নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেষ বিকেলের আলোয় দেখেছিলাম তোমার সেই রূপ,আজও মনে পড়ে চোখে ভাসে তোমায় বড় বেশি খুব

বর্ষাকালে কবি হতে মন চায়

তারিক১৪২২

ষড়ঋতুর মাঝে দুটা ঋতু আমার খুব প্রিয়৷ একটা হল বসন্ত আরেকটা বর্ষা৷ বসন্তে প্রকৃতি নতুন রং রূপে সেজে ওঠে একবার আর বর্ষায় বৃষ্টির জলে ধুয়ে প্রকৃতি আরো একবার স্বরূপে স্ববর্নে সেজে ওঠে৷ আর বাংলার প্রকৃতির এই সাজসজ্জাই খুব প্রিয় আমার৷

তারিক১৪২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

•••ভালোবাসার নীল কষ্ট••••

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

সুন্দর নির্মল নীল আকাশ আজ,কয়েকদিন

টানা বৃষ্টি পর আজ সকালে রোদের মুখ

দেখলো প্রকৃতি৷কিন্তু তপুর মনের অবস্থা প্রকৃতির

সাথে কোন মিল নেই৷কারন সেদিন ওর একমাত্র

কাছের মানুষটা ওর হাতে ওর বিয়ের

কার্ডটা দিয়ে বললো আমার বিয়ে শুক্রবার,আসিস৷তুই

না আসলে কিন্তু বিয়ে করুম না আমি৷ তপুর বুকের

ভিতর ছ্যাৎ করে উঠলেও

মুখটা হাসি হাসি করে বললো তোর বিয়া আর

আমি যামু না,এতদিন পর একটা বিয়ে খাবো তাও

আবার তোর, পাচটা না দশটা না একটাই প্রানের

বান্ধবী আমার৷মুনা বললো ,হইছে ,আসিস

হারামি আমি গেলাম কার্ডগুলা সবাইকে দিতে হবে৷তপু

হঠাৎ বলে উঠলো দাড়া দাড়া,কার লাইফটা জাহান্নাম

বানাচ্ছিস বললি নাতো৷আমেরিকার এক সফটওয়্যার

ইন্জিনিয়ার,আব্বার বন্ধুর ছেলে,নাম শুভ্র,সেইরাম

চেহারা মামা দুষ্টামি ভরা কন্ঠে বললো মুনা৷ ঐ,

তোর লজ্জাশরম নাই কিছু,হবুবরের প্রশংসায়

একেবারে ফেটে পড়ছিস চোখটা ছোট ছোট

করে বললো তপু৷মুনাও মুখটা ছোট করে বললো

লজ্জার কি আছে আমারই তো বর অন্যকারও

তো না৷ আচ্ছা ঠিকাছে যা তুই মাইক

নিয়া সারা শহরে মাইক নিয়া বলতে থাক আমার হবু

বর সেইরকম জিনিস,সবাই আমার

বিয়েতে এসে জিনিসটা দেখে যাবেন,খোচা মারা গলায়

বললো তপু৷ওই হারামি তোর

কথা শুনে মনে হচ্ছে জেলাস তুই,খেপে বলো উঠল

মুনা৷আরে জেলাস কেন হমু,তুই আমার জানের দোস্ত

না!আরেক দিকে তাকিয়ে বললো তপু৷হুম,তাই

তো,আচ্ছা যাইরে,ফোন দিবনে পরে৷বলেই

মুনা চলে গেলো ৷আর তপু ওর চলে যাওয়া পথের

দিকে তাকিয়ে রইলো একমনে৷চোখের

সামনে ভেসে উঠলো কত স্মৃতি,কত

কথা মুনাকে নিয়ে৷সুখে,দু:খে সবসময় ওরা দুজন একজন

আরেকজনের সঙ্গী৷সেই মুনার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আজ

অচেনা একজনের সাথে৷বিয়ের পর ওরা উড়াল

দিবে আমেরিকার পথে৷তপু আর ভাবতে পারছে না,বুকের

ভিতরটা কেউ যেনো খামচে ধরছে কেউ৷ওর এখন

ইচ্ছা করতাছে প্রকৃতির সামনে চিৎকার

করে বলে কেনো কি কারনে প্রিয়

কাউকে হারাতে হবে তার৷কি দোষ তার৷বাসায় এসেই

সিদ্ধান্ত নিল তপু আর এ জীবন রাখবে না৷সবার

উদ্দেশ্যে একটা চিরকুট লিখলো,আর দেরাজ

থেকে এনে রাখা ওর মুক্তির

পুরিয়া খেয়ে ফেললো৷গল্পটা এখানেই শেষ হওয়ার

কথা বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিন্তু ব্যতিক্রম

ঘটনা ঘটতেই পারে৷তপুর নিস্তেজ

দেহটা এবং চিরকুটটা পেলো ওর রুমমেট

শিহাব৷আইসিইউর সামনে সবাই দাড়িয়ে,জীবনমৃত্যুর

সন্ধিক্ষনে তপু৷যার জন্য তপুর পৃথিবী মায়া ত্যাগ

করতে চাইল সেই মুনা বিয়ের শাড়িতে এক

কোনাতে ফুঁপিয়ে কাঁদছে৷ যে বাবা মার একমাত্র

আদরের ছেলে তারা ফ্যালফ্যাল চোখে মুনার

কান্না দেখছে৷এরমাঝে কর্তব্যরত ডাক্তার

এসে সবাইকে ধৈর্য্যধরতে বলে আবার

ভিতরে চলে গেলো৷টিক টিক করে সময় এগোচ্ছে আর

হয়তবা কঠিন, নিষ্ঠুর কিছু শোনার জন্য

সবাইকে প্রস্তুত হতে বলছে৷

আবারও ডাক্তারটি বের

হয়ে এসে বললো যে পেশেন্টের জ্ঞান ফিরছে৷যে কোন

একজন আসতে পারে৷মুনাকে পাঠানো হল ভিতরে৷তপুর

পাশে যেয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগলো আর বললো এই

হারামি, তুই আমাকে এত ভালবাসিস, একবারও

কি বলেছিস,নিজের

মনে মনে রেখে মরে যেতে বসলি,একবারও

ভাবলি না আমার কথা৷ দুজনের চোখেই

পানি,হয়তবা এই পানি আনন্দ বা দু:খ

বা নতুনভাবে বেঁচে থাকার৷

উৎসর্গ:সেইসব

হতাশাগ্রস্থদের,যারা আত্মহত্যাকে সব সমস্যার

সমাধান হিসেবে বিবেচনা করে এই

পথে যেতে চেষ্টা করে,মূলত: আত্মহত্যা কোন

সমাধান হতে পারে না৷কারন এই জীবনটা কোন

খেলা নয়৷

by তারিক ইসলাম

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৯

তারিক১৪২২ বলেছেন: গল্পটি হঠাৎ ঝোকের মাথায় লিখে ফেললাম সেদিন B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.