নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা ও শিশুদের নিজ সন্তানের মতই ভালবাসি

আমার শুক্রবার সন্ধ্যাটি শুধুই অসহায় গরীব মা ও শিশুদের জন্য

তারিন রহমান

ডা: ফারজানা তারিন সহকারী অধ্যাপক। গুলশান-২ এর একটি ক্লিনিকে অবসর সময়টুকু কাটাই।

তারিন রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতিরিক্ত চর্বি ও মেদ কমাতে ............... (পর্ব- ১)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

শরীরের বাড়তি চর্বি ও মেদ কমানোর জন্য নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন।





ডায়েট কন্ট্রোলঃ সৌন্দর্যচর্চার প্রাথমিক সোপান হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। ডায়েট কন্ট্রোল না করে স্থূলতা কমানোর অভিপ্রায় দুরাশা মাত্র। একজন স্থূল মেয়ে প্রতিদিন কতটা খাবার গ্রহণ করবে, তা নির্ভর করে তার বয়স, পেশা এবং দৈহিক কাঠামোর ওপর। প্রতিদিন স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়। প্রতিদিন কোনো কাজ না করে চুপচাপ বসে থাকলে একজন মানুষের ১৫০০ ক্যালরির মতো খাদ্য দরকার। তাই স্থূলদেহের মেয়েরা যদি প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১২০০ ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করে তবে দেহের ওজন কমানো যায়। ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়। আমিষজাতীয় খাবার খুব তাড়াতাড়ি মানুষের রসনা নিবৃত্তি করে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন স্থূল দেহের মেয়ের খাদ্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার থাকা উচিত। শর্করাজাতীয় খাবার যেমন-ভাত, রুটি, গম, ভুট্টা ইত্যাদির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। ১০০০ ক্যালরি খাবারের জন্য ১০০ গ্রাম শর্করাজাতীয় খাবারই যথেষ্ট। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করে, তাদের খাবারে থাকবে প্রচুর শাক-সবজি ও ফলমূল।



ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার যেমন পুঁইশাক, পালংশাক, সবুজ এগুলোতে ক্যালরির মান খুব কম, কিন্তু তা উদরপূর্তিতে সহায়ক। খাদ্যে ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজদ্রব্যের উপস্থিতি থাকবে স্বাভাবিক। মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে। তাই সবাইকে মনে রাখতে হবে, যাতে খাদ্যদ্রব্যে শর্করা এবং স্নেহজাতীয় খাবারের আধিক্য না ঘটে। খাদ্য কখনো মানুষের শত্রু হতে পারে না কিন্তু তাকে ব্যবহার করতে হবে। বেশি খাওয়া, কম পরিশ্রম করা অনুচিত। যারা বেশি খাবে, তারা বেশি পরিশ্রম করবে-এটাই নিয়ম। নইলে মেদ বৃদ্ধি অনিবার্য। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ১০০০ ক্যালরির চার্ট দেখে নিজের খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করে নেয়া যায়। যদি ১০০০ ক্যালরি খাদ্য নিয়ন্ত্রণে ভালো ফল না পাওয়া যায়, তবে মাত্র ৪০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করেও খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে শুরুতে ৪০০ ক্যালরি শুরু না করাই ভালো। ডায়েট কন্ট্রোলের জন্য বিভিন্ন তত্ত্ব আবিষকৃত হয়েছে। কিন্তু কোনটি সবচেয়ে ফলপ্রদ, তা আজো অনাবিষকৃত। ১৮৬৩ সালে ডা. উইলিয়াম হার্ভে সর্বপ্রথম ডায়েটিং তত্ত্ব আবিষ্কার করেন। তবে তার এই তত্ত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ডা. স্টিল ম্যান ‘কুইকি’ নামে একটি ডায়েট কন্ট্রোলের পদ্ধতি বের করেন। তার মতে, স্বাভাবিক প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাদ্য কিন্তু সুষম নয় এ ধরনের খাবার অনেক তাড়াতাড়ি চর্বি জমায়। কিন্তু এ কুইকি পদ্ধতি বেশিদিন চলেনি। কারণ শরীরে শক্তির বিরাট অংশ জোগান দেয় গ্লুকোজ, যা সরাসরি কার্বোহাইড্রেড থেকে আসে। হঠাৎ করে খাদ্যে কার্বোহাইড্রেডের পরিমাণ কমিয়ে ফেলা দেহের জন্য ক্ষতিকর। ১০০০ ক্যালরির এই ডায়েটে যে শুধু চর্বি ও মেদ কমানো যায় তাই নয়, এ দিয়ে উচ্চরক্তচাপ, বহুমূত্র পিত্তথলির রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।





(চলবে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমি দিন দিন প্রচন্ড মোটা হচ্ছি। এত বেশি ফুলতেছি এবং এত দ্রুত এটা হচ্ছে যে অবাক না হয়ে পারছি না। এটা কি কোন শারিরিক সমস্যা?? অনেকে বলছে এলার্জি জাতীয় কিছু হচ্ছে। এছরা মুখ বেশি ফুলতেছে।

আশা করি উত্তর দেবেন।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২য় পর্ব এখনো পেলাম না

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

ডঃ আলম বলেছেন: অধবের একটা কাজ পবেন এখানে এর উপর
Click This Link
Chronic l-arginine treatment improves metabolic, cardiovascular and liver complications in diet-induced obesity in rats.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.