নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াই

তরিকুল ইসলা১২৩

আমি পাঁচ হাজারেরও অধিক ভাষায় চুপ থাকতে পারি

তরিকুল ইসলা১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাতকর্ম নিয়ে ব্যাপক(!!!!) গবেষণা

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৬

আমার মনে হয় শুধু রমজানে যে পরিমাণ বাতকর্ম সাধিত হয় বাকী ১১টি মাসে তার দশভাগের একভাগও হয় না।



তাই ভাবলাম এটা নিয়ে গবেষণা করি।

বাতকর্ম নিয়ে একটু গবেষণাকর্ম-----

সাধারণ সংজ্ঞা: আমাদের শরীর থেকে মৃদু বা উচ্চ স্বরে পায়ুপথ দিয়ে যে সকল বায়ু নির্গত হয়,তাহাকেই বাতকর্ম বলে।

বাংলা উইকিপিডিয়া অনুসারে-

মানুষের দেহের উদরস্থিত বায়ু যখন পায়ুপথে নির্গত হয় তখন তাকে বলা হয় অপান/বাতকর্ম।ইংরেজীতে একে বল...া হয় Farting মানবশরীরের পাকক্রিয়ার ফলে এই বায়ু সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই বায়ু মলনালীতে সঞ্চিত থাকে এবং পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে তা নিঃসৃত হয়।

অপানত্যাগকালে বেশিরভাগ সময়ই জোরে শব্দ হয়। এর কারণ স্থুল নিতম্বদ্বয়ের মধ্যবর্তী পায়ুছিদ্র দিয়ে যখন অপানবায়ু বেরিয়ে যায় তখন নিতম্বের সঙ্গে বায়ুর সংঘর্ষের ফলে এক কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই কম্পনের ফলেই কেউ বাতকর্ম করলে শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।



বাংলায় অপানকে বলা হয় পাদ। কথাটি সংস্কৃত পর্দ্দ থেকে এসেছে। এছাড়াও কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে বাতকর্ম করলে সমাজে তাকে পেদো আখ্যা দেওয়া হয়।



বিজ্ঞানের যুক্তিতে আমার বিশ্লেষণ:

বাতকর্মের ক্ষেত্রে শব্দ এবং গন্ধ ব্যাস্তানুপাতিক। অথাৎ শব্দ যত বেশী গন্ধ তত কম আবার শব্দ যত কম গন্ধ তত বেশী।



এই বিষয়ে বিখ্যাত(!) সাহিত্যিক(!) বলেছেন:

পশ্চাৎ দ্বারা নির্গত বায়ু যেমন সুগন্ধের হয় না,

অপ্রাপ্ত বয়সে প্রেমও তেমনি পরিপক্ক হয় না বা ভবিষ্যৎ সুফল বয়ে আনেনা..... :P



শেষ করি একটি প্রচলিত ঘটনা দিয়ে:

গেল শতাব্দীর সত্তরের দশকে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ইয়াকুবু গওয়ন। তিনি একবার রাষ্ট্রীয় সফরে বিলেতে গেছেন। সে দেশের প্রচলিত রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী রানি এলিজাবেথ তাঁকে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া রেলস্টেশনে অভ্যর্থনা জানিয়ে রাষ্ট্রীয় অশ্ববাহিত শকটে করে বাকিংহাম প্রাসাদে নিয়ে যেতে এসেছেন। সম্মানিত অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে রানি যেই না শকটে উপবেশন করেছেন, অমনি একটি ঘোড়া সশব্দে বাতকর্ম করে দিল, যেটাকে ইংরেজিতে ফার্টিং বলে। রানির ভদ্রতা ও শালীনতাবোধ এতটাই প্রবল যে তিনি ঘোড়ার এই ব্যবহারে মনে মনে লজ্জিত হয়ে ভাবলেন, সম্মানিত অতিথির কাছে এ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা দরকার। তাই তিনি মুচকি হেসে প্রেসিডেন্ট গওয়নের উদ্দেশে ‘আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আপনার শুরুটা খুব ভালো হলো না’ বলতেই গওয়ন নাকি তৎক্ষণাৎ বলে উঠেছিলেন, ‘আপনার ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া আমি ভেবেছিলাম, ওটা একটি ঘোড়ার কাণ্ড ;)

তথ্যসূত্র 10-06-12 (প্রথম আলো)



পূর্বে ফেসবুকে স্ট্যাটাস আকারে দেয়া হয়েছে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হা হা হা ! গবেষণা নিয়া পোস্ট খুঁজিতে যাইয়া আফনার ব্যাফুক গবেষণা পাইলাম !

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:
সুবহানাল্লাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.