ্রুপের সদস্য হয়ে গেলাম। আমাদের কালো চিতা গ্রুপের সাথে রায়হানদের দেশী বয়েজ গ্রুপের দ্বন্দ লেগেই থাকতো। বেশ কয়েকবার দুই গ্রুপের মাঝে দ্বন্দ হাতাহাতি এমনকি মারামারি পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন ছোট খাট দ্বন্দ মতিন ভাই মিমাংসা করে দিতেন। একবারতো দেশী বয়েজ গ্রুপের ছেলেরা আমাদের কালো চিতা গ্রুপের পবনকে বেধড়ক মেরেছিল,
এর কারণ ছিল,
আমাদের বন্ধু পবন মমীকে ভালবাসতো, মমীও পবনকে ভালবাসতো। অন্যদিকে দেশী বয়েজ গ্রুপের ফিরোজও মমীকে ভালবাসতো। মুলত মমীকে নিয়েই এই গন্ডগোলের সুত্রপাত। আমরাও এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম।
আমরা সবাই এক হয়ে হাতে হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম জীবন দিয়ে হলেও এর প্রতিশোধ আমরা নেবোই।
দেশি বয়েজ গ্রুপের বোকাসোকা টাইপের রতন নামের একটা ছেলেকে টার্গেট করলাম। যথারীতি ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে রতন ব্যাপক পেটানো হল, পবনতো পারলে ওকে মেরেই ফেলে। আমরা ওকে অনেক কষ্টে থামাই। এরপর থেকে দুই গ্রুপের দ্বন্দ ভয়াবহ আকার ধারণ করে।আমরা সবাই আতংকের মধ্যে থাকতাম কখন কার উপর হামলা হয়।
আমাদের গ্রুপের মানিকের কাছে রীতিমতো হত্যার হুমকি দিয়ে একটা চিঠি আসলো।

মানিক খুবই ভয় পেয়ে গেল, ওর বাবার কাছে চিঠিটা দেখালো। পাড়ার মুরব্বিরা রিক্রেশন রুমে মিটিং ডাকলেন। মিটিংয়ে পাড়ার সবছেলেদের ডাকা হল। দেশী বয়েজ গ্রুপের লিডার রায়হানের বাবাকে দায়িত্ব দেওয়া হল ওদেরকে সামলানোর এবং আমাদের সবার বাবাকে ডেকে বিষয়টি মিমাংসা করা হল। বড়রা আমাদের সবাইকে ডেকে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করিয়ে দিলেন । সকল অভিভাবক প্রতিজ্ঞা করলেন তাদের ছেলেকে কোন প্রকার মারামারি করতে দেবেন না । বড়দের হস্তক্ষেপের কারণেই বড় ধরনের গন্ডগোল মিটে গেল। কিন্তু মনে মনে ওরা প্রতিশোধ নেওয়ার বুদ্ধি আটতে লাগলো। একদিন ওদের কেউ একজন মতিন ভাইয়ের কাছে আমার নামে অভিযোগ করলো আমি নাকি নীলুর সাথে লাইন মারছি।

মতিন ভাই আমাকে ডাকলেন,
আমিতো ভয়েই অস্থির!
-নীলুর সাথে কি তোমার প্রেম চলছে? মতিন ভাইয়ের প্রশ্ন।
-না, আমি বললাম।

-নীলু যদি তোমায় ভালবাসে তবে আমার আপত্তি নেই, তবে ওকে ডিস্টার্ব করবে না।

-আচ্ছা, আমি মাথা নেড়ে বললাম।
মনে মনে বললাম
-আহারে এতো দেখছি নীলুর সত্যিকারের প্রেমিক।
সেদিন মতিন ভাইয়ের ব্যবহারে আমি অবাক হলাম। আমি ভেবেছিলাম আজ মতিন ভাইয়ের হাতে চড় থাপ্পড় খেতে হবে কিন্তু একি শুনলাম!

ততদিনে নীলুকে দূর থেকে দেখে মনে মনে ভালবেসে ফেলেছি। নীলুর স্কুলে যাওয়া আসার সময়ে গলির মোড়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতাম।বন্ধুদের কাছ থেকে খবর পেতাম নীলুকে মতিন ভাইয়ের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা গেছে, শুনে বুকের ভিতরটা হাহাকার করে উঠতো। আমার অবশ্য বিশ্বাস হতো না মতিন ভাইয়ের মত একটা মাস্তানকে নীলু ভালবাসতে পারে। একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম যেকরেই হোক নীলুকে জানাতেই হবে আমার ভালবাসার কথা। অনেক চিন্তাভাবনা হলুদ রঙের একটা কাগজে আমার ভালবাসার কথা জানিয়ে একখানা চিঠি লিখে ফেললাম।চিঠিটা নীল খামে ভরে চিন্তা করতে লাগলাম কিভাবে নীলুর কাছে পৌছানো যায়?

নীলুদের জানালার পাশে একটা পেয়ারা গাছ ছিল। একদিন রাত এগারোটার দিকে নীলুকে দেখলাম জানালার পাশে চুল আঁচড়াচ্ছে, মনে মনে ভাবলাম এটাই সুযোগ। জানালার পাশের পেয়ারা গাছ বেয়ে দোতালায় উঠে গেলাম, আমার পরনে ছিল সাদা টি শার্ট ও জিনস প্যান্ট । আমি যেই নীলুদের খোলা জানালা দিয়ে চিঠিটা ফেলেছি, ওমনি নীলুর চিৎকার দিল
-ভু-ত-ত, ভুত, ভুত।
আমি ভয়ে তাড়াতাড়ি গাছ থেকে নেমে দ্রুত বাসায় চলে এলাম। ওদিকে ওদের বাসার পেছনের পেয়ারা গাছের নীচে প্রচুর লোকজন জড় হয়ে গেছে। সবাই ভুত খুজছে, কেউ কেউ বলছে
- চোর ই হবে, ভুত বলে কিছু আছে নাকি।
আমি মনে মনে আল্লাহ খোদার নাম জপতে লাগলাম। আমি ধারণা করেছিলাম চিঠিটা হাতে পেয়ে কাল সকালেই নীলুর বাবা আমাদের বাসায় বিচার নিয়ে আসবেন, এরপর কি হবে সেটা ভাবতেই আমার গা শিওরে উঠলো।

যা আশা করেছিলাম তার কিছুই ঘটলো না।নীলুর বাবা বিচার নিয়ে আমাদের বাসায় আসলেন না। সেইদিন থেকে আমার ঘরের জানালাটা পুরোপুরি বন্ধ। এখন আর নীলুর স্কুলে যাওয়া আসার পথে গলির মোড়ে দাড়িয়ে থাকি না। মোটকথা নীলুর ভাবনা মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছি। আর দোয়া করিতে থাকি নীলু র বাবা যেন বিচার নিয়ে আমাদের বাসায় না আসে।

এরপর প্রায় একমাস কেটে গেল কিন্তু কোন বিচার আসলো না। মনে মনে কিছুটা স্বস্তি পেলাম আর প্রতিজ্ঞা করলাম কোনদিন এসব প্রেম ভালবাসার চক্করে জড়াবো না। একদিন আম্মু আমাকে জিরা আনতে বিশ টাকার একটা নোট দিয়ে দোকানে পাঠালেন।কাকতালীয় ভাবেই নীলুর সাথে দেখা, স্কুল থেকে ফিরছে। কোনদিকে পালাবো সেটাই ভাবছিলাম। হঠাৎ নীলু আমাকে ডাক দিল

- শফিক ভাইয়া একটু এইদিকে আসেন
তো।
এখন আর পালানোর পথ নেই। কাছে যেতেই ব্যাগ থেকে নীল রঙের একটা খাম বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিল, আর মুচকি হাসি দিতে লাগলো।আমি কথা না বাড়িয়ে চিঠিটা নিয়ে চলে আসলাম।
-আরে এটাতো আমারই দেওয়া সেই চিঠি!
কিন্তু না, চিঠিটা খুলে ভুল ভাঙল। খাম একই রকম হলেও এটা ভিন্ন চিঠি। চিঠির ভাষা ছিল এমন

শফিক ভাইয়া

সেদিনের পেয়ারা গাছের ভুতটা যে আপনি ছিলেন সেটা বুঝতে না পারায় ওমন চিৎকার করেছিলাম।অন্ধকারে সাদা টি শার্টে প্রথমে আপনাকে ভুত ভেবেছিলাম। ভাগ্যিস চিঠিটা বাবার হাতে পড়েনি, বাবা চিঠিটা পেলে সত্যি মহা কেলেংকারী হয়ে যেতো। ইদানীং আমার স্কুলে যাওয়া আসার পথেও আপনাকে দেখা যায় না আর আপনার রুমের জানালাটাও অনেকদিন ধরে খুলছেন না, এভাবে জানালা বন্ধ রাখলেতো জানালার কব্জাগুলোতে জং পড়ে যাবে। অনেক ভাল থাকবেন।

ইতি
নীলু।

চিঠিটা বুক পকেটে গুজে নিলাম। মনের ভিতর অদ্ভুত এক প্রশান্তি।
আহা ! এটাতো সেই নীলু যার ভালবাসা পাওয়ার জন্য সারা পাড়ার ছেলেরা ব্যাকুল।
মনের ভিতর বেজে উঠলো নচীকেতার সেই বিখ্যাত গান
" সে প্রথম প্রেম আমার নীলাঞ্জনা"।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শেষের দিকে বললেন 'মিলি'। আসলে কি? নীলু নাকি মিলি। যাই হোক, নামে কি আসে যায়! প্রেমটাই আসল। জানতে ইচ্ছা করে, সেই প্রথম প্রেমের পরিণতি!!

মতিন সাহেব প্যাদানী দেয় নাই তো! ব্যর্থ প্রেমিকরা ভয়ংকর হয়.....যতোই সুন্দর সুন্দর কথা বলুক না কেন! ;)

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি,প্রথমে মিলিই ছিল পরে নাম পরিবর্তন করেছি এ কারণেই এক জায়গায় রয়ে গিয়েছিল। হা হা সব ব্যর্থ প্রেমিকরা অবশ্য রকম নয়।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২০

তারেক ফাহিম বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।

নীলু নামের প্রতিটি প্রেমই একসময় প্রথম প্রেম হয়ে যায়, নীলাঞ্জনা গানের স্বার্থকতায় B-)

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা এই গল্পের নায়িকার নাম প্রথমে মিলি ছিল, পরে নচীকেতার গানটা মনে করেই নামটা নীলু দিলাম।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

মা.হাসান বলেছেন: আবাহনী-মোহামেডান ফুটবলের উত্তেজনা, গ্যালারিতে ইট বৃষ্টি, রেফারির মাথা ফাটানো- অনেকদিন পর পুরানো অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। যদিও কোন নীল খামের ঘটনা আমার ঘটেনি, পাড়ায় পাড়ায় উত্তেজনা অনেক চলতো। খুব ভালো লাগলো।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আসলেই আবাহনী মোহামেডান খেলার সেই উত্তেজনাকর দিনগুলো অনেক মজার ছিল,ইস আপনার দূর্ভাগ্য নীল খামের চিঠি পাননি।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: "ইদানীং স্কুলে যাওয়ার পথে আপনাকে দেখা যায় না।" লাইটা পড়তে পড়তে পুরানো স্মৃতিতে হারিয়ে গেলাম।

উপস্থাপন ভালো লেগেছে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকে নস্টালজিক করতে পেরেছি জেনে ভাল লাগলো , অনেক ধন্যবাদ জুনায়েদ ভাই।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পাড়ার সবচেয়ে সুন্দরীদের পেছনে এই মতিনরা লাইন দেবে কেন? তারের, ফায়েক, সাফাত নামের ভদ্র পোলাদের অধিকার নীলাদের সাথে প্রেম করার! মনে হচ্ছে তারেক বন্ড ০০৭! নীলুটা খুব বোকা, প্রেমের জাদুকরকে কেউ ভূত বলে ভয় পায়? যাক, শেষ পর্যন্ত প্রেমপত্রে ভালোবাসার সূর্য উদিত হলো। নীলাঞ্জনার শুভদৃষ্টি প্রেমিক মনকে ভিজিয়ে দিলো।

গল্পে ভালো লাগা। ++

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আরে বাহ দারুণ বলেছেন তো, ছেলেবেলায় সব পাড়ার কিশোরদের ওরকম কিছু গ্রুপ থাকে তবে সবাই নয়ন বন্ড হয়ে যায় না, তবে অনেক নীলুরাই ভুল করে বখাটেদের প্রেমে পড়ে যায়। অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা কাওসার ভাই।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই, ভালবাসা রইলো।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

জুন বলেছেন: আগেতো আবাহনী মোহামেডান খেলা হলে পাড়ায় পাড়ায় দুই দলের পতাকা উড়তো । আমার ভাই বোনেরাও দুই ভাগে বিভক্ত ছিলাম । কি যে অবস্থা ।
যাই হোক এই সব প্রেম এখন হলে আপনি জেল খাটতেন মাদক মামলায় :-& ভাগ্যিস নব্বই দশকের শুরুতে ঘটনা ঘটছিলো বলে অল্পতে ছাড়া পাইছেন । জানলায় কি সত্যি জং ধরেছিল তারেক মাহমুদ B-)
গল্পে প্লাস ।
+

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: জুনাপি, সত্যি কি উন্মাদনাই না ছিল আবাহনী মোহামেডান ফুলবল খেলাকে কেন্দ্র করে! প্রেম সংক্রান্ত ঝামেলা কিশোরদের মধ্যে সব সময়ই ছিল তবে বর্তমানে মাদক আধুনিক প্রযুক্তি মোবাইল কিশোরদের আরও ডেসপারেট করে তুলেছে। অনেক ও শুভকামনা।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেক ভাই,

গল্পের লাস্টে সে বেশ মজা পেলাম। হাহাহাহাহা জানলায় যখন জং পড়ে গেছে,। প্লিজ এভাবে জানলা বন্ধ করিয়েন না।
তবে বাস্তবে জানালায় কতটা জং ধরেছিল জানিনা কিন্তু মনের জানালার ধরা মরচে যে মুহুর্তে উবে গেল তা হলফ করে বলতে পারি। হাহাহা....

পোস্টে নবম লাইক।
শুভকামনা জানবেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা তা বেশ বলেছেন এক চিঠিতেই দূর হয়ে যায় জানালার মরিচা। পাঠ মন্তব্য ও লাইকের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভালবাসার গল্পে ++++

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১০

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব গল্প।
একদম তরতর করে লিখে গেছেন সহজ সরল ভাষায়।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: গল্পতো বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্! বাহ্!
নব্বই দশকের মিষ্টি মিষ্টি প্রেম, বন্ধুরা মিলে মাঠে খেলা, দুই গ্রুপের মারামারি, মুরুব্বীদের হস্তক্ষেপ, বাড়িঘরের চালচিত্র,সবকিছু যেন আরেকবার ফিরে পেলাম এই গল্পে।

৩০ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ভয়ে ভয়ে গল্পটি পোস্ট করেছিলাম, আপনাদের নস্টালজিক করতে পেরেছি জেনে খুশি হলাম। অনেক শুভকামনা রইলো।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: নীলা নাকি সবার সয় না! সবার কপালেও জুটে না। নায়ক তো দেখি না চাইতেই আস্ত নীলাঞ্জলীকে যোগার করে ফেলল। কিছু পুরানো স্মৃতি মনে পড়ে গেল! গল্প ভাল লেগেছে।
ভাল থাকুন তারেক ভাই!

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা, ঠিকই বলেছেন নীলা সবার সয় না

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

সুমন কর বলেছেন: গল্পের কারণে পুরনো কিছু মনে পড়ে গেল। ভালো লাগা রইলো।
+।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: নস্টালজিক হয়েছেন জেনে ভাল লাগলো, অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা।

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা হা ...

গল্পের শেষে যেন বাসন্তি হাওয়ারা বুকের ভেতর দোলা দিয়ে গেল :)
হা হা হা

+++++

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাসন্তী হাওয়া কবিকে দোলা দিয়েছে জেনে ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো।

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালোই লাগলো । তবে মনে হয় আগে একবার এটা পড়েছি।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কি বলেন কাল ই তো লিখলাম, এখনো কিছু কারেকশন বাকী রয়েছে। তবে অনেক আগে এই থিমের উপর একটা গল্প লিখেছিলাম যা ভোরের কাগজ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৩:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এস এস সি দিয়ে চিটাগাংগের কর্ণফুলী পার হতে দীর্ঘ পথ বেয়ে মেঘনা, তিতাস, পেরিয়ে পূবালী ফসলের মাঠ ঘাট ছাড়িয়ে ইট কাঠের ঢাকা শহরের মোটামোটি ছিমসাম ভদ্রজনোচিত ছায়াঘেরা পরিবেশে কল্পনার নীল চোখের সেই অপরিচিতা নিলাঞ্জনাকে শফিক বেশ সহজেই খুঁজে পেয়েছে দেখে ভাল লাগল । কালা জাহাঙ্গীরের ( এ কথা সত্য যে কালা জাহাঙ্গীর এক সময়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে সন্ত্রাস করেছে, সে কোনো মিথ নয়) সাগরেদ ভীতিকর মতিনও বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি, বাঁধা হয়েছিল শফিকের দ্বিধাদন্ধে থাকা মন। শফিকের ডেসপারেট হওয়ার জন্য তার পারিবারিক ও সেখানকার সামাজিক পরিবেশটিও অবশ্য সহায়ক ছিলনা।

যাহোক, গল্পটি শেষ হয়েও হলোনা শেষ, রয়ে গেল আরো কিছু কথার রেশ , নিলাঞ্জনার কাছে শেষতক প্রশ্রয় পেয়ে শফিক অবশ্য বলতে পারতো, আমি আসলেই কোন ভুত নই আমার আছে কোমলমতি একটি প্রাণ, রয়েছে আকাশের মত বিশাল একটি হৃদয়। আমি তোমার প্রেমের কাঙাল। আমি তোমার সান্নিধ্য চাই। ভালোবাসা চাই। জানালা গলে চুপি চুপি দেখা আমার ভালোবাসার নীলাঞ্জনাকে পেতে চাই। একান্ত আপন করে অতি নিভৃতে।আর কিছু না হোক পাঠক হিসাবে আমরা পুলকিত হতে পারতাম :) যাহোক, জানালায় যে জং ধরে নাই আর শফিক মনে মনে যে আওরাতে পেরেছে " সে প্রথম প্রেম আমার নীলা্জনা " সেটাই বড় শান্তনা :)

সুন্দর গল্পটির জন্য ধন্যবাদ ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য সত্যি আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া, গল্পে মিষ্টি প্রেমের পাশাপাশি একটি নিদিষ্ট সময়কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক ধন্যবাদ ও অঅনুপ্রেরণা। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালবাসা ।

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: গল্পতো বাস্তব জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। অনেক শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো।

আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, আপনি বানিয়ে বানিয়ে লিখেন না। বাস্তব ঘটনা গুলোই লিখেন। ভেরি গুড।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কিছুটা বাস্তবের ছোয়া থাকবেই, তবে পুরোপুরি বাস্তব ঘটনাকে গল্পে পরিনত করা কঠিন, তবে হুমায়ুন স্যারের ব্যাপারটা আলাদা উনি যা বলতেন তাই গল্প হয়ে যেতো।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২১

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব ভাই যা বলল তা যদি সত্য হয় তাহলে কংগ্রাচুলেশনস নিন। এটা বাকি ছিল।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হা হা হা, যতগুলো গল্প লিখেছি সব নীলুদের অস্তিত্ব যদি সত্য হতো তাহলেতো পালানোর পথ খুঁজে পেতাম না.

২০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

অন্তরা রহমান বলেছেন: পড়তে পড়তে গানটা যেন ব্যাকগ্রাউন্ডে শুনলাম। সুন্দর গল্প। :D

০১ লা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্তরা আপু।

২১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৪

মুক্তা নীল বলেছেন:
তারেক ভাই ,
গল্পটা পড়ে নস্টালজিক করে দিলেন। পেয়ারা গাছে
অথবা আরেক বাসার সানসেটে পাইপ বেয়ে উঠে উকি
মারা,হাতের চিঠিলেখা সেই দিন গুলো এখন আর নাই

আন্তরিক ধন্যবাদ রইল ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, খুবই ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে, অনেক শুভকামনা।

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

মিরোরডডল বলেছেন: True story?

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটা স্রেফ একটা গল্প, তবে গল্পের স্থান সময় আমার চেনা কিছু চরিত্রও বাস্তাব জীবন থেকে নেওয়া, মোটকথা কল্পনা আর বাস্তবের মিশেল একটি গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.