নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লেখক নই, মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবনাগুলো লিখতে ভাল লাগে। যা মনে আসে তাই লিখি,নিজের ভাললাগার জন্য লিখি। বর্তমানের এই ভাবনাগুলোর সাথে ভবিষ্যতের আমাকে মেলানোর জন্যই এই টুকটাক লেখালেখি।

তারেক_মাহমুদ

পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত

তারেক_মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইদের ছুটিতে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৬

প্রতিবারই গ্রামে গেলে সামু ব্লগারদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করা আমার একরকম নিয়ম হয়ে গেছে। সামু ব্লগারদের আমি কাছের মানুষ ভাবি তাই অনেকের মতের সাথে আমার মতের মিল না থাকলেও কোন প্রকার ঝগড়া বা ঝামেলাতে জড়াই না। প্রতিটি মানুষের চিন্তাচেতনা ভাললাগা মন্দলাগা ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়া দোষের নয় তবে সেটা হতে হবে শালীনতা বজায় রেখে এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে। যাকগে ধান ভানতে শীবের গীত গাইতে চাইনা।

এবারের ইদে বাড়ি যাওয়াটা অনেক ঝামেলাপূর্ণ ছিল। সকাল নয়টার গাড়ি ছাড়লো দুপুর দেড়টায়। এরই মধ্যে অনেকেই রেগেমেগে টাকা ফেরত নিয়ে চলে গেল তা নিয়ে অবশ্য কাউন্টারের লোকেদের খুব একটা চিন্তিত মনে হল না বরং দুইশত টাকা বেশিতে সেই টিকিট বিক্রি করে দিল আমাদের সামনেই। একেই বলে ঝোক বুঝে কোপ মারা।

সাড়ে চারটায় পৌছালাম পাটুরিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিঘাটে প্রায় পাচ কিলোমিটার গাড়ির জট, হাজারো গাড়ির লম্বা লাইন। এই সুযোগে কিছু স্থানীয় লোকজন মৌসুমি হোটেল ব্যাবসা শুরু করে দিয়েছে। তেলচপচপে পরোটা ডিম আর খিচুড়ি খাওয়ার জন্য ক্ষুদার্থ মানুষগুলো হামলে পড়েছে এসব হোটেলে।কেউ কেউ গাড়ি থেকে নেমে নৌকায় করে পাশের বিলে দশ পনেরো মিনিটির নৌকা ভ্রমনের আনন্দ নিয়ে আসছে। আসলে পৃথিবীতে কিছু সুখী মানুষ আছে যারা শত কষ্টের মাঝেও আনন্দ খুঁজে নেয়।

রাত এগারোটা নাগাদ গাড়ি ফেরিতে উঠলো। আহা অবশেষে শান্তি! ফেরির উপরের তলায় পদ্মার ঠান্ডা হাওয়ায় দারুণ লাগছিল। চা খাওয়ার ইচ্ছে হয়েছিল বেশ কয়েকবার কিন্তু যখনি মনে হল
'আরে এই চায়ের পানিতো নদী থেকে তোলা হচ্ছে আবার ফেরির টয়লেটের মলমুত্রও নদীতে মিশছে, তখনই চা খাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললাম। আসলে পদ্মার এসব লঞ্চ ফেরির সব খাবারই রান্না হয় এই মলমুত্র মিশ্রিত নদীর পানি দিয়ে।

রাত দুইটা নাগাদ গাড়ি থেকে নামলাম। বাসস্ট্যান্ড থেকে আমারদের বাড়ির দূরত্ব প্রায় সাত কিলোমিটার এই মাঝরাতে গ্রামের রাস্তায় গণপরিবহন পাওয়ার আশা করাই উচিত নয় তাই আশা করি নাই। গ্রামে উবার পাঠাও না থাকলেও ভাড়ায় মোটরসাইকেল সার্ভিস আরও অনেক আগে থেকেই চালু আছে। পরিচিত এক মোটর সাইকেল ড্রাইভারকে ফোন দিলাম, দশ মিনিটেই সে হাজির। অবশেষে নিজ বাড়িতে পৌছালাম এবং আঠারো ঘন্টার যাত্রার সমাপ্তি ঘটলো।

এবার গ্রামের কিছু ছবি দেখেন

এখন চলছে পাটের মৌসুম, পাটকাটা, জাগ দেওয়া,পাটের আশ ছাড়ানো, পাট শুকানো তারপর বিক্রির বিক্রির উপযোগী হয় পাট।



বাড়ির উঠানের পাশে গাছ ভর্তি পাকা টসটসে জাম্বুরা, লেবু, মাচায় ঝুলছে চালকুমড়া



কয়েকদিনের ঝুম বৃষ্টিতে উঠানের পাশে ফুটেছে শতশত রেইন লিলি


বিঃদ্রঃ অনেকদিন কিছুই লেখা হচ্ছে না তাই উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্যই এই পোস্ট।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আহারে আমার বড় চাচার পাটের ব্যাবসা ছিলো। পাটকে তিনি খুব ভালোবাসতেন।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এবারও কৃষক পাট নিয়ে চিন্তিত আছে পাটের নায্যমুল্য পাবেন কিনা, আসলে এভাবে চলতে থাকলে পাটের চাষ একসময় এদেশ থেকে বিলুপ্ত হবে।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: রেইন লিলি আমাদের বাসায় আছে। যখন ফুল ফোটে অনেক গুলো করে ফোটে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক রেইন লিলি একসাথে অনেকগূলো ফোটে। অনেক সুন্দর দেখতে।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: পদ্মা সেতু হয়ে গেলে আপনাদের আর এত কষ্ট হবে না।
ছবি গুলো ভালো লাগলো।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:২২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পদ্মাসেতুর অপেক্ষাতেইতো আছি, আশাকরি অচিরেই লাঘব হবে এ যন্ত্রণার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে ঈদে প্রিয়জনের কাছে ফিরে যাবার কাছে এই সব কষ্ট কোন ব্যাপারই না। আমিও এবার ঈদে অনেক বছর পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ভালো মন্দ মিলিয়ে খুব চমৎকার একটা অনুভুতি! গ্রামে যাওয়ার সব চেয়ে আনন্দ হচ্ছে যাওয়ার দিন, যাওয়ার সময়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: তা অবশ্য মন্দ বলেননি ভাই, শত যন্ত্রণা সহ্য করেও প্রিয়জনের সাথে ইদ করার আনন্দের কোন তুলনা নেই। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
তারেক ভাই ,
এবারও ঈদ পরবর্তী পোস্ট ভালো হয়েছে । অপেক্ষায় ছিলাম
ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে। নতুন গল্প কই ?

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকে ইদ পরবর্তী শুভেচ্ছা আপু, গল্প লেখার চেষ্টা সবসময়ই ভিতর ভিতর চলছে কেন যেন আসছে না গল্প। দেখি কতদিনে পারি নতুন গল্প লিখতে।

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাদের থাকে অবশ্য ফেরী পার হবার যন্ত্রনা আর আগে আমাদের থাকত সেতুর জ্যাম। এখন সেই জ্যাম প্রায় নেই বললেই চলে, তবে মাঝে মাঝে গাড়ীর চাপ বেশি হলে, টোলের জন্য জ্যাম হয়ে যায়।

আমরা সাধারনত দলবেঁধে গ্রামে যাই। দলবেঁধে গেলে উত্তেজনায় কেউ খাবে না, রান্না হবে না। সবাই মাঝপথে গিয়েই খাবে। মেন্যুও ফিক্সড। পরটা, ডাল, ভাজি আর বিফ!! সকলের খাওয়া দেখে মনে হয় অমৃত খাচ্ছে! কি একটা অদ্ভুত ছেলেমানুষী!

আর আমি একা যতবার গিয়েছি, ততবার রাস্তার খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনে ভেঙ্গে গেছি। ধরেন, রাস্তায় বেশি জ্যাম হলে - আমি ট্রেনে চলে যেতাম। ঈদের সময় টিকিটের ঝামেলা আমি কখনও পাই নি। কারন ভেঙ্গে ভেঙ্গে যাওয়ার সিস্টেমটাও বেশ ভালো ছিলো।

আমার একটা প্রিয় পথ আছে, যেটা একা গেলে আমি গ্রহন করি। গ্রাম আর ডাকাতিয়া নদীর পাশ দিয়ে খুব চমৎকার একটা রাস্তা গেছে। সেই রাস্তায় আমি অটো রিক্সা করে শর্টকাটে বাড়ি পৌছানো যায়।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনারা সেতুর জ্যামের থেকে বেচে গেছেন জেনে ভাল লাগলো, আশাকরি একদিন পদ্মাসেতু আমাদেরকেও এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে।

পাটুরিয়া দৌলদিয়া ঘাটে ভাল কোন হোটেল নেই আর ফেরির খাবারও জঘন্য।
অনেক ভাল লাগলো আপনার ইদে বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা।

শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইলো ।

৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা গাও গেরামের ছবি
এসব দেখে আর আসতে ইচ্ছে হয় না
শুধু মুগ্ধতা

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঈদ মোবারক।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা সাজ্জাদ ভাই।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাটের ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের এলাকার মাঠে, পাট-ক্ষেতে মাছ পাওয়া যায়?

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের এলাকার নদী নালা ধানক্ষেত পাটক্ষেত সর্বত্রই মাছের ছড়াছড়ি, মাছধরা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম বেশ কিছুদিন আগে।

১১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাদের গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যেতে চাই। নিবেন??

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৪২

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অবশ্যই,আপনাকে সাদর আমন্ত্রন, কখন যেতে চান শুধু বলবেন।

১২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: রাস্তার ট্রাফিক জ্যামকে কাজে লাগিয়ে হোটেল ব্যবসা, বিল এ নৌকা ভ্রমনের ব্যবসার আইডিয়াটা বেশ ভাল লাগলো।

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাঙালীর বুদ্ধির তারিফ না করে পারা যায় না।

১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৬

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনাদের গ্রামের মানুষরাও মনে হয় অনেক সুন্দর,গ্রামের মতই!

২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আসলে সব জায়গায় ভাল মানুষ এবং খারাপ মানুষ উভয়ই আছে, তবে গ্রামে ভাল মানুষের সংখ্যাই বেশি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের অফিস চত্ত্বরেও রেইন লিলি ফুটেছে দেখতে দারুণ।

কবে যে মানুষ শান্তিমত বাড়ি ফিরতে পারবে ঈদ মৌসুমে ?

+++

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা মাইদুল ভাই।

১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

সুমন কর বলেছেন: এবার অতিরিক্ত জ্যাম পড়েছিল !!! অল্প কথায় অনুভূতি ভালো প্রকাশ পেয়েছে। লিলি ফুলগুলো দেখতে দারুণ লাগছে।

২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যত কষ্টই হোক দীর্ঘদিন পরে বাড়ি ফেরার মজাই আলাদা। তবে রাত দুটোর সময় বাইক সার্ভিসটা কিন্তু বেশ আধুনিক। কলকাতায় নিউটাউনে কিন্তু এই পরিষেবা চালু আছে। কষ্টকর সুখানুভূতি পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা প্রিয় তারেক ভাইকে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

মিরোরডডল বলেছেন: ছবিগুলো ভালো লেগেছে ।
গ্রাম সবসময়ই খুব সুন্দর ।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.