নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাব্যগ্রন্থ : ট্রাফিক সিগন্যালে প্রজাপতি, না গৃহী না সন্ন্যাসী; \nরম্যগল্পগ্রন্থ : কান্না হাসি রম্য রাশি। \nছোটদের বই : রহস্যে ঘেরা রেইনফরেস্ট \nইতিহাস গ্রন্থ: শেরে বাংলা ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কিছু দুষ্প্রাপ্য দলিল

তরুন ইউসুফ

ভিজলে বলিস ই্চ্ছেমত তোর শরীরে স্নান হবো

তরুন ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বল্টুর মায়ের চিকা বিষয়ক সমস্যা ও তার সমাধান

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

বল্টুর মায়ের কথা আর কি বলব । এক রাতের ঘটনা বলি, সারাদিন বল্টুর মায়ের সাথে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যায় দুজনার দুটি পথ বেকে সে গেল লেডিস হলে আমি আমার হলে। রুমে ঢুকতেই চোখ বুজে আসতে শুরু করল। ভাবলাম আজ সকাল সকাল শুয়ে জম্পেশ একটা ঘুম দিব। যদিও জানি যেদিন আমার বেশি ঘুম পায় বল্টুর মায়ের সেইদিন বেশি কথা বলতে ইচ্ছে করে। তারপরও আশা তার একমাত্র ভেলা। যাইহোক শুবো শুবো করে বল্টুর মারে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ১২ টার দিকে good night I love u বলে ঘুমুতে গেলাম। শোয়ার সাথে সাথে মোটামুটি গভীর ঘুম। কিন্তু ঘুম বেশিক্ষণ গভীর থাকতে পারল না। রাত ২ টার দিকে কানের কাছে ফোন বেজে উঠল (ফোন কানের কাছেই রাখি। কোন কারনে ফোন না ধরতে পারলে খবর আছে।) । ধড়ফড় করে জেগে দেখি বল্টুর মায়ের ফোন। মহা টেনশনে ফোন ধরতেই শুনতে পেলাম বল্টুর মায়ের কান্না উ…উ…উ…
বললাম সোনা ময়না লক্ষ্মী পক্ষী কি হইছে কও।
বলে চিকা। বললাম চিকা তো নিরীহ প্রাণী ভয় কিসের।
বল্টুর মায়ের উত্তর শুইনা তো আমি থ।
কয় তুমি জানো চিকা নিরীহ প্রাণী। চিকা যদি না জানে !
বললাম ঠিকই আছে কিন্তু চিকাও জানে সে নিরীহ। তোমার যদি খুব ভয় করে তাইলে লাঠি দিয়া চিকা তাড়ায়া দেও ।
খুট করে ফোন কেটে গেলো । বুঝলাম বল্টুর মা চিকা তাড়াচ্ছে । একটু পর আবার ফোন । জানতে চাইলাম চিকা কি গেছে ?
বলে জানি না । আমি তো খুজলাম কিন্তু পাইলাম না ।
বললাম তাইলে চিকা গেছে এখন লক্ষ্মী মেয়ের মত ঘুমাও ।
বল্টুর মা লক্ষ্মী মেয়ের মত ঘুমাতে গেল । আমি শুয়ে সবে মাত্র চোখ বুজছি, আবার ফোন । আবার কি হলো । ফোন রিসিভ করতেই আবার কান্না ও…ও...ও....
বলে লাইট বন্ধ করলে চিকা চিক চিক করে । মহা মুশকিল । মনে হইল কামান দাগায়া চিকার গুষ্ঠি উদ্ধার করি । কিন্তু আমার অবস্থা তো ঢাল নাই তরবারি নাই নিধিরাম সর্দার এর মত । কি করা যায় ভাবতেছি । এমন সময় বল্টুর মায়ের মাথায় বুদ্ধি এসে গেল । বলে চল কথা বইলা রাত কাবার করি । জানতাম এইধরনের কিছু একটা হতে চলছে । আমি তো আবার বল্টুর মায়েরে দেইখা একটু কমই ভয় পাই । এদিকে চোখ ঘুমে ঢুলুঢুলু । রুমেও কথা বলার উপায় নাই । রুমমেটরা ঘুমে বিভোর । পথ একটাই বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করা আর কথা বলা । আধা ঘণ্টা যায় বল্টুর মায়ের ফোন রাখার কোন নাম গন্ধ নাই । এদিকে আমার অবস্থা কাহিল । এর মধ্যে আমি শুধু হু হাই করছি কথা বলছে সেই । যাই হোক ভয়ে ভয়ে বললাম ময়না চিকা কি গেছে । বলে চিকা কি আমারে বলছে নাকি যে গেছে কি যায় নাই । বললাম তাও ঠিক চিকা তো বেয়াদব প্রাণী । ও তো আর বলে কয়ে কিছু করে না । তারপরও যদি দয়া করে একটু দেখ । খুট করে ফোন কেটে গেল । এদিকে আমার চোখে ঘুম পায়ে ব্যাথা । একটু পর বল্টুর মায়ের খুশি খুশি গলা’ “ মনে হয় চিকা গেছে তাইলে ঘুমায়া পড়ি । তাড়াতাড়ি করে বললাম এইত লক্ষ্মী মেয়ে । ঘুমিয়ে পড় । বল্টুর মায়েরে ঘুম পাড়ায়া দিয়া নিজেও আল্লা রসুলের নাম নিয়া শুয়ে পড়লাম । কখন ঘুমিয়ে পরছি জানি না, স্বপ্নে দেখি হাতি সাইজের এক চিকা চিকচিক করতে করতে আমার দিকে আসতেছে । ভয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল । বুঝলাম ফোন বাজে এবং সেটা বল্টুর মায়ের কল ।
রিসিভ করতেই বল্টুর মায়ের মাখ মাখ গলা “ এই ওঠো আর কত ঘুমাবা । উঠে নাস্তা করে নাও ।
খুশি খুশ মন নিয়ে উঠলাম । রাতে ঘুম কামাই করে চিকা তাড়াইছি তো কি হইছে? বল্টুর মায়ের অমন আদুরে গলার দামও তো লাখ টাকা ।
(বিঃ দ্রঃ অবশ্য এরপর আর বল্টুর মায়ের চিকা বিষয়ক কোন সমস্যা হয় নাই ।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.