নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেষ বিকেলের আলোয় দেখেছিলাম তোমার সেই রূপ,আজও মনে পড়ে চোখে ভাসে তোমায় বড় বেশি খুব

বর্ষাকালে কবি হতে মন চায়

তারিক১৪২২

ষড়ঋতুর মাঝে দুটা ঋতু আমার খুব প্রিয়৷ একটা হল বসন্ত আরেকটা বর্ষা৷ বসন্তে প্রকৃতি নতুন রং রূপে সেজে ওঠে একবার আর বর্ষায় বৃষ্টির জলে ধুয়ে প্রকৃতি আরো একবার স্বরূপে স্ববর্নে সেজে ওঠে৷ আর বাংলার প্রকৃতির এই সাজসজ্জাই খুব প্রিয় আমার৷

তারিক১৪২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার একাডেমি লাইফের ভ্রমনকাহিনী-২

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০১

পরদিন খুব সকালে উঠলাম৷ কারন নীলগিরি যাওয়ার প্লান আজ৷নীলগিরি শুনেছি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় পঞ্চাশ কিলো দুরে আর যেতে হয় নাকি সাধারনত চান্দের গাড়ি চড়ে৷ পকেটে টাকাও বেশি নাই আর আজই ফিরতে হবে চিটাগাং এ৷ অবশ্য এ সবকিছু মাথায় রাখলে নীলগিরি যাওয়া হবে না৷ আর নীলগিরি যাওয়া না হলে বান্দরবান ট্যুর মোটামুটি ব্যর্থ ৷ তাই আপাতত সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে আমরা চারজন চলে আসলাম বান্দরবান শহরের হিলবার্ড নামক স্থানে৷ এখান থেকে নীলগিরির পথে চান্দের গাড়ি যায়৷ এসব গাড়ি চৌদ্দ পনেরো জন নিয়ে চার-পাঁচ হাজার টাকায় নীলগিরি যায় এবং আসে৷ এত টাকা শুনেতো পুরো হতাশ হয়ে গেলাম৷ কারন সবার মিলেও এত টাকা নাই আমাদের কাছে৷ আর কিছুক্ষন পর শেষ গাড়ি যাবে নীলগিরির পথে৷ যখন আশা প্রায় ছেড়েই দিলাম তখন দশজনের এক পার্টি আসলো নীলগিরি যাবার জন্য৷ হাফ ছেড়ে বাঁচলাম আর উঠে পড়লাম চান্দের গাড়িতে৷ এক দম্পতিকে দেখলাম মনে হয় হানিমুন কাপল নীলগিরি যাবে কিন্তু দুজনের যাওয়ার মত কোন যানবাহন পাচ্ছে না বলে বেশ হতাশ মনে হয় ৷ মায়া লাগলো তাদের এই অবস্থা দেখে৷ আমাদের গাড়িতে জায়গা থাকলে আমাদের সাথে যাবার আমন্ত্রন জানানো যেতো৷ ধুর একটু জায়গাও অবশিষ্ট নাই! সবাই উঠে পড়তেছে৷ আর আমি যখন বসে বসে সুইট কাপলের দিকে তাকিয়ে এসব ভাবছিলাম আর ভাবছিলাম এরকম আমি কখন আসবো B-) তখনই চান্দের গাড়ি স্টার্ট হল আর আমাদের যাত্রা শুরু হল চান্দের দেশে মানে নীলগিরির পথে৷ শহর থেকে বের হতেই আস্তে আস্তে পথের দুপাশে পাহাড়ী বন বাড়তে লাগলো আর রাস্তা সোজা থেকে সর্পিল হতে থাকল৷ আকাঁবাঁকা পথের পাশে মাঝে মাঝেই গভীর খাদ৷ একটু ভুল হলেই মৃত্যুর হাতছানি ভেবে হালকা ভয়ই লাগলো ৷এরই মাঝে আমরা কজন গান ধরলাম৷ কখনো জাগরনের গান কখনো কমেডি বা রোমান্টিক গান চললো৷ সবার চেয়ে আমাদের চারজনের বয়স কম ছিল বলেই হয়ত মজাও বেশি করছিলাম আমরা তারপর আবার আমাদের ভ্রমনের মাঝে ঘরপালানো একটা ভাব আছে৷ কোন পর্যটকদেরগাড়ী ওভারটেক বা পাশ দিয়ে গেলেই ত্রাহি চিৎকারে ভ্যাবাচ্যাকা খাচ্ছিল পর্যটকরা৷ তবে মজা বেশিক্ষন স্থায়ী হল না৷ আকাঁবাঁকা লম্বা পথের জার্নি বলেই কিছুক্ষন পর গাড়ির ইন্জিনের শব্দ আর সা সা ছাড়া কিছুই শোনা যাচ্ছিল না আর৷ মাঝে চিম্বুকে থামলো আমাদের গাড়ি৷ চিম্বুকে উঠে যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজ পাহাড় পাহাড়৷ হালকা কুয়াশার মাঝেদূরে সাংগু নদীটা যেনো একটা রুপালী ফিতা৷অনেক পর্যটকের সমাগম চিম্বুকের উপর৷ এক বিদেশি দম্পতি তাদের কিশোর কিশোরী সন্তান নিয়ে চিম্বুক দেখতে এসেছে৷ তারা চিম্বুকে এসে বেশ মুগ্ধ তা তাদের মুখের ভাব দেখেই প্রকাশ পাচ্ছিল৷ কিছুক্ষন পর আমরা আবার চান্দের গাড়িতে নীলগিরির দিকে যাত্রা শুরু করলাম৷মাঝে মাঝে পাহাড়ী বসতভিটে আর তাদের জীবনযাত্রা চোখে পড়ছিল৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.