নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মরিয়ম বেগম। চার সন্তানের জননী। সংসারে শাশুড়ি আছে। বেশ বড় সংসার। স্বামী রিকশাচালক। একজনের উপার্জনে সংসার চলতে চায় না। বড় কষ্টে দিন কাটে। পাশের বাড়ির একজন বিদেশে লোক পাঠায়। তার মাধ্যমে মরিয়মের স্বামী জানতে পারে সরকার গৃহ কর্মী হিসেবে সৌদি আরবে লোক পাঠাবে। পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে। মরিয়মের পরিবার এটাকে সুযোগ হিসেবে দেখল। মিলে গেল বিদেশ যাবার সুযোগ। একটু ভাল থাকার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমাল অচেনা দেশে। মরিয়ম সেখানে পাঁচ মাস ছিল। ছিল বললে ভুল হবে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এই পাঁচ মাসের প্রত্যেকটি রাত এমনকি দিনেও আরবের শেঠদের ভয়ংকর লালসার শিকার হয়েছে সে। কোনভাবে পালিয়ে দেশে ফিরেছে মরিয়ম। পত্রিকায় মরিয়মের মত এমন ভুক্তভোগী অনেকের কথাই আমরা পড়েছি। সবাই গিয়েছিল কাজ করতে। একটু ভাল থাকার আশায়। এখানে যদি বলা হয় সে মেয়ে মানুষ হয়ে কেন গেল সৌদি আরবে। না গেলে কি হোত না। একথা বললে কিন্তু ধর্ষণটা আর ধর্ষণ থাকে না। জায়েজ হয়ে যায়। অপরাধী হয়ে যায় ধর্ষিতা। কারণ সে গিয়েছিল বলেই এমন হয়েছে।
মধ্য প্রাচ্যের কথা না হয় বাদ দেই। বাংলাদেশেই অনেক বাসায় গৃহ কর্তা কতৃক গৃহ কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়। এক্ষেত্রে কি বলা যায়?
২০ বছর আগে শাজনীন তার নিজ বাসায় গৃহ কর্মী দ্বারা ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হয়েছেল। ঘটনাটা ঘটেছিল দিনে। সে কারো প্রলোভনে কোন নাইট ক্লাব কিংবা অন্য অপরিচিত জায়গায় কারো সাথে যায়নি। নিজ বাড়িই তো সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। তবুও...।।
মৌলভীবাজারে চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুলাউড়া উপজেলায় কর্মদা ইউনিয়নের একটি চা বাগানে।
হলিক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্লে শ্রেণির এক ছাত্রী (৫) ধর্ষণের মামলায় ওই স্কুলের আরবি শিক্ষক মো. মিনহাজ উদ্দিনকে (২৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মিরপুরের পাইকপাড়ার ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ শুক্রবার। পরদিন মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর (সংশোধনী ২০০৩) ৯-এর ১ ধারায় শিশুটির মা মামলা করেন। তবে ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত আসামি ধরা পড়েনি।
পাকুন্দিয়ায় এক বখাটের যৌন লালসার শিকার হয়েছে এক শিশু। শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে জোরপূর্বক উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চর পাড়াতলা এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন একটি পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কচুয়া গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক একই গ্রামের কালু প্রামাণিক বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কেরানীগঞ্জের মান্দাইল খালেরঘাট এলাকায় সাত বছরের এক শিশুকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেছে নুরুল ইসলাম নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ।
শিশুদের নিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ১৯৯ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ঠিক পরের বছর ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২১ জনে, যা ২০১৪ সালের তুলনায় প্রায় আড়াই গুণ বেশি। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৬৭ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে ৫ জন গণধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২ শিশুকে। এছাড়া সংগঠনটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালে ৮৬ শিশু, ২০১৩ সালে ১৭০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।
অনেকে দেখলাম ফেসবুকে লিখেছেন কেউ কেউ লিখেছেন ধনীর দুলাল দেখে মেয়ে দুজন গিয়েছে বলে তারা লালসার শিকার হয়েছে। অনেকে আবার এর সমর্থনে কমেন্ট দিয়েছেন অনেকে আবার উল্টো মেয়ে দুজনের বিচার চেয়েছেন। উপরের যে ঘটনাগুলো পড়লেন তার বেশির ভাগই শিশু। খেলাধুলা ছাড়া যাদের তেমন কোন বিষয়েই যাদের জ্ঞান হয়নি। অথচ তারা লালসার শিকার হয়েছে। কেউ আবার লালসা পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছে। যারা প্রশ্ন তুলেছেন রেইনট্রির ঘটনা নিয়ে কেন তারা অত রাত্রে গেল গিয়েছে বলেই শিকারে পরিণত হয়েছে তারা কি মৌলভীবাজারে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ছয় বছরের যে শিশুটিকে অত্যাচার করা হয়েছে তার ক্ষেত্রেও বলবেন চকলেটের প্রলোভনে গিয়েছে বলেই......!
ধর্ষণ যে ভাবেই ঘটুক না কেন তা একটি ঘৃণ্য অপরাধ। ধর্ষক যেই হোক না কেন সে ঘৃণ্য পশু। তাই আমরা যদি এ ধরনের ঘটনার পর যদি বলি “এরকম না হলে ওরকম হত না” তাহলে তা ধর্ষকদের প্রশ্রয় দেয়া হয়। তাহলে আমদের সন্তান, স্ত্রী, বোন এমনকি মায়েরা অনিরাপদ অবস্থায় পড়ে যায়।
কিছু জায়গা থাকে যেখানে ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ থাকে না। ছাড় দিতে হয় না। কিছু বিষয় থাকে যেখানে “যদি, কিন্তু” এসব বলা যায় না। সকল ধর্ম, মত, পথের বাইরে এসে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। যেমন ধর্ষণ। তা না হলে যে কেউ যে কোন সময় এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
তরুন ইউসুফ বলেছেন: আমাদের চাওয়া সেটাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪২
জগতারন বলেছেন:
ধর্ষক যেই হোক না কেন সে ঘৃণ্য পশু।
তাকে সাস্তি পেতেই হবে।
আজ হউক, কাল হউক তাকে সাস্তি পেতেই হবে।
১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৯
তরুন ইউসুফ বলেছেন: হ্যাঁ ধর্ষককে শাস্তি পেতেই হবে।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
খরতাপ বলেছেন: মেয়েদেরকে দোষ দেওয়াও ঠিক আছে। প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, তার বয়ফ্রেন্ডকে এতটা বিশ্বাস করবে কেন? লুইচ্চা হলে বয়ফ্রেন্ড তো সেই সুযোগ নেবেই। মেয়েদেরকে দোষ দেয়ার অর্থ তার শাস্তি দাবি করা নয়, যেসব মেয়েরা এখনো অঘটনের শিকার হয়নি, তাদেরকে সতর্ক করা, তাদেরকে চাপে রাখা।
১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
তরুন ইউসুফ বলেছেন: কিন্তু কেউ যদি ধর্ষণের কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে আগে ধর্ষকের সাজা না চেয়ে বলে অমুক কারনে তমুক হয়েছে তখন বিষয়টার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈকি! অবশ্যই মেয়েদের সাবধান হতে হবে এবং তাদেরকে সাবধান হতে বলার ভাষা আছে। আক্রান্ত কোন মেয়েকে এই অবস্থায় প্রশ্নের সম্মুখীন করাটা তাকে দোষ দেয়াটা কতটা যৌক্তিক? তুমি গিয়েছ বলেই ধর্ষিত হয়েছ একথাটা ও কি ঠিক। না গেলেও তো ধর্ষিত হয়। তবে হ্যাঁ মেয়েরা সাবধান! এই ঘটনা থেকে অবশ্যই তাদের শিক্ষা নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: no means no....কোন কিছু দিয়েই জায়েজ করা যাবে না। শাস্তি দিতেই হবে...