![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘুড়ির সুতায় মাঞ্জা দেয়ার ব্যাপারটা অন্যজেলায় কি নামে আছে জানি না?তবে আমাদের চট্টগ্রামে এটাকে মাঞ্জা দেয়াই বলে।একটা পাত্রে সাগু,ভাতের মাড়ের সাথে সিদ্ধ করে তাতে কাঁচগুড়ো(যা আগেই বালির মতো মিহি করে চূর্ন করা হয়েছে)দিয়ে মিক্স করে সেই গলিত মিশ্রনের ভেতর দিয়ে সুতাকে এনামেল করা হয়।যা শুকোলে সত্যিই বেশ ধারালো।নাটাই থেকে এটা যখন বাতাসের টানে সরসর করে যেতে থাকে তখন অসাবধানে কেউ হাত দিলে হাত কেটে যেতে পারে।
আবার কারো ঘুড়ি ভো-কাট্টা(বহোডই-চট্টগ্রামের ভাষায়) হয়ে গেলে যখন এটি নেবার জন্য ছেলেপিলেদের মধ্যে টানাটানি হয় তখনও হাত কেটে যায়।মাঞ্জা সুতায় হাত কেটে গেলে বেশ হাত জ্বলে বা ব্যথা করে।আবার অনেক নেশাড়ু ঘুড়ি উড়িয়ে থাকে,তারা তাদের স্পেশাল মাঞ্জা দেয়ার ফর্মুলা কোকাকোলা ফর্মুলার মতো গোপন রাখে।তেমনি এক ঘুড়িবাজ ছিলো আমাদের বাল্যকালে এমু নামে এক লোক।সে এমনই মারাত্বক প্লেয়ার ছিলো যে,সে ঘুড়ি উড়ানো মাত্রই আকাশে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যেতো।সবাই তার প্রিয় ঘুড়ি নামিয়ে নিতো।যেনো কবুতরের পালে চিল হামলা দিলো বলে।আসলে ঘুড়ি ৫-৬টা কিনলে ১-২ টা ভালো পড়ে।তাই শান্তিতে ওগুলো ঊড়াবার সময় এমুর উৎপাত সত্যিই অসহ্য ছিলো।
এমু এক ঘন্টা ঘুড়ি উড়োলেই বিরক্ত হয়ে ঘুড়ি নামিয়ে ফেলতো।কারন যেগুলো উড়তো সেগুলোকে সে অলরেডি কেটে দিয়েছে বা অন্যরা অপেক্ষায় থাকতো এমু ছাঁদ থেকে বিদায় নিলে আবার উড়াবে।
আমাদের মাঝে গুজব ছিলো এমু মাঞ্জা দেয়ার সময় সাবুর কাঁচের গলিত দ্রবনে কুত্তার গু,চিলের রক্ত আর অর্জুনের ছালের রস দেয়।তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সেও কোকাকোলা কোম্পানির মালিকের মতো রহস্যময় হাসি দিতো।তাতেই আমাদের ধারনা আরো পোক্ত হয়ে যেতো।সে তার নাটাই আর ঘুড়ি কখনো ঘরে নিতো না।ছাদেই একটা নিরাপদ জায়গায় রেখে যেতো।আর কেউ এ জিনিস চুরিও করতো না,কিংবা তার সুতো হাতে ধরার দূঃসাহস দেখাতো না।কারন কুত্তার গু আর চিলের রক্ত।তার মাঞ্জা সুতার রঙ ছিলো অদ্ভুত ধরনের হালকা গোলাপি।হালকা গোলাপি রংটা কি জন্য আর বোঁটকা গন্ধ কি জন্য,আমরা তো তা জানতামই।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৯
তৌফিকতুহিন বলেছেন: ঠিক রে ভাই।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হায় রে রঙ্গিন শৈশব মনে করায়ে দিলেন ...
ঘুড়ির মৌসুম আসবার আগে ই সাজ সাজ রব পরে যেত ,আমাদের মত পিচকা দের দায়িত্ব ছিল যার যার বাসার ভাঙ্গা কাচ সংগ্রহ করা ।পর্যাপ্ত পরিমান কাচ যোগাড় না করতে পেরে কতবার মা এর সেট এর গ্লাস অবলীলায় হামানদিস্তায় মিহি করেছি ।
পুরনো ঢাকায় এই শাক রাইন উৎসব ছিল রঙ্গের মেলা ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০০
তৌফিকতুহিন বলেছেন: ঠিক।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ নষ্টালজিক ব্লগ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪২
তৌফিকতুহিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
নানাভাই বলেছেন: বড় সুখের দিন আছিলো.......