নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু পরবর্তী জীবন কেমন হবে ?

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯


মৃত্যু পরবর্তী জীবন বলতে মৃত্যুর পর পরকাল জীবন অতিবাহীকে বোঝানো হয়েছে।অথবা অন্য একটি অনন্তকাল অতিবাহী জীবনের কথা বলা হয়েছে।আজ আমরা সে জগতের কিছু ধারণা নেব । মানুষ ধারণা ও ধর্ম অনুসারে ব্যক্তির শরীরের মৃত্যু হয়ে গেলেও তার আত্মপরিচয় বা চেতনার অস্তিত্ব থেকে যায়। পরকালের বিভিন্ন ধারণা অনুযায়ী মৃত্যুর পরেও থেকে যাওয়া ব্যক্তির এসেন্স কোন আংশিক উপাদান অথবা পূর্ণাঙ্গ আত্মা বা স্পিরিট হতে পারে। এই এসেন্স কোন ব্যক্তিগত পরিচয় বহন করতেও পারে আবার নাও পারে যেমন ভারতীয় দর্শনের নির্বাণ। পরকালের উপর বিশ্বাস প্রকৃতিবাদী দর্শন থেকে আসতে পারে অথবা অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস থেকে আসতে পারে। এই বিশ্বাস এটারনাল অবলিভিয়ন ধারণায় বিশ্বাসের বিপরীত।কিছু লোকায়ত মতদেন, মৃত্যুর পরও অস্তিত্ববহন করা এই সত্তা কোন অতিপ্রাকৃত জগতে অবস্থান করে, আবার অন্যান্য কিছু লোকায়ত মতবাদদেন এই সত্তার পুনর্জন্ম ঘটে এবং পুনরায় জীবনচক্র শুরু হয়। এক্ষেত্রে পূর্বের জীবন সম্পর্কে কোন স্মৃতি থাকে না। এই মতবাদ অনুসারে সত্তার একটি অতিপ্রাকৃতিক জগতে প্রবেশের আগ পর্যন্ত বারবার জন্ম এবং মৃত্যুর প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। পরকাল সংক্রান্ত বেশিরভাগ বিশ্বাসেরই উৎপত্তি ধর্ম, এসোটেরিসিজম এবং অধিবিদ্যা থেকে।কিছু বিশ্বাস ব্যবস্থা বিশেষ করে আব্রাহামিক ধর্মেগুলোর বিশ্বাস অনুযায়ী মৃত্যুর পর সত্তা জীবিতাবস্থায় পৃথিবীতে তার কৃতকার্য এবং বিশ্বাস অনুযায়ী ঈশ্বর বা কোন স্বর্গীয় বিচারের দ্বারা নির্ধারিত বিশেষ স্থানে গমন করে। ওন্যদিকে ভারতীয় ধর্মগুলোর পুনর্জন্ম বিশ্বাস অনুযায়ী মৃত্যুর পর কৃতকার্য অনুসারে সত্তার প্রকৃতি সরাসরি নির্ধারিত হয়ে যায় এতে ভিন্ন কোন সত্তার সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয় না।অধিবিদ্যীয় মডেলগুলোতে আস্তিকরা সাধারণত একধরণের পরকালে বিশ্বাস করে থাকেন যা মৃত্যুর পর তাদের জন্য আরেকটা দুনিয়া তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিছু সাধারণ অআস্তিক্যবাদী ধর্মের সদস্যরা পরকালে বিশ্বাসমুখী হন, কিন্তু তাদের সেই বিশ্বাসে কোন ঈশ্বর থাকে না। স্যাডিউসিজ নামে একটি প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায় আছে যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেও পরকালে বিশ্বাস করতেন না।অনেক ধর্মই তা সে খ্রিষ্টধর্ম বা ইসলাম বা অনেক পৌত্তলিকতাবাদী বিশ্বাসব্যবস্থার মত পরকাল বলতে মৃত্যুর পর অন্য এক জগতে আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী হোক অথবা হিন্দুধর্ম বা বৌদ্ধধর্মের অনেক ধারার মত পুনর্জন্মেই বিশ্বাসী হোক। সকল ক্ষেত্রেই বিশ্বাস করা হয় যে পরকালে কোন ব্যক্তির অবস্থা হচ্ছে জীবিতাবস্থায় তার কৃতকার্যের শাস্তি অথবা পুরষ্কার।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

খালেদা শাম্মী বলেছেন: শাস্তি অথবা পুরষ্কা্র।
অত্যন্ত তথ্যবহুল লেখা ছিল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কারো কারো ক্ষেত্রে দুইয়ের মধ্যে এক,আবার কারো কারো মধ্যে দুটিই বহাল থাকিবে,অর্থাৎ শাস্তিও হবে অবশেষে
পুরুস্কারের মুখ দেখবে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবিশ্বাসীরা আফসোস করিবে হায় এদিনটিকে/পরকালকে আমরা অস্বীকার করিয়াছি !

দুর্ভাগ্য আমাদের।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাইদুল সরকার সময়উপযোগী মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আফসোস আমরা সব ভুলে যাই পরকালের কথা। পবিত্র কোরআনে বার বার বলেছেন আল্লাহ
“তোমাদের কে আমার কাছে আসতে হবে, দুনিয়ার সব কাজের জবাব দিতে হবে আমার কাছে , তোমরা পরকালের কথা স্মরণ করো সব সময়” কিন্তু দেখেন আমরা অন্ধ হয়ে যাই দুনিয়ার বিলাসিতা দেখে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কলি। ওটাই আসল পথ যে পথে সকলকে একবার যেতে হবে।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বেহেস্তে যেতে কার না মন চায় । আমরা অনেক কষ্টের জীবন যাপন করি। আমাদের জন্য জান্নাত আরো আবেগের।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর ভালো লাগল।
সবাইকে আল্লাহু বেহেস্ত দিলেই ভালো হবে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ। মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহকে ভয় পাওয়া মনে মনে ধারন করা
আল্লাহ্ থেকে এসেছি আল্লাহতে ফিরে যেতে
হবে। তাহলেই মানুষ পরোকাল অনন্তকালের
সাফল্য পেতে পারে। কেন এসেছি, কিকরতে
এসেছি, কেনই বা ফিরে যাব।
উৎকৃস্ট মানব সম্প্রদায় আল্লাহ্কে ভালবাসে
আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে বলে ন্যায়ের
পথে আল্লাহর আদেশ নিশেধ আল্লাহর নিশিদ্ধ
ঘোষিত কাজকে ভয় করে চলেন। অনন্তকালে
সবাইকে ফিরতে হবে। অবিশ্বাসীরা আল্লাহর
বিধি নিশেধ বিশ্বাস করেনা বলেই দুনিয়ায়
পাপাচার বিচ্ছৃংখ্যল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে
আর তাইত সাত দোজক, আট বেহেস্ত পুর্ব
নির্ধারিত। সকল ধর্মই স্বর্গ নরক নির্ধারন
করা আছে। অনেক ভাল লাগল আপনার
লেখা ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।হয়ত খুব শিগ্রহই মারা যাবো তাই ইদানিং মৃত্যুর কথা খুব বেশি মনে পড়ছে।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: শূন্য।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: যোগ বিয়োগ করেও ফেলেছেন তাহলে। =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.