![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সব ভাল টিকে থাকুক শেষ দিন পর্যন্ত
সৈনিকের ভালবাসা(১ম পর্ব)৷
দুইঃ
সেদিনের সকালটা আর দশটা সকালের মতই পাখিদের কলকাকলীতে মুখরিত ছিল পিলখানা বিডিআর ক্যাম্পের গাছগুলো। বিডিআর সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ দিন। দিনটা ছিল বিডিআর সপ্তাহের প্রথম দিন। শুরু হল বিডিআর সপ্তাহের অনুষ্ঠান।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিডিআর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেশগঠনের মন্ত্র দিলেন এরপর মহাপরিচালক স্যারও বিডিআর সদস্যদের দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত হতে বললেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সময়ও আমি বুঝতে পারিনি আগামীকাল কি ঘটতে যাচ্ছে।পরেরদিন ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৯ দরবার হলে অন্যদের সাথে আমিও উপস্থিত ছিলাম। বিডিআরের কিছু আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মহাপরিচালক স্যার এবং অন্যান্য সিনিয়র অফিসারেরা জোয়ানদের সাথে আলোচনা করছিলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম অস্ত্রসহ প্রবেশ করলো একদল জোয়ান। ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হকচকিয়ে গেলাম, নিজের চোখকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, সাধারণ সৈনিকেরা অফিসারদের বুকের উপর অস্ত্র তাক করে আছে।এমন জঘন্য পরিকল্পনা কখন হল আগে আচ করতে পারলাম না। আমার ধারণা আরও অনেকেই আমার মত অবস্থা।কেউ কেউ অন্যদের দেখাদেখি হাতে অস্ত্র তুলে নিল। অল্পসময়ের মধ্যেই পুরো পিলখানা মৃত্যুপুরিতে পরিনত হল।
অফিসারদের প্রতি জোয়ানদের কিসের এত ক্ষোভ আমি বুঝতে পারলাম না। কয়েকজনকে দেখলাম
অপারেশন ডালভাতের লাভের টাকা থেকে জোয়ানদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জোরে জোরে চিৎকার করছে। আমার ব্যাচমেট অনেকের মুখেই দেখলাম লাল কাপড় বাধা, যদিও তারা আমার এতই পরিচিত যে লাল কাপড়েও আমার চিনতে অসুবিধা হল না। ট্রেনিংয়ের সময় আমাদেরকে হাজারবার বলা হয়েছে বিদ্রোহের শাস্তি কতটা ভয়াবহ, কিন্তু উন্মত্ত বিডিআর সদস্যদের মাথায় তখন খুন চড়ে আছে। অফিসারদের খুন না করা পর্যন্ত এদের থামানো যাবে না। এরই মধ্যে আমার এক ব্যাচমেটের হাতে দেখলাম দুটি অস্ত্র। একটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিল অনিচ্ছা সত্ত্বেও অস্ত্রটি নিতে হল। ওই মুহুর্তে অস্ত্র ফেলে দিতেও পারছিনা। এরই মধ্যে মেজর নাজিম স্যারকে দেখলাম প্রাণ ভয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। নাজিম স্যারের আন্ডারে আমি অপরেশন ডালভাতে অংশ নিয়েছিলাম তাই স্যারের সাথে আমার সম্পর্ক ভাল, স্যার আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করতেন। একজন সৈনিক তাকে গুলি করতে গেল, আমি তাকে বাধা দিলাম বললাম
' এভাবে মানুষ মারিস না তোর কি আল্লাহ খোদার ভয় নেই?
আমার কথায় সে থেমে গেল। নাজিম স্যার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। আমি অস্ত্র ফেলে দিয়ে অফিসার কোয়ার্টারের দিকে গিয়ে দেখলাম মৃত অফিসাদের পরিবারের সদস্যদেরও উন্মত্ত বিডিআর জোয়ানেরা বন্দী করে রেখেছে। একজন লেডি ডাক্তারের দিকে নল তাক করে রেখেছে আমারই এক বন্ধু, প্রাণ ভয়ে ডাক্তার ম্যাডাম চোখ বন্ধ করে আছেন। আমি তাকেও বাধা দিয়ে বললাম,
'উনি আমাদের চিকিৎসা করেন, আমাদের অনেক উপকার করেন উনাকে মারিস না ' আমার কথায় আমার ব্যাচমেট বন্ধু থেমে গেল এবং লেডি ডাক্তার ম্যাডামকে ছেড়ে দিলো।
ততক্ষণে বিডিআর ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেটা বুঝতে আমার অসুবিধা হল না। দুই একজন অতিউৎসাহী বিডিআর সদস্য মুখে লাল কাপড় বেধে ওয়ালের ফাক দিয়ে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন এবং নিজের মহাবীর হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ততক্ষণে পিনখানা লাশের স্তুপে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ মাটি খুড়ে লাশগুলো পুতে ফেলতে ব্যাস্ত। প্রথমদিনের নারকীয় তান্ডবলীলার পর বিডিআর ক্যাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। রাতের আঁধারে পিলখানা যেন অন্ধকার এক মৃত্যুপুরি। ইতিমধ্যেই হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী কেউ কেউ উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন কাজটা মোটেই ভাল হয়নি, তাদের সামনে মহাবিপদ তাই সাধারণ পোশাকে তারা পালাতে ব্যস্ত ।কেউকেউ অস্ত্র নিয়ে ওয়ালের চারপাশে পাহারারত। আমি এর কোনটার মধ্যেই নেই আমি শুধু দেখেই যাচ্ছি।
পরেরদিন মৃত্যুপুরি পিলখানাতে সকাল নেমে এল। ক্ষুধা এবং পানির পিপাসা দুটোর কোনটাই আমাদের মধ্যে নেই। আমার ভাবনা একটাই কখন সেনাবাহিনী ট্রাংকদিয়ে ওয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করবে এবং গুলি করে আমাদের সবাইকেই মেরে ফেলবে। আমার ধারণা আজ আমাদের মৃত্যু নিশ্চিত। বাবা মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। মা বাবার একমাত্র নাড়িছেঁড়া ধন আমি, তাদের বিয়ের বিশ বছর পর সৃষ্টিকর্তা আমাকে তাদের জন্য উপহার দিয়েছিলেন। বাবা মায়ের সেই নাড়িছেঁড়া ধন আজ দেশদ্রোহী অপবাদ নিয়ে মারা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। আর আমার ফাতেমা? সেও কি আমাকে দেশদ্রোহী ভাববে?নিশ্চয়ই তার অন্যকোথাও বিয়ে হয়ে যাবে আর মনে মনে আমাকে খুনি দেশদ্রোহী বলে গালি দেবে।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে সে খবর আমাদের কানে আসতে লাগলো। একসময় ডিএডি তৌহিদ স্যারের নেতৃত্বে সরকারের সাথে সফল আলোচনা হল। সব বিডিআর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলো সঙ্গে আমিও। পুরো পিলখানার নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনীর হাতে চলে গেল। আমাদের সবাইকে বন্দী করা হল।
তিনঃ
কারাগারে ভয়াবহ সময় পার করতে লাগলাম।প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। ভয়াবহ শারিরীক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কয়েক জন আত্মহত্যার পথও বেছে নিল। একেএকে সবার বিচার শুরু হল। কারো কারো ফাসি এবং বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হতে লাগলো।
একদিন মা বাবা আমাকে দেখতে এলেন, আমার বুক ফেটে কান্না পাচ্ছিল কিন্তু কাদলাম না। শুধু মাকে বললাম
'মা তুমি অন্তত বিশ্বাস কর এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আমি জড়িত নই, তুমি যদি বিশ্বাস না কর তবে আমি মরেও শান্তি পাবো'
মা বললেন
'পৃথিবীর আর কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক আমি বিশ্বাস করি আমার ছেলে এমন জঘন্য কাজ করতে পারেনা'
ফাতেমা কেমন আছে কথাটা মায়ের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু জিজ্ঞেস করলাম না।
সামরিক আদালতে আমার বিচার শুরু হল। মেজর নাজিম স্যারকে দেখে ভেবেছিলাম স্যার হয়তো আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেবেন,ন কিন্তু না তিনি আমার বিপক্ষেই সাক্ষ্য দিলেন (নাজিম স্যার সেদিন পিলখানার উচু ওয়াল টপকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলে) তিনি বললেন
আমাকে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে না দেখলেও আমার হাতে অস্ত্র দেখেছেন।
আসলে স্যারের কোন দোষ নেই দুর থেকে উনার পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না কে উনাকে মারতে চেয়েছিলেন আর কে উনাকে বাচিয়েছিল।
বিচারক তখন আমাকে বললেন
'এমন কি কেউ আছে যিনি তোমাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারে?
এমন কারো নামই মনে পড়লো না।অধিকাংশ অফিসারকেই মেরে ফেলা হয়েছে আর সব সেপাইরাই আমার মতই আসামি তাই তারা সাক্ষ্য দিলেও সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না।সেদিনের মত আদালত মুলতবি হল। রাতে শুয়ে শুয়ে মায়ের কথা বাবার কথা ছেলেবেলার নানা স্মৃতি মনে পড়তে লাগলো। অপরাধী না হয়েও আমাকে ফাসির দড়িতে ঝুলতে হবে, হে আল্লাহ তুমি আমাকে সাহায্য কর এমন কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করেই লেডি ডাক্তার ম্যাডামের কথা মনে পড়ে গেল, একমাত্র উনিই পারেন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে।
লেডী ডাক্তার ম্যাডাম আমার পক্ষেই সাক্ষ্য দিলেন,আমি তার প্রাণ বাচিয়েছিলাম সেটা তিনি কৃতজ্ঞতার সাথেই স্বরণ করলেন। আমি ধড়ে কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলাম।ডাক্তার ম্যাডামের সাক্ষ্যে ফাসি থেকে রক্ষা পেলেও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হল না যে আমি আপরাধে জড়িত নই। বিচারে পাচ বছর মেয়াদে কারাদণ্ড হল আমার । যেহেতু বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতেই তিন বছর পার হয়েছে আর দুই বছর পরই আমার মুক্তি।
চারঃ
জেলখানায় বসে প্রতিটি দিন গুনতে লাগলাম কবে সেই হবে সেই কাংখিত মুক্তি? এরইমধ্যে আমার মামা এসেছিলেন আমার সাথে দেখা করতে। উনার কাছ থেকে খবর পেলাম মা মারা গেছেন বাবার শরীরও খুব একটা ভাল নয়। এই খবরে আমি খুবই মুষড়ে পড়লাম, আমি এমনি এক অভাগা ছেলে যে তার মায়ের কবরে মাটি পর্যন্ত দিতে পারলো না।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নিজ গ্রামে গেলাম। গ্রামে গিয়ে আরও একটি দুঃসংবাদ পেলাম। বাবাও আর পৃথিবীতে নেই। আমার শোকে আর বার্ধক্য জনিত কারণে দুই মাস আগে তিনিও মারা গেছেন। আমাদের অধিকাংশ জমিজমাই তিনি বিক্রি করে গেছেন । হয়তোবা এমনও হতে পারে গ্রামের মানুষ ওগুলো দখল করে নিয়েছে। শুরুমাত্র ভিটেবাড়িটাই জীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
আর ফাতেমা?
যা ভেবেছিলাম তেমনটাই ঘটেছে, ফাতেমার বিয়ে হয়ে গেছে আমাদের পাশের জেলা মাগুরার একজন স্কুল শিক্ষকের সাথে। ফাতেমা শ্বশুর বাড়িটা নড়াইল থেকে মাগুরা যাওয়ার রাস্তার পাশে। জায়গাটা আমার পরিচিত।
গ্রামে মাসখানেক কাটালাম। গ্রামটা দিন দিন অসহ্য মনে হতে লাগলো আমার। যে গ্রামে মা নেই বাবা নেই ফাতেমা নেই সেই গ্রামে থেকে কি হবে? অনেকটা পানির দামের মাত্র তিন লাখ টাকায় নিজের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি বিক্রি করে দিলাম। মাগুরা শহরে একরুমের একটা বাসা ভাড়া নিলাম। বাড়ি বিক্রির টাকায় একটা সেকেন্ড হ্যান্ড লেগুনা কিনে ফেললাম। সরকারি বেসরকারি কোন চাকুরী আমি কোনদিন আর পাবো না। মাগুরা শহরের তেমন কেউই আমাকে চেনে না তাই আমি যে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি এই পরিচয়ও সবার অজানা।দাড়ি রেখেছি তাই পরিচিতরাও হঠাৎ আমাকে দেখে চিনতে পারেনা। আমি এখন মাগুরা নড়াইল সড়কের একজন লেগুনা ড্রাইভার। প্রতিদিন কত কত মানুষ আমার গাড়িতে উঠে। শুনেছি এই রাস্তার ধারেই ফাতেমার শ্বশুরবাড়ি হয়তো কোনএকদিন ফাতেমাও আমার গাড়ির যাত্রী হবে এই আশায় গাড়ির লুকিংগ্লাস দিয়ে গাড়িতে বসা যাত্রীদেরকে লক্ষ্য করি।
বিঃদ্রঃ ভালবাসা দিবসের আগেই গল্পটা শেষ করতে চেয়েছিলাম তাই আপতত এখানেই শেষ তবে পরে গল্পটা নিয়ে ভিন্নভাবে চিন্তা করার ইচ্ছে আছে। তথ্যগত ভুলক্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো, কোন ভুল থাকলে পরে সংশোধন করা হবে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: লিখতে গিয়ে আমার চোখেও পানি এসেছিল, আমি খুবই আবেগী মানুষ গল্পের চরিত্রদের সুখ দুঃখ আমাকে স্পর্শ করে। অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোটামুটি
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার কাছ থেকে মোটামুটি কমেন্ট পাওয়াও আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার। অনেক শুভকামনা।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ আর র্যাবের চেয়ে সেনাবাহিনির সদস্যরা আর্থিক দিক থেকে অনেক ভালো আছে। আবার আনসাররা ভালো নেই। তাদের ইনকাম কম।
আপনার আগের পর্বে আনসার নিয়ে একটা ভুল মন্তব্য করেছিলাম। এজন্য আমি দুঃখিত।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দুটি পর্বেই পাশে থাকার জন্য। দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই আমরা আমরাইতো।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জীবন কাকে কোন সময় কোন পরিক্ষার সামেন ফেলে দেয় তা কল্পনার অতীত।
কিছুই করার নেই। এটি জীবনের নিজ নিয়মে পরে গেছে “এখন জীবনযাত্রা যেখানে যেমন - - - - -
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দুই পর্বেই সঙ্গে থাকার জন্য এবং মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক_মাহমুদ ,
শুরু থেকে একদম অসংকোচ লেখার গল্প হলেও বাস্তবটা অমনই। অমন একটি ঘটনার পরে যা হবার তাই-ই সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৩৬
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জি এস ভাই, অনেকদিন পর একটা গল্প লেখার চেষ্টা করলাম এবংং আপনাকে পেয়ে আরও ভাল লাগলো, শুভেচ্ছা ও ভালবাসা সর্বদা।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দুই পর্বেই পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩০
নিভৃতা বলেছেন: সত্য ঘটনা অবলম্বনে অসাধারণ একটা লেখা। চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই বিভীষিকাময় দিনটি।
খুব সুন্দর লিখেছেন। একরাশ ভালো লাগা।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনিও খুব চমৎকার লেখেন, আপনার গল্পটা কয়েকটি পর্ব পড়েছি বাকিগুলো পড়তে হবে। অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। না ভাই। আমি ভালো লিখতে পারি না। সামান্য চেষ্টা করি আর কি।
আমার কথা বাদ দিন। আপনি আরো ভালো লিখুন এই কামনা করছি। ভালো থাকুন।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার লেখার হাত যথেষ্ট ভাল, অনেক ভাল থাকুন সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিন, অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা।
৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৮
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লেখেন ভাইয়া আপনি। গল্পটি আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা ইসিয়াক ভাই।
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: তারেক ভাই,
দুই নাম্বার প্যারা অনেকটাই পত্রিকার নিউজের মতো লাগ্লো। এটা এত বিস্তারিত না লিখলে কী হতো? শুধু দুইটা ঘটনা পরে মনে করিয়ে দিতেন? প্যারা চার বিস্তারিত লিখলে অনেক ভালো হতো। একজন দিশেহারা মানুষের মানবিক অনুভূতিগুলি ফুটিয়ে তুলতে পারতেন।
আপনার লেখার হাত এই গল্পের তুলনায় অনেক ভালো। কেন জানি আপনি মনে হলো তাড়াহুড়া করেছেন। কিছু মনে করবেন না।এটা রিরাইট করলে আবার একদম প্রথম থেকে করবেন। বড় কিছু চিন্তা করলে প্যারা ২এর জন্য আপনার কিন্তু সূত্র দেয়া লাগতে পারে। সাবধান, কনট্রভারশিয়াল টপিক।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নীলআকাশ ভাই আপনার পরামর্শগুলো মনে রেখেই গল্পটা এডিট করবো, অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩০
মুক্তা নীল বলেছেন:
তারেক ভাই ,
পিলখানার সেই নৃশংসভাবে হত্যা কান্ডের সাথে অনেকে যারা জড়িত না থেকেও নিরপরাধ ব্যক্তির করুন কাহিনী পড়ে আপ্লুত হয়ে গেলাম ।
এছাড়া আপনি ঘটনাটি লিখেছেন অনেক আবেগ অনুভূতি দিয়ে , যা পড়ে আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে।
ধন্যবাদ জানবেন ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম আপু, এই গল্পটাকে আরও বড় এবং আরও আবেগময় করে উপস্থাপনের ইচ্ছা আছে দেখা যাক কতটা পারি। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি,সৃষ্টকর্তার নামে শপথ নিয়ে বলছি, আপনার লেখা পড়ে চোখ দিয়ে পানি এসে গেছে । ভাগ্যগুলো আসলে
বড় নির্মম ।