নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাতাসের মতো এলোমেলো ভাবেই বয়ে চলছি মৃত্যুর আগ অবধি !\nনীলখামে বেদনা লুকিয়ে সবার মাঝে ছদ্মবেশি হাসি হেসে কাটাই তিনপ্রহর !

ইউনা আফরোজ

ইউনা আফরোজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা ক্ষেত্রের আপত্তিকর কিছু বিষয় !

০৮ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পেয়ে সহজভাবে প্রস্তুতি নিয়ে কেউ পরীক্ষা দেয়, আর কেউ কলুর বলদের মতো কেটে কষ্ট করে পরীক্ষা দেয়।
এই হলো বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা !আমি বলব না এটা সরকারের দোষ ,আমি বলব এটা দূর্নীতি বাজ কিছু নিকৃষ্ট মানের অর্থলোভী শিক্ষকদের দোষ !
সামান্য কয়টা টাকার জন্য পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে এক নিকৃষ্ট মানের আত্মপরিচয় দেন কিছু শিক্ষকরা ,অথচ বাবা মার পরের স্থানে শিক্ষকের স্থান দিয়ে স্রষ্টা শিক্ষকদের অপার সম্মান দান করেছেন !

তখনই কষ্ট লাগে যখন আমারই কোনো সহপাঠী যে সারা বছর ঘুরে ফিরে বেড়িয়েছে বই এর কাছেও যায় নি ,
সে ফোন করে বলে ,"দোস্ত আমার তো এই বিষয় নিশ্চিত A+থাকবেই !
অবাক হয়ে জিঙ্গাস করি ,কিভাবে ?তোর তো প্রস্তুতি খারাপ ছিল !
উত্তরে সে বলে ,আরে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পেয়ে গেছি ,তুই তো কুমিল্লা বোর্ডের ,ঢাকা বোর্ডের হলে তোকে দিতাম !
আমি ফোনের এপাশে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলি ! ওরা ঠিকই ভালো জিপিএ তে রেজাল্ট করবে ,কেননা এটাই স্বাভাবিক পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পেলে সবাই ভালো রেজাল্ট করে !

অন্যদিকে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির কিছু কলেজে পরীক্ষার হলে শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে দি্চ্ছে ,আমার পরিচিত অন্য একজন ফ্রেন্ড ফোন করে বলে ,দোস্ত স্যার রাই প্রায় সব বলে দিচ্ছে ,বললাম ,কিভাবে সম্ভব ?উত্তরে বলে ,আরে ছাত্রলীগের নেতারা আছেন ,সভাপতি সবার সাহায্যে টাকা দিয়ে পুরা হল কিনে ফেলি শিক্ষার্থীরা যেভাবে খুশি পরীক্ষা দেবে !

অন্য একটা ঢাকার ফ্রেন্ড বলে ,দোস্ত ভালোই সাহায্য পাই সাইডম্যান থেকে !বললাম ,স্যার রাকিছু বলে না?হল ডিউটি কেমন ? বললব তেমন কড়া না !
অথচ আমি নোয়াখালীর সরকারী মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি দিলাম হল পড়েছে নোয়াখালী সরকারী কলেজে ,হল ডিউটি কি পরিমানে কড়া ছিল আমরাই জানি !
কত কষ্ট করে HSC দিলাম সেটা আমরাই জানি রাতে পর রাত জেগে ঘুমের সাথে যুদ্ধ করে পরীক্ষা দিয়েছি ,এদিকে বন্ধ তেমন পায় নি পরীক্ষার রুটিনে সাইন্স ,কর্মাস ও আর্টস এর বৈষম্য ছিল ,যারা সাইন্সে তারা গ্রুপ সাবজেক্ট গুলোর জন্য সাপ্তাহ ,তিন দিন চারদিন করে পেয়েছিল ,অথচ কর্মাসেেের তেমন ছিল না,হিসাববিজ্ঞানের জন্য একসাপ্তাহ বন্ধ ছিল !
আবার কমার্সের যার ঐচ্ছিক সাবজেক্টের ভিন্নতার জন্য এমনও হয়েছে একটা গ্রুপ হিসাব বিজ্ঞানের জন্য ১৩দিন পেয়েছে আরেকটা গ্রুপ ৭দিন ! এতে করে পিপারেশনের নেওয়ার সময়ের বিভিন্নতা দেখা দেয়!

এসব কিছু পড়ার পর আপনারা শেষ একটা কথা বলবেন ভার্সিটিতে তোমরাই চান্স পাবে ওরা না ,হ্যাঁ আপনার কথা ঠিক !কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কারো জন্য শুধু জিপিএ টাই বিষয় হয়ে দাঁড়ায় !কারণ ভার্সিটির ফরম কিনতে এখন পাবলিক গুলোতে সাড়ে আটের নিচে ,সাড়ে সাতের নিচে পরম কেনা যায় না !এভাবে পরীক্ষার দেওয়া ভিন্নতার জন্য একটা স্টুডেন্ট হয়ত জিপিএ এর জন্যই পাবলিকে পরম কিনতে পারে না !
এভাবে শিক্ষাঙ্গনে পরীক্ষার হলে এসব ভিন্নতার জন্য খারাপ স্টুডেন্টও ভালো জিপিএ পেয়ে যাচ্ছে !অথচ পাবলিকে এই জিপিএ এর জন্য অনেকেই পরীক্ষা অবধি দিতে পারবে না !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.