নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শেষ বিকেলের আলোয় দেখেছিলাম তোমার সেই রূপ,আজও মনে পড়ে চোখে ভাসে তোমায় বড় বেশি খুব

বর্ষাকালে কবি হতে মন চায়

তারিক১৪২২

ষড়ঋতুর মাঝে দুটা ঋতু আমার খুব প্রিয়৷ একটা হল বসন্ত আরেকটা বর্ষা৷ বসন্তে প্রকৃতি নতুন রং রূপে সেজে ওঠে একবার আর বর্ষায় বৃষ্টির জলে ধুয়ে প্রকৃতি আরো একবার স্বরূপে স্ববর্নে সেজে ওঠে৷ আর বাংলার প্রকৃতির এই সাজসজ্জাই খুব প্রিয় আমার৷

তারিক১৪২২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাডেমি লাইফে নীলগিরি ভ্রমন অত:পর…………খাইলাম ধরা!!!

০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬

নীলগিরি৷মানে নীল যে গিরি বা পাহাড়৷ হ্যা, শীতের হালকা কুয়াশা মেশানো এই সকালে নীলগিরি নীলাভ এক সৌন্দর্য্যে পূর্ণ হয়ে আছে যেনো ৷ সমুদ্রপৃষ্ট থেকে কয়েক হাজার ফুট উপরে যে আছি তা আশেপাশের ছোট ছোট আবছা সবুজ পাহাড়গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে৷ চান্দের গাড়ি নিয়ে নীলগিরিতে আমরা পৌছলাম সাড়ে দশটার পরে৷ সেনাবাহিনী এখানে নীলগিরি পর্যন্ত রাস্তার পাশাপাশি একটি সুন্দর রিসোর্টও গড়ে তুলেছে৷ পাহাড়ের উপর ছোট ছোট কটেজ,রেস্তোরাঁ আর একটু দূরে রয়েছে একটি হেলিপ্যাড৷ বর্ষাকালে এই নীলগিরির পাহাড়ের উপর দিয়ে নাকি মেঘ ছোঁয়া যায়৷ মেঘ নাকি তখন আশেপাশে কুয়াশার মত ভাসে৷ যাক সে কথা,এখন শীতকালের সৌন্দর্য্যও কম নয়৷ এখন অবশ্য মেঘের বদলে কুয়াশা রয়েছে৷ ছবি তুলতে লাগলাম আমরা নীলগিরির চূড়া বিভিন্ন পোজে,বিভিন্ন এংগেলে B-) কবে আবার আসতে পারি তাই ছবি তোলার এই উৎসব৷ তবে আমাদের থেকেও বড় ফটোটেকার দেখলাম হেলিপ্যাডে এসে ৷ এখানে "এইচের" বিভিন্ন মাথায় বসে, শুয়ে, কাত হয়ে ছবি তুলছে এক পর্যটকনী B-) আমরা দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে তবেই হেলিপ্যাডে ফটো তোলার সুযোগ পেলাম তবে বেশিক্ষন না! এখান থেকে ফেরার পথে নীচে এক জায়গায় শিশুদের খেলার জায়গায় দেখলাম বড়রাই দখল করে আছে বেশির ভাগ! মানে বিশাল শিশু ধীর লয়ে খেলছে আর কি! B-) হাটাহাটি আর পাহাড়ে ওঠা নামা করে সবারই ক্ষিধে পেয়ে গেলো৷ কিন্তু এখানের উন্নতমানের রেস্তোরার উন্নতমানের খাবারের উন্নত মূল্যে পেটবাবাজী প্রবোধ দিয়ে আপাতত ফিরতি পথ ধরলাম৷ বান্দরবান যেয়ে খাওয়া যাবে৷ আবারো চান্দেরগাড়িতে চড়ে বসলাম আমরা ৷ আঁকাবাঁকা সেই পথ,উঁচু নিচু পথ আর মৃত্যুর হাতছানি দেয়া কঠিন বাঁক৷ ফেরার পথে ঘুমালাম না তবে গানও নাই আমাদের মুখে!কারন পেটের ভিতর সংগীত নৃত্য যা করার ছুঁচোবাবাজীরাই করছে বৈকি৷ অল্পসময়ের জন্য শৈলপ্রপাত থামলাম তবে শেষে দেখা গেলো এখান থেকে কারো যেতেই ইচ্ছে করছিলো না৷কারন এখানের পাহাড়ী ঢালে কলকল পানির শব্দ প্রকৃতিকে অন্যরকম এক মূর্ছনায় ভরে রেখেছে৷ পাহাড়ীদের ছোট খাটো একটা বাজারও বসেছে এখানে ৷ গাড়িতে যখন চড়ে বসলাম ঠিক তখনি ঘটলো একটা দুর্ঘটনা৷ আমাদের গাড়ীর সামনেই এক পাহাড়ী তার পাহাড়ী আলু ভর্তি গাড়ী উল্টে পড়লো আর তার আলু রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে লাগলো৷ লোকটা কোন মতে উঠে সেই আলু টোকাতে লাগলো৷ যতক্ষন আলু টোকানো শেষ না হল আমরা গাড়ী নিয়ে দাড়ালাম৷ সাথে তার পরিবার থাকায় ক্ষয়ক্ষতি হালকা কমিয়ে আনতে পারলো আর আমরাও সাহায্য করলাম৷ বান্দরবান ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো৷ একটা হোটেলে ভরপেট খেয়ে চট্টগ্রামের বাসে চড়ে বসলাম আমরা চার পর্যটক৷ একাডেমিতে নির্দিষ্ট দিনে ফিরতে পারিনি বলে সবার মনে এবার হালকা সংশয় কাজ করছিল৷ ক্যাডেট ক্যাপটেনের কমান্ড ভায়োলেট!কপালে কি আছে আজ কে জানে!

দুঘন্টা পর বাস থেকে নেমে একটি সিএনজি নিয়ে চলে আসলাম একাডেমি ক্যাম্পাসের ভিতর ফিজিক্স ল্যাবের সামনে৷প্লান করলাম সিএনজিতে৷ মিশন সাইলেন্ট এন্ট্রি! !!! প্লান অনুযায়ী চারজন দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে গেলাম৷ কারন চারজন একসাথে থাকলে কারো চোখে পড়ে যেতে পারি৷ কারো মানে ইমিডিয়েট সিনিয়র স্যার আরকি!ক্যাডেট ব্লকে থার্ড ইয়ার সর্বেসর্বা কিনা৷ এবার একদল প্যারেড গ্রাউন্ডের ও পাশ দিয়ে গিয়ে ক্যাডেট ব্লকের পিছন দিয়ে দেয়াল টপকে ঢুকবো আর আরেক দল এডমিনের সামনের রাস্তা দিয়ে গিয়ে ব্লকের পিছনে চলে যাবো৷ রাস্তা দিয়ে ওদের দুজনকে পিছনে চলে যেতে দেখে আমরা দুজন পরের ধাপে প্যারেড গ্রাউন্ড পেরিয়ে এডমিনের পিছনের দিকে চলে আসলাম৷ দুর থেকে ওদের দেয়াল টপকাতে দেখলাম কোন ঝামেলা ছাড়াই৷ আমার সাথে মাহমুদুলকে এবার আগে পাঠালাম৷ ও হাটছে আর শুকনো পাতার মচমচ শব্দে আমার বুকের ধুকপুকানি বাড়ছে৷ এখান থেকে সিনিয়র স্যারদের রুমের জানালা দিয়ে স্পষ্ট দেখা যায় বলেই এত ভয় তবে এদিকটায় অন্ধকার বলেই যা ভরসা৷ মাহমুদুল মচমচ শব্দে কোনমতে ব্লকের পিছনের দেয়ালের কাছে পৌঁছে গেলো৷ এবার আমার পালা ৷এডমিন ভবনের পিছন দিয়ে বেরিয়ে হাটা শুরু করলাম ৷ অর্ধেক পথ যখন পৌঁছলাম ঠিক তখন সিনিয়র ব্লকের টয়লেটে র লন দিয়ে কে যেনো উঁকি দিল আর আমার বুকটা ধক করে উঠলো৷ যেখানে ছিলাম বরফের মত জমে গেলাম৷ এদিকেই চেয়ে আছে দেখে উপরঅলার নাম নিলাম মনে মনে তবে একটু পর চলে যেতে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম৷ সতর্কভাবে হেটে এবার দেয়ালের কাছে পৌছলাম৷ যাক এ যাত্রায় বাঁচা গেলো৷ পেপার রুমে সিভিল ড্রেস চেঞ্জ করে নিজের ডর্ম ২২৩ এ ফিরলাম৷ পাইপ ডাউন মানে ঘুমের সময় হয়ে গেছে ৷ ঘুমের প্রস্তুতি নিয়ে যেই বেডের কাছে গেলাম তখনি কানে আসলো বান্দরবান পার্টি !!!!ফল ইন!!!!!!!!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন বর্ণনা , দারুন +++++++++

২| ০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩০

তারিক১৪২২ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.