![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খিলাফা তথা ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের সুশীল সমাজ অমুসলিমদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবার ও তাদের প্রতি মুসলিমদের কঠোর আচরণের দোহাই দেন। কিন্তু খিলাফা প্রকৃত অর্থে অমুসলিমদের কিরুপ অধিকার নিশ্চিত করেছে সেই বিষয়ে তারা আলোচনা করতে আগ্রহী নন। তাদের ও সকল অমুসলিম ভাই/বোনের উদ্দেশে এই স্ট্যাটাসঃ
আব্দুল মালেক ইবনে ওমর বলেন, বনু ছাকিফ গোত্রের এক ব্যাক্তি বলেছেন যে, সেই ব্যাক্তিকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে একটি এলাকার যিযিয়া কর আদায়ের জন্য পাঠানো হয়। যাওয়ার সময় হযরত আলী (রাঃ) সেই কর্মচারীকে বলে দিলেন, কোন অমুসলিম জিম্মিকে এক দিরহাম আদায়ের জন্য চাবুক মারবে না। তাদের খাদ্যশস্য ও ফসল বিক্রি করবে না। তাদের শীত ও গ্রীষ্মের পোশাক নিলামে বিক্রি করবে না। তাদের কোন পশু হস্তগত করবে না। এমনকি যিযিয়া হিসেবে পাওনা দিরহাম আদায় করার জন্য শাস্তিস্বরূপ কাউকে খাড়া করিয়ে রাখবে না। তখন সেই কর্মচারী বলল, হে আমিরুল মু’মিনিন তাহলে তো আপনার কাছ থেকে যেভাবে খালি হাতে যাচ্ছি ঠিক সেই ভাবেই আমাকে মদিনায় ফিরে আসতে হবে। হযরত আলী (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’আলা তোমার মঙ্গল করুন। সংখ্যালঘুদের উপর আমরা কোন অত্যাচার করতে পারি না, তাদের জীবনের মৌলিক চাহিদা পুরন না করে আমরা ওদের কাছে যিযিয়া চাইতে পারি না, প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থসম্পদ যদি তাদের কাছে থাকে তবেই আমরা যিযিয়া আদায় করতে পারি। তুমি খালি হাতে ফিরে আসো অসুবিধা নেই, কিন্তু জুলুম অত্যাচার করে যিযিয়া আদায়ের অনুমতি তোমাকে কিছুতেই দেয়া যাবে না।
হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সময় অমুসলিমরা যদি রাষ্ট্রের কোন কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত হত তবে তাদের যিযিয়া মউকুফ করে দেয়া হতো। তাঁর সময়ে দুঃস্থ জিম্মি অমুসলিমদের যিযিয়া শুধু মউকুফ করা হতো না, বরং রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে তাদের ভাতা দেয়া হতো। যিযিয়া প্রদান স্বরূপ তাদের জীবন অর্থসম্পদ ধর্মীয় উপাসনালয় এসবের হেফাজতের দায়িত্ব নিতো ইসলামী রাষ্ট্র।
১৪শ বছর আগের মধ্যযুগীয়(!)মুসলিমরা খিলাফার মাধ্যমে এমনই কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন যার ছোঁয়া হয়ত আমাদের দেশের অমুসলিমরা এই অত্যাধুনিক যুগে এসেও পাননি। দুঃখজনক বিষয় হল এই ব্যাপার গুলো বেশিরভাগ মিডিয়া কখনো প্রচার করে না, তারা প্রচার করে কিছু কুলাঙ্গারের অমুসলিমদের প্রতি ধ্বংসাত্মক আচরণ। আর কিছু সুযোগসন্ধানী ইসলামবিরোধী সুশীলরা সেই ঘটনাগুলোকে পুঁজি করে অমুসলিমদের মনে ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। । তাই আমার সকল অমুসলিম ভাই বোনের প্রতি অনুরোধ ইসলামকে সঠিকভাবে যাচাই করে তবেই সমালোচনা করুন, কিছু কুলাঙ্গারের কৃতকর্মের জন্য ইসলাম, খিলাফা ও মুসলিমদের ঢালাওভাবে সমালোচনা করবেন না।
সুত্রঃ উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর জীবনী
২রা জুন, ২০১৩
©somewhere in net ltd.