নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে মানুষের সুখের গল্প শুনি। মানুষ সুখের গল্প করতে ভালবাসে।একপ্রকার মিথ্যা বিরক্তি নিয়ে মানুষ সুখের গল্প করে। ভালবাসার গল্প করে। যেমন কারও ছোট্ট একটি মেয়ে আছে। মেয়েটি খুবই সুন্দর, ফুটফুটে। আবার ভীষণ দুষ্ট। এ ফেলে ও ভাঙে। বাবাকে দেখলে ঝাঁপ দিয়ে কোলে যায়। মার সাথে আধো আধো বুলিতে কথা বলে। সে যখন তার ঐ মেয়েটির গল্প করবে তখন বলবে, জানো আমার মেয়েটা এত দুষ্ট হয়েছে না! সারাক্ষণ কোলে চড়ে থাকবে। এত দুষ্ট যে রাত্রে ঘুমাতেই দেয় না। অথচ এই দুষ্টামির গল্প যখন করে তখন তার মুখ থাকে হাসিহাসি। মুখের সাথে তার চোখ ও হাসে।
কিংবা কারও বউ বা মেয়েবন্ধু বা ছেলেবন্ধু খুব কেয়ার নেয়। একটু পর পর ফোন করে। খাওয়ার সময় ফোন দেয়। তাড়াতাড়ি রুমে ফিরতে বলে। সেও এসব গল্প করে কৃত্তিম বিরক্তি নিয়ে। সে বলে, আর ভাই এসব ভাল লাগে না। কি আর বলব বলেন। যখন তখন খালি ফোন দেয়। আর ভাল লাগে না। একসময় মনে হয় ছেড়ে দেই। কিন্তু পারি না। মায়া পড়ে গেছে তো তাই ছাড়তে পারি না। কিন্তু এইসব গল্প সে করে আসলে কোন বিরক্তি নিয়ে নয়। বরং একপ্রকার গর্ব নিয়ে। সুখের গর্ব।
সুখী মানুষের দিকে তাকালে তার হাঁটার ভঙ্গিতে, কথা বলায়, চোখের ইশারায় সুখ বোঝা যায়। সুখী মানুষের সুখ তার সারা শরীরে খেলা করে।
মানুষের সুখী হতে খুব বেশি কিছু লাগে না। ছোট একটি ঘর, কিছু আপনজন, একজোড়া চোখ, দুটি নরম হাত, একটা আগলে রাখার মত বুক সুখের জন্য যথেষ্ট। অর্থাৎ একটা আপন মানুষ, খুব আপন মানুষ সুখের জন্য খুব প্রয়োজন। যে মানুষ একজোড়া চোখ দিয়ে সবসময় খেয়াল রাখবে। দুটি হাত দিয়ে মায়ায় জড়াবে। অসহায় সময়ে বুকে আশ্রয় দেবে। সুখী হতে বেশি কিছু লাগে না। এমনকি একটা ঘর না থাকলেও মানুষ সুখী হতে পারে। একটা আপন মানুষই তো মানুষের একটা ঘর, একটা পৃথিবী। একটা আপন মানুষ, মানুষের নিশ্চিত পৃথিবী।
ভাবতে গেলে দেখা যায় দুখী হওয়ার চেয়ে সুখী হওয়া অনেক বেশি সহজ। অথচ পৃথিবীতে সুখী মানুষের চেয়ে দুখী মানুষের সংখ্যা বেশি। কারন বেশিরভাগ মানুষেরই নিশ্চিত একজোড়া চোখ, দুটি হাত, আগলে রাখার মত বুক থাকে না। অথবা কেউ খুজতে চেষ্টা করে না। আবার কারও কারও আপন মানুষ থাকে, কিন্তু সে নিশ্চিত কি না সেটা সে জানে না। কিংবা দুজন মানুষ হয়তবা সারাজীবন পাশাপাশি থেকেও বুঝতে পারে না তারা আপন মানুষ কি না। তাই পৃথিবীতে বেশিরভাগ মানুষই অসুখী। ঘর থেকেও ঘরহীন। আপনজন থেকেও এতিম, বেসাহারা। তবে এও ঠিক সুখ বা দুঃখ নিরবচ্ছিন্ন নয়। সুখী মানুষ চলতে চলতে হঠাত করে দুখী হয়ে যায়। আবার কিছু মানুষ দুখী হয়ে চলতে চলতে সুখী হয়ে যায়। মানুষ সুখী মানুষ দুখী। সুখ দুঃখ নিয়েই মানুষের অনিশ্চিত জীবন। ভীষণ অনিশ্চিত জীবন। মানুষের জীবন মুহূর্তেই পরিবর্তিত হয়। সে পরিবর্তন ভাল অথবা খারাপ। প্রচণ্ড সুখের অথবা প্রচণ্ড দুখের। এক মুহূর্তে একটা মানুষ খুব আপন হয়ে যেতে পারে। আবার খুব আপন একজন মানুষ খুব নিশ্চিত একটা মানুষ হঠাত করেই পর হয়ে যেতে পারে। আসলেই তাই।
বেশিরভাগ মানুষের জীবনে সুখ খুব অল্প আসে। নিরবিচ্ছিন্ন সুখী মানুষ খুব কমই হয়। তাই সুখকে মানুষ খুঁজে বেড়ায়। সুখের জন্য ঘর বাধে। সুখের গল্প শুনতে ভালবাসে। সুখী হতে চায়।
সুখী হতে বেশি কিছু লাগে না। তবুও মানুষ সুখী নয়।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৮
তরুন ইউসুফ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৭
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: দুঃখ আছে বলেই সুখের অস্তিত্ব আছে ।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪১
তরুন ইউসুফ বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুখী হতে বেশি কিছু ;আগে না অথচ সবাই সুখী নয়!
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৩
তরুন ইউসুফ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক।