নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে খুবই সফল আওয়ামিলীগ। ঠিক আগের বারের মতোই আরও একবার সরকার গঠন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বহুত আগে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার। তার যথাযথ প্রমাণ মিলে জনৈক আইজিপি সাহেবের সেদিনকার বক্তব্য থেকে। আইজিপি সাহেব ক'দিন আগে বললেন ‘নির্বাচনের আগে কোনো গোলযোগ বরদাশত করা হবে না ‘। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলন করাকেই কি গোলযোগ বলেননি আই জি পি মহোদয়? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক এই আইনে আটকে রেখেছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আইসিটির ৫৭ ধারার কালো আইন নিয়ে ২০১২ সালের পরে ব্লগে অনেক লেখা এসেছিল। আজও সে কালো আইন সংশোধন হয়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি নিবর্তনমূলক আইন।সরকার বিরোধী মতকে দমন করতে এ' আইনকে যে হাতিয়ার বানায়নি উহা কোন হাইব্রিড সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতার পক্ষে পর্যন্ত অস্বীকার করা সম্ভব নয়। স্বাধীন মতপ্রকাশে বাঁধা দেবার লক্ষ্যে সৃষ্ট এই আইনে দেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের আটক করা আরম্ভ হয়েছে। একজন চিত্রনায়িকাকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পোষ্ট দেয়ার অপরাধে আটক করা হচ্ছে। এই আইনের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সংবাদকর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার জন্যই করা হয়নি তা কোন বিবেকবান নাগরিক অস্বীকার করবেন না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা আট মাসের বেশি সময় কারাগারে আটক আছেন। সম্প্রতি ইউএনবির সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ রমনা থানায় মামলা এবং একই মামলায় পরদিন সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর (৩ এপ্রিল জামিনে মুক্ত) পর, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এর পক্ষ থেকে চাপ আসে ~আইনটি অবিলম্বে স্থগিত করার ও সেটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এর ধারাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার। ঠেলা খেয়ে যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাহেব বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের সুপারিশ পর্যালোচনা চলছে। এ নিয়ে দেশের নাগরিক সমাজের সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে যা উঠে আসে, তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু সত্য হল সে বিতর্কিত আইন সংশোধন করার কোন অগ্রগতি নেই।
ছবি - সংগৃহীত, তথ্য-উপাত্ত - পত্রিকা।
২| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
গোলযোগ আর গোল যোগের মাঝে পার্থক্য আছে। আবার মিলও আছে।
গোলযোগ করেন খারাপ দুষ্কৃতকারীরা। আর, গোল যোগ করেন নিপুণ খেলোয়াড়েরা।
আপনি কাদের কথা বলছেন?
৩| ০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
শাওন আহমাদ বলেছেন: দির্ঘশ্বাস...
৪| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব করতে পারে। সব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০২৩ ভোর ৬:১৮
কামাল১৮ বলেছেন: গোলযোগ কখনো সমর্থন করা যায় না।নির্বাচনের আগেই হোক আর পরেই হোক।