নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৌফিকতুহিন

আমার ব্লগ হবে গঠনমুলক ও সুশীল।

তৌফিকতুহিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তক্ষক সমাচার।

০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:২৪

আমি সবসময় শুধু তক্ষকের নাম শুনেছি বা যখন বড় কোন বৃক্ষের নিচ দিয়ে যেতাম তাদের ডাক শুনতাম তক-ক্কা তক-ক্কা বলে।কিন্তু প্রানীটি কেমন সরাসরি দেখিনি।আজ প্রথম তক্ষক দেখলাম ও ছবি তুললাম।



আজ দুই সপ্তাহ ধরে এটি আমার বাসার দুতলার বারান্দার কোনায় অবস্থান করেছে।বুঝতে পারি চারপাশের বিপন্ন পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে সে আমার ঘরকে নিরাপদ ভেবেছে।দ্রুত দৌড়ে পালায় বিধায় ভালো করে ছবি নিতে পারি নাই।



ইদানিং চট্টগ্রামে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে,তক্ষক বা স্থানীয় ভাষায় টট-টেং এর ওজন যদি ৩০০গ্রামের উপর হয় তার দাম নাকি ৪লাখ টাকা।তাই আগ্রহী একদল লোক এই নিরীহ প্রানীটিকে নিশ্চিহ্ন করতে নেমে পড়েছে।



বাস্তবে পুরোটাই সম্পুর্ন মিথ্যা অপপ্রচার।এইসব নিরীহ প্রানীর বিলুপ্তি বাস্তুজগতের এক একটি পর্বের চিরতরে বিদায়ের পুর্বসংকেত।



তাই যতদিন এটি আমার কাছে থাকবে আমি এটিকে নিরাপদে রাখবো।নিচে তক্ষক বা টট-টেং এর একটি ক্ষুদ্র বিবরন দিলাম,



তক্ষক (Gecko) Lacertilia বর্গের Gekkonidae গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি। পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় রয়েছে। মাথা অপেক্ষাকৃত বড়, নাকের ডগা চোখা ও ভেঁাতা। চোখ বড় বড়, মণি ফালি গড়নের। লেজ সামান্য নোয়ানো। দৈর্ঘ্য নাকের ডগা থেকে পা পর্যন্ত ১৭ সেমি এবং লেজও প্রায় ততটা। তক্ষকের ডাক চড়া, স্পষ্ট ও অনেক দূর থেকে শোনা যায়। ডাকের জন্যই এই নাম। কক্কক্ আওয়াজ দিয়ে ডাক শুরু হয়, অতঃপর ‘তক্-ক্কা’ ডাকে কয়েক বার ও স্পষ্টস্বরে। এরা কীটপতঙ্গ, ঘরের টিকটিকি,ছোট পাখি ও ছোট সাপ খেয়ে থাকে। ছাদের পাশের ভাঙা ফাঁক-ফোঁকড় বা গর্তে অথবা গাছে বাস করে। ব্যাপক নিধনই বিপন্ন হওয়ার কারণ। অনেকে ভুলক্রমে তক্ষককে বিষাক্ত সরীসৃপ হিসেবে চিহ্নিত করে। দেশী চিকিৎসায় এদের তেল ব্যবহূত হয়।



































মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:২৬

বাংলার আগন্তুক বলেছেন: ভালো লাগলো

২| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:০৩

একাকী বালক বলেছেন: তক্ষক হুমায়ন আহমেদের গল্পে প্রায়ই পাওয়া যায়। শুধু গল্পে না আমাদের আশে পাশেও তক্ষক থাকুক। প্লাস। ভাল লাগল।

৩| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:১০

বাঘা তেঁতুল বলেছেন: বিষয়টি তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ । আমার ভাগ্নেও চিটাগাং থেকে বাহিরে বেরিয়েছিল এর জন্য মজার ব্যাপার হলো সে নিজেও জানে না প্রানী কি কেমন দেখতে, পরে আমি এর ডাক সহ ছবি বের করে দিলাম , তবে তাকে মানা করে দিলাম না ধরার জন্য , আমি সার্চ করে যতটুকু পেয়েছি এর বিষ এইচ আই ভি এর প্রতিশেধক জন্য মালোয়েশিয়া মনে হয় বেশি আগ্রহী , আমি শুনসি ৩০০গ্রাম ৭লাখ , তবে কার কাছে বিক্রি করবে তা কেও জানে না , আমি এর মধ্যে আবিষ্কার করছি একটা কে কিন্ত আমার ভাগ্নে কে জানায় নি জানালে এত সুন্দর প্রাণীটির কিচ্ছা খতম ,

পোষ্ট টি ইস্টিকি করা হোক , আমাদের সচেতন হওয়া দরকার ,

৪| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১:৫৮

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
তক্ষকেরও ভক্ষক এসে গেল

৫| ১৭ ই মে, ২০১২ সকাল ১০:৫৭

এস এ দিদার বলেছেন: আপনা তক্ষক িক এখোনো বেচে আছে।

২০ শে মে, ২০১২ রাত ৩:২৫

তৌফিকতুহিন বলেছেন: হ্যা,এখনো সুস্থভাবে বেচে আছে।

৬| ২২ শে জুন, ২০১২ ভোর ৫:৫৮

হোরাস বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কল্যানে প্রথম তক্ষক সম্পর্কে জাণলাম

৭| ২২ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৬

রাহি বলেছেন: হুম। সুন্দর পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.