নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখানে থাকা মানে... সবখানে থাকা

বাঁচি বলেই আছি। নাচি বলেই বাঁচি। আছি বলেই যাচি। যাচি বলেই মাছি।-মানুষের দশ দশা কখনো হাতি কখনো মশা।

স্মার্ত স্বাতী

স্মার্ত স্বাতী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্ল্যানচেট

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৪



লোক-সাহিত্য (১ম ও ২য় খণ্ড): ড. আশরাফ সিদ্দিকী
আঙ্গিকতার আলোকে ফোকলোর : ড. মযহারুল ইসলাম
কবিতা কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড : আবদুল মান্নান সৈয়দ
ছাগলের হাসি ও একটি পাউরুটি : রবীন্দ্র গোপ
মেটাফোকলোর চাকমা প্রবাদ : তসলিম উদদীন(সংখ্যাতিরিক্ত খেলোয়াড়)

পাঁচ ওয়াটের বাল্ব জ্বালানো হলো। প্যাডের কাগজে ডট পেন দিয়ে বৃত্ত আঁকলেন আশরাফ স্যার। প্রথমত প্ল্যানচেটের আসরে বসলেন মযহার স্যার। আশরাফ স্যার প্রশ্ন করলেন, মযহার সাহেব কার আত্মা আনতে চান?
মযহার স্যার বললেন, উইলিয়াম জন থমসের। একজনের কাছ থেকে আংটি নিয়ে তা সুতোতে বেঁধে-মযহার স্যারের হাতটাকে কনুই-এ ভর করে টেবিলের ওপর রাখতে বললেন। বৃত্ত আঁকা কাগজের প্যাডের এক প্রান্তে ‘হ্যাঁ’ আর প্রান্তে ‘না’ লিখলেন আশরাফ স্যার। বৃত্তের মাঝখানে আংটিটা ঝুলিয়ে রাখলেন মযহার স্যার। আংটিটা পেন্ডুলামের মতো ‘না’ শব্দটির দিকে দোল খেতে লাগলো। আশরাফ স্যার বললেন, দেরি হবে ইংল্যান্ড থেকে আসবে তো। আমি বললাম (হাজু-মাজু হয়ে), কী দরকার ইংল্যান্ড থেকে আত্মা আনবার। আপনারা তো ঢের আছেন। আর কি চাই আমাদের।আশরাফ স্যারের চোখ মাযহার স্যারের চোখে মিশে চার চোখের সম্মিলিত সোডিয়াম চাহনি আমাকে অদ্ভুত এক আনন্দের ফোয়ারা বইয়ে দিয়েছে। এবার মিডিয়াম পরিবর্তন করে এলেন রবীন্দ্র গোপ।রবীন্দ্র গোপ সারাজীবন মালগুদামে কাজ করেছেন(ভুল না হলে)। তবে তিনি খুব ব্যক্তিত্ব ও কড়া স্নায়ু সম্পন্ন মানুষ। তাঁকে আশরাফ স্যার প্রশ্ন করলেন, কার আত্মা আনতে চান? তিনি ছটজলদি বললেন, রাজশেখর বসু’র। আমি হাততালি দিলাম।তিনি আমার দিকে ব্যাঙমাছের মতো করে তাকালেন। আর আমি উটপাখির মতো মাথা গুজিয়ে তপ্ত মরুতে সরু এক গর্ত খুঁড়ে নিজেকে রক্ষা করলাম। তিনি যে কেনো এমন করলেন আমি জানি না। আমি তো তাঁর কবিতার অনুরাগি পাঠক। তাঁর সম্পর্কে যতো যা বলেছি-সব ভালোই তো। তাহলে তাঁকে আমার সম্পর্কে কেউ হয়তো ভুল বুঝিয়েছেন। যাক, এবার আবার মিডিয়াম পরিবর্তন হলো। নাম আসলো আবদুল মান্নান সৈয়দের। তিনি অন্ধকারে দাঁড়িয়ে নখ দিয়ে চামড়া ঘষছে। সামনে আসতে চাচ্ছে না। তারপরেও অন্ধকার থেকে বলছে-আমি আবদুল মান্নান সৈয়দের আত্মা আনতে চাই। আর আমি তাঁর প্রেতাত্মা। তারপরেও আমি তাঁর সান্নিধ্য পেতে চাইলাম। তিনি আমাকে তলা ফুটো একটি খালি বালতি হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন। অবশেষে আমার স্বপ্নযুক্ত ঘুম ভাঙলো ইলেকট্রিক পাখার অভিমানে।

পুনশ্চ : প্ল্যানচেটের মাধ্যমে মৃতব্যক্তির আত্মাকে হাজির করা হয়। আমি যে প্ল্যানচেট স্বপ্নে দেখলাম তা কিনা একজন বাদে জীবতদের নিয়ে।তাহলে ওনারা এখন কোথায়? রবীন্দ্র গোপের অসংখ্য কবিতা পড়া আছে। আর গবেষণার জন্য ড. আশরাফ সিদ্দিকী আর ড. মযহারুল ইসলামকে এখন পড়ছি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: করতে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.