নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাব্যগ্রন্থ : ট্রাফিক সিগন্যালে প্রজাপতি, না গৃহী না সন্ন্যাসী; \nরম্যগল্পগ্রন্থ : কান্না হাসি রম্য রাশি। \nছোটদের বই : রহস্যে ঘেরা রেইনফরেস্ট \nইতিহাস গ্রন্থ: শেরে বাংলা ও যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন কিছু দুষ্প্রাপ্য দলিল

তরুন ইউসুফ

ভিজলে বলিস ই্চ্ছেমত তোর শরীরে স্নান হবো

তরুন ইউসুফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“তোমাকে চাই”

০৬ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬



অফিসে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। চাকুরি জীবনের সবচেয়ে বেশি কাজটাই বুঝি আজকে করলাম। ইচ্ছে করছিলনা তবু করতে তো হবেই। শেষ বিকেলে হঠাত তোমার কথা মনে পরল। অবশ্য তোমাকে তো সবসময়ই মনে পরে। এই মনে পরাটা একটু অন্যরকম ছিল। একটু তীব্র ভাবে কাছে পেতে চাওয়ার মত। মনটা বিষন্ন হয়ে গেল। মনে হল গান শুনলে হয়ত ভাল লাগবে। ডেক্সটপে বেশ কিছু গান ডাউনলোড করা ছিল। ফোল্ডারটা খুলতেই প্রথমেই সুমনের গান

প্রথমত আমি তোমাকে চাই
দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই
শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই

আশ্চর্য হলাম। মনে মনে এই গানটাই খুঁজছিলাম হয়ত। খুব তীব্রভাবে কাউকে কাছে পেতে চাইলে এভাবেই তো চাইতে হয়। মনটা আরও বিষণ্ণ হয়ে গেল। পর পর তিনটি গান শুনলাম। মজার ব্যাপার হল তিনটি গানই ছিল বিষণ্ণতার।

অফিস থেকে ফিরে আমার সাততলার চিলেকোঠা। সত্যি বলছি সিঁড়ির প্রতিটি ধাপে মনে পরছিল তোমাকে। খুব ক্লান্তি লাগছিল। সিঁড়ি ভাঙতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। তবু সিঁড়িতো ভাঙতেই হবে। না হলে চিলেকোঠার একলা রুমে একলা আমি কিভাবে ফিরবো।
আমার চিলেকোঠার রুম। তৃষ্ণায় বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। কিন্তু পানি ছিল অপ্রতুল। শুধু গলা ভিজানো যায় এমন। বিশ্বাস কর পানির চেয়ে তোমাকে কাছে পেলে বেশি ভাল লাগত। হয়ত পানির তৃষ্ণাটা থাকত কিন্তু বুকের তৃষ্ণা মিটে যেত।
আজকাল প্রচণ্ড গরম। ঘামের গ্রন্থিগুলো ঘাম ঝরাতে ঝরাতে ক্লান্ত। বিরক্ত আমি। শরীরের ঘাম শুকিয়ে যায় তবু প্রতিটি গ্রন্থিতে অনুভব করি তোমাকে। তুমি এমন কেন গো। এভাবে জড়িয়ে রাখো আমায়। জড়িয়ে রেখে দূরে সরে থাক। খুব স্বার্থপর তুমি তাই না।
সকালে ঘুম ভাঙলে বুকের ভিতর স্যাৎ করে ওঠে। বুক হাতড়ে তোমাকে খুঁজি। আমার মুঠোফোন হাতড়ে দেখি। ঘুমের মাঝে প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমার আসা যাওয়া। তাই এত তীব্রভাবে অনুভব করি তোমাকে। আমার মিষ্টি সকাল তুমি। সত্যি তো তাই

“তুমি না থাকলে সকালটা এত মিষ্টি হোতো না”

সকাল বাড়লে অফিস, রোদ্দুর, ব্যস্ততা আর তার মাঝে তুমি। মাঝে মাঝে বিরক্ত হই নিজের উপর। কেন যে তোমাকে একটু দূরে রাখতে পারি না। তোমাকে দূরে রাখতে গেলে যে আমার অস্তিত্বই থাকে না। তাই তোমাকে ঘিরেই দিনযাপন। আমি জানি এভাবেই চাইব তোমাকে সকালে, বিকেলে কিংবা মাঝরাতে।
মাঝে মাঝে মাঝরাতে যখন ঘুম ভেঙে যায় জানালা গলিয়ে আকাশটা উঁকি মারে। কখনো জ্যোৎস্নাস্নাত আকাশ, কখনো মেঘলা আকশ। মাঝেমাঝে তারাদের আঁকিবুঁকি। অন্তহীন অপেক্ষার মতো মনে পরে

‘আমার ভিনদেশি তারা
তুমি রাতেরই আকাশে
বাজালে একতারা
আমার চিলেকোঠার পাশে’

বুকে হাত দিয়ে হৃৎপিণ্ডটাকে অনুভব করি। রক্তের গতিপথে তোমাকে অনুভব করি। আমার আকাশের তারা, আমার প্রতিটি মুহূর্তই তোমাকে ঘিরে। তোমাকে ঘিরেই চাওয়া পাওয়ার অঙ্ক কষা। তোমাকে না পেয়ে না পাওয়ার হতাশা আবার তোমাকে পেয়ে পাওয়ার আনন্দ। দিনশেষে ঘুমুতে যাওয়ার আগে বুক হাতড়ে একটা জিনিসই পেলাম “তোমাকে চাই, তোমাকে চাই”

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.