![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ষড়ঋতুর মাঝে দুটা ঋতু আমার খুব প্রিয়৷ একটা হল বসন্ত আরেকটা বর্ষা৷ বসন্তে প্রকৃতি নতুন রং রূপে সেজে ওঠে একবার আর বর্ষায় বৃষ্টির জলে ধুয়ে প্রকৃতি আরো একবার স্বরূপে স্ববর্নে সেজে ওঠে৷ আর বাংলার প্রকৃতির এই সাজসজ্জাই খুব প্রিয় আমার৷
তখন একাডেমিতে সেকেন্ড ইয়ারের ক্যাডেট ৷ আমাদের উপরে একটা সিনিয়র ব্যাচ আর নিচে একটা জুনিয়র ব্যাচ৷সিনিয়রদের হাতে একাডেমির সর্বময় ক্ষমতা ৷তারা যেকোন ইনডিসিপ্লিন ধরতে সদা ব্যাস্ত তবে আমরা কজন সিনিয়রদের ফাঁকি দিয়ে বিকেলে প্রায়ই বেড়িয়ে পড়তাম কাছে গ্রামের পথে তবে ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগে এটা মাথায় রেখে৷ শুক্র,শনি অফডে আর এই কদিন প্লান থাকতো দূরে কোথাও যাওয়ার৷আর সেবার ছিল শুক্র,শনি আর বুদ্ধিজীবি দিবস নিয়ে তিনদিন অফডে৷ তাই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আমি চিন্তাভাবনা শুরু করলাম কোথায় যাওয়া যায় এই অল্প সময় দূরে কোথাও৷ নীলগিরির নাম শুনেছি এর আগে অনেক আর বান্দরবান চিটাগাং থেকে দু আড়াই ঘন্টার পথ৷তাই আমাদের এডভেঞ্চার টিমের সবাইকে প্রস্তাব দিলাম বান্দরবান যাবার৷যেই ভাবা সেই কাজ ৷ক্যাডেট ক্যাপটেন স্যারের কাছ থেকে দুদিনের অনুমতি পেলাম৷ ভাবলাম সমস্যা নাই একদিন বেশি লাগলে হালকা পানিশমেন্টই খেতে হবে ৷নো রিস্ক নো গেইন পরদিন সকালেই বান্দরবানের বাসে উঠলাম আমরা চারজন আমি,মাহমুদুল,নাজির আর আকরাম ৷দুপুরে পৌছলাম বান্দরবান৷হোটেলে না উঠে আগে বালাঘাটার স্বর্নমন্দিরে চলে গেলাম৷ আদিবাসী ছাড়াও দেশে বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকেমুখর স্বর্নমন্দির এলাকা৷ ছবি তুললাম অনেক৷ মন্দিরে ঢুকতে পারলাম একটু পরে তার আগে কাছে একটা কুপের কাছে গেলাম ৷কূপটার নাম মনে হয় দেব কূপ আর এখান থেকে স্বর্নমন্দিরটা বেশ সুন্দর লাগছিল৷ স্বর্নমন্দিরে যখন গেলাম তখন দুপুর হয়ে গেলো৷ মন্দিরটা পাহাড়ের চূড়ায় হওয়ায় উপর থেকে বান্দরবান শহরটা দেখতে পেলাম৷ সবুজের সাথে উঁচু পাহাড়ের সৌন্দর্য্য, আমরা সত্যিই বিমোহিত হলাম৷স্বর্নমন্দির থেকে ফিরে শহরে এসে স্বস্তা দেখে একটা হোটেলে উঠলাম৷ স্টুডেন্ট মানুষ হিসেব করে খরচ করতে হয়৷বিকেলে চলে আসলাম মেঘলা,নীলাচল৷ এখানে পাহাড়ের মাঝে লেক, ঝুলন্ত সেতু, চিড়িয়াখানা সবমিলিয়ে দারুন একটা বিকেল গেলো৷মেঘলায়৷মেঘলায় শীতের বিকেলের সোনাঝরা রোদ্দুরের পাহাড়ী সৌন্দর্য দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ৷মেঘলা থেকে বেড়িয়ে সামনে নির্মানাধীন আরেকটা পার্কেও ঢুকে পড়লাম৷এখানে বেশ নির্জন৷লেখা দেখে বুঝলাম এটা একটা স্মৃতি পার্ক৷সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরলাম৷ সন্ধ্যার পর বান্দরবান শহর দেখতে বেড়িয়ে পড়লাম৷সাংগু নদীর উপর ব্রিজটার উপর কিছুক্ষন দাড়ানোর পর হাটতে হাটতে পুলিশ লাইনের সামনে চলে আসলাম৷এখানে একটা মনুমেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় এক লোক কানের কাছে "মাল লাগলে পিছনে আসেন "বলায় চমকে তাকালাম৷ দেখলাম লোকটা চলে যাচ্ছে৷বুঝলাম মেয়ে বা মহূয়ার আমন্ত্রন যা এই পর্যটন এলাকা খুব স্বাভাবিক৷আমন্ত্রন প্রত্যাখ্যান করে দাড়িয়ে আমরা কিছুক্ষন হাসলাম৷ আকরামের ঘুম পাওয়ায় নাজিরের সাথে ওকে পাঠিয়ে দিলাম৷হোটেলে নাজির আর আকরাম দুজনই খুব আরামপ্রিয় প্রকৃতি আর আমরা দুজন ঘুরতে এসে হোটেলে বসে থাকা টাইপ না৷ আমি আর মাহমুদুল রাতের বান্দরবান শহর দেখতে দেখতে অনেক দূর একটা আবাসিক এলাকায় চলে আসলাম৷ দুটা ছেলে রাস্তায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল আর এক আদিবাসী তরুনী মেয়ে বাসার সামনে বসে খেলা দেখছিল৷ আমরাও দাড়িয়ে ওদের খেলা দেখছিলাম৷ওদের একজন বাসা দিয়ে ডাক দেয়াতে চলে যাওয়ায় অপরজন আমাদের দিকে তাকিয়ে খেলবো কিনা জানতে চাইলো৷মাহমুদুল গেলো খেলতে আর আমি দাড়িয়ে ওদের খেলা দেখতে লাগলাম আর মাঝে মাঝে তরুনীর দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল৷ আর তরুনীও এদিকে তাকাতে চোখাচোখি হল কয়েকবার৷এর মাঝে মাহমুদুল খেলতে ডাকলো৷কতক্ষন খেলার পর দেখলাম মেয়েটা চলে গেছে৷ মাহমুদুলও যে ব্যাপারটা খেয়াল করছিলো তা ওর কাছে পরে শুনলাম৷এই শালায়ও টাংকি মারছিলো খেলতে খেলতে ৷ কিন্তু বিনানোটিশে চলে যাওয়ায় ওরও আশাভঙ্গ৷রাত হয়ে যাওয়ায় হোটেলে চলে আসতে হল৷আর এভাবেই একটি আদিবাসী প্রেম শুরু হতে হতে সারা হয়ে গেলো৷
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
আজীব ০০৭ বলেছেন: ভালোই ত ঘুরলেন............।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
তারিক১৪২২ বলেছেন: জী ইদুরচিকা মারামারি ভাই, এ বছর এক্স ক্যাডেট হলাম
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
তারিক১৪২২ বলেছেন: হ্যা ভাই ভালোই ঘুরলাম ,ঘুরতে ভালোবাসি তাই প্রায়ই চলে যাই প্রকৃতির কাছাকাছি
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: ভালোইতো..........
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
তারিক১৪২২ বলেছেন: জী আপনাদের দোয়ায়
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: মেরিন ক্যাডেট মনে হচ্ছে!!