![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়দিন ধরে বাঁশের উপর খুব পীড়ন যাচ্ছে।আপনারা জানেন,বাঁশ গুহ্যদ্বারে
প্রবিষ্ট করা নিয়ে পরষ্পরবিরোধী অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।অবশ্য মন্ত্রী একলাই বলে যাচ্ছেন। উনার আজ মনে হচ্ছে সাংবাদিকরা উনাকে বাঁশ দিচ্ছেন,আগে মনে হতো উনি সাংবাদিকদের দিচ্ছেন।এটা পড়ে যে কারো মনে হতে পারে ,উনার কাছে বাঁশ ঢুকানোর এম্ব্রয়ডারি মেশিন আছে।
কিন্তু কেউ বাঁশের দিকটা দেখছে না।জগদীশ বসুর আবিষ্কার অনুযায়ী গাছের প্রান যেহেতু আছে,বাশঁ এরও প্রান আছে।তাই বাঁশ সম্পর্কে আমরা আসলেই কিছু জানি না। আজকে বাঁশের একটা সাতকাহন বা বাঁশকাহন দিই।
আমাদের সবার পরিচিত বাঁশটির নাম হলো মুলি বাঁশ,স্থানভেদে যা তলতা বাঁশ নামেও পরিচিত। সকল জাতের বাঁশের মধ্যে একমাত্র এইটিই কোথাও প্রবিদ্ধ করার জন্য বাস্তবসন্মত।আর কোন বাঁশ তার ব্যাসের জন্য কোথাও বিদ্ধ করার জন্য বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপুর্ন নয়।এর কচি ছিপ বড়শীর কাজে লাগে।
আছে, ঘুনি পোলো,ঝাঝড়ি বানোনোর জন্য বাঁশনি বাঁশ।মুলি বা তলতা দিয়েও কিছুটা চলে। বাঁশনি বাঁশ পেকে গেলে চমৎকার লাল দেখায়।যে কেউ তখন এটা দেখে উলটা পালটা ভাবতে পারে।
আছে,ঢুলি ভেলকো আর গুড়ি ভেলকো বাঁশ। এটি বেশী মজবুত আর কাজেরও। এটিই মানুষের দৈনন্দিন কাজে বেশী লাগে।আছে, তড়পি বাঁশ।আরো আছে,জাওয়া বাঁশ,এর গাটে গাটে প্রচুর কঞ্চি,গিরা ও বেশী।দুষ্ট লোকেরা যে মাঝে মাঝে আইক্কা ওলা বাঁশ ভরে দেবার ডর দেখায়,ইনি তিনিই।
আর সবশেষে ,খবরদার গালাগালি করবেন না। পর্যাপ্ত আইক্কা ওলা বাঁশ মজুত রাখছি।মুখের থেকে গালি বের হবার আগে গেথে দেবো। সবশেষে,কবি বাঁশের গুরুত্ব বুঝে লিখেছেন,তোমার বাঁশ কোথা হে পথিক।
©somewhere in net ltd.