![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই আলাদা
বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে, বর্তমান বিশ্বে ইসলামকে খারাপ ভাবে তুলে ধরা হয় । কিন্তু ইসলাম কখনই এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে সমর্থন করেনা। বরং ইসলামের ধর্মগ্রন্থগুলোতে যেকোন মানবতা বিরোধী কাজকে অত্যন্ত ঘৃনীতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সত্যিকারের মুসলিম কখনই এইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করবে না। যেসব ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের কথা বলা হয়, তারা আদৌ ইসলাম মানেনা । কারণ , তারা ইসলামের শিক্ষার বাইরে কাজ করছে। তারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তারা ইসলাম থেকে বিচ্যুত । এছাড়া, তাদেরকে কখনই দেখা যায় না অসহায় মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে। তাদের মাঝে যদি আসলেই ইসলামের শিক্ষা থাকতো, তাহলে তারা আগে অসহায় মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতো। তারা রোহিঙ্গা, ইরাক, সিরিয়া, ফিলিস্তিন প্রভৃতি দেশের মুসলিমদের পাশে দাঁড়াত। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে, তারা আসলেই মুসলিম নয় । তাদের ঈমান নেই।
এইখানে আমি শুধুমাত্র কোরআনের কয়েকটা রেফারেন্স দিলাম, ইসলাম কি বলে, মানবতা নিয়ে ..............
"আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিন ব্যক্তিকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, যেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার প্রতি আল্লাহর গযব ও অভিসম্পাত এবং তিনি তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন"। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ৯৩)
"আল্লাহ যে প্রাণ হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করো না। যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, আমি তার উত্তরাধিকারীকে ক্ষমতা দান করি। অতএব, সে যেন হত্যার ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন না করে। নিশ্চয় সে সাহায্যপ্রাপ্ত।" (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ৩৩)
"নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতিরেকে, কেউ কাউকে হত্যা করল্ সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে হত্যা করল। আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানব গোষ্ঠীকে রক্ষা করল" (সূরা মায়েদাহ, আয়াতঃ ৩২)
এমনকি যুদ্ধ চলাকালীন সময়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে । শুধু তাই নয়। শত্রুরা শান্তি চাইলে, সেটার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। যুদ্ধের পুরো পরিস্থিতিটা তাদের উপর দেয়া হয়েছে। শান্তিটাও তাদের উপর। তারা শান্তি চাইলে , শান্তি ; যুদ্ধ চাইলে , যুদ্ধ । ইসলাম সবসময় শান্তির পক্ষে।
“আর তোমরা আল্লাহর পথে ঐ সমস্ত লোকদের সাথে যুদ্ধ কর, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসে। এবং সীমালঙ্ঘন কর না। আল্লাহ তো সীমালংঘন কারীদেরকে ভালবাসেন না।” (সূরা বাক্বারা, আয়াতঃ ১৯০)
"আর যদি তারা সন্ধি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তুমিও সে দিকেই আগ্রহী হও এবং আল্লাহর উপর ভরসা কর। নিঃসন্দেহে তিনি শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত। ( সুরা আনফাল, আয়াতঃ ৬১)
"যদি কোন কাফির (অমুসলিম) তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করে, যদি তারা শান্তি চায়, তাহলে তোমরা তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দাও"। (সূরা তওবা : আয়াত ৬)
"আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে তাদেরকে পাও এবং তাদেরকে বের করে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদেরকে বের করেছিল। আর ফিতনা হত্যার চেয়ে কঠিনতর এবং তোমরা মাসজিদুল হারামের নিকট তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো না, যতক্ষণ না তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সেখানে লড়াই করে। অতঃপর তারা যদি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তবে তাদেরকে হত্যা কর। এটাই কাফিরদের প্রতিদান"। (সূরা বাক্বারা, আয়াতঃ ১৯১)
"তবে যদি তারা বিরত হয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু"। (সূরা বাক্বারা, আয়াতঃ ১৯২)
"আর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যে পর্যন্ত না ফিতনা খতম হয়ে যায় এবং দীন আল্লাহর জন্য হয়ে যায়। সুতরাং তারা যদি বিরত হয়, তাহলে যালিমরা ছাড়া (কারো উপর) কোন কঠোরতা নেই।"(সূরা বাক্বারা, আয়াতঃ ১৯৩)
শুধু সাধারন মানুষ নয়, এমনকি গর্ভের সন্তানকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে ।
"দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মারাত্নক অপরাধ।" [ সুরা বনী-ইসরাঈল, আয়াতঃ ৩১ ]
দ্বীনের ব্যাপারেও জোর-জবরদস্তী করতে নিষেধ করা হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কুরআনের সুস্পষ্ট বক্তব্য আছে । অমুসলিমদের সাথে ভালো ব্যবহার ও ন্যায়বিচার করার জন্য আলাদাভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাঙ্গা তো দূরের কথা, খারাপ ব্যবহারই করা যাবেনা ।
“ ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।” (সূরা মুমতাহিনা, আয়াতঃ ৮)
“ দ্বীনের ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তী করা যাবে না। হেদায়েত এবং গোমরাহি স্পষ্ট হয়ে গেছে। যে ব্যক্তি ‘তাগুত’ কে অস্বীকার করল সে এমন ‘মজবুত হাতল’ ধরল যা কখনো বিচ্ছিন্ন হবার নয়।” (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ২৫৬)
এমনকি ,ইসলামে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম হোক। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ নাই; সকল মানুষ সমান। প্রতিটা মানুষকেই সন্মান দিতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী হিসাবেও থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। যে ইসলামকে জানে, বুঝে, সে কখনও মানুষ হত্যা করতে পারে না এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী হিসাবেও থাকতে পারেনা । কারণ, এই ব্যাপারে বারবার নিষেধ করা হয়েছে । একজন সত্যিকারের ধার্মিক মুমিন কখনও এমন করে না।
“হে মানুষগণ, আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ এবং একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিত হতে পার। তোমাদের মাঝে আল্লাহর নিকট সেই সবচেয়ে বেশী সম্মানিত যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহ ভীরু।” (সূরা হুজুরাত, আয়াতঃ ১৩)
শুধু কাফিরদের বিরুদ্ধে নয়, মুমিনদের কেউ ঝগড়া-বিবাদ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। ইনসাফ করতে বারবার বলা হয়েছে ।
"যদি মুমিনদের দুই দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের উপর চড়াও হয়, তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি ফিরে আসে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দিবে এবং ইনছাফ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ইনছাফকারীদেরকে পছন্দ করেন"। [(সুরা হুজুরাত ,আয়াত: ৯ )
অতএব বোঝা যায়, ইসলাম কখনও মানবতা বিরোধী কার্যকলাপ কে সমর্থন করে না।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
তাসিন , সবার থেকে আলাদা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: অবশ্যই ঠিক বলেছেন।
আইএস, আল কায়েদা,সহ সকল জংগি গোষ্টি ইসলামের জন্য অভিশাপ। এরা ধর্মের নামে পার্থিব লালসায় মত্ত।
সহিংসতা যৌনদাসি তেলের খনি এদের মুল টার্গেট। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় এদের সমর্থনে আছে ইহুদি খৃষ্টান।
এরাই ফেৎনা সৃষ্টিকারি
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
মেরিনার বলেছেন: মূল theme-এর সাথে সহমত!