নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলার মত কিছুই নাই

মুহাম্মাদ তাওহীদ উল ইসলাম

মুসাফির

মুহাম্মাদ তাওহীদ উল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ উল আযহা ও আমাদের স্যাক্রিফাইস.....

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

আল্লাহর নামে শুরু করছি যিনি পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু!
ছোটবেলায় আমি যখন নিজের নখ কাটতে পারতাম না তখন মা খুব যত্ন করে আমার নখ কেটে দিতেন। অনেক সময় আমি নিজেই নিজের নখ কাঁটার চেষ্টা করতাম আর সবসময়ই আঙ্গুলের কোন না কোন অংশ কেটে
যেতো। একটু কাঁটাছেঁড়া দেখলেই মা খুব অস্থির হয়ে যেতেন, যতক্ষণ ক্ষত না কমতো ততোক্ষণই কিছু না কিছু করে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতেন। সময় অনেক পেরিয়ে গেলেও মায়ের এই আচরণের তেমন কোন
পরিবর্তন আসেনি। এখনো মা তাঁর সন্তানের অসুস্থতায় বা অস্থিরতায় ঠিক আগের মতই পাশে এসে দাঁড়ান। এটা আসলে পৃথিবীর সব বাবা-মা ই করে
থাকেন। সন্তানের প্রতি তাদের অকৃত্তিম ভালোবাসার এটাই সর্বোত্তম বহিঃপ্রকাশ। সন্তান তার বাবা মায়ের প্রতিঅনুগত থেকে এই ভালোবাসার কিছুটা হলেও প্রতিদান দিতে পারে। এভাবেই সুদৃঢ় হয় পিতামাতা আর সন্তানের পারস্পরিক ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততা। এই ক্ষেত্রে আমাদেরজন্য সর্বোত্তম উদাহরণ হলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর সম্পর্ক।

কত কঠিনই না ছিল ইবরাহীম (আঃ) এর জন্য নিজের পুত্রকে কুরবানি করা,কিন্তু আল্লাহর প্রতি তাঁর ভয় ও আনুগত্যই তাঁকে এ কাজের সক্ষমতা দিয়েছিল। তিনি জানতেন নিঃসন্দেহে আল্লাহপাকের নির্দেশপালনের মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত কল্যাণ। যদিও আল্লাহপাক এর মাধ্যমে তাঁর ও তাঁর পুত্রের তাকওয়ার পরীক্ষাই নিয়েছিলেন। আর ইসমাঈল (আঃ) নিজের পিতার আদেশ ও আল্লাহর নির্দেশের প্রতি আনুগত্যের কারণে নিজেকে কুরবানি করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। এমন অসাধারণ বিশ্বস্ততার নজির তাঁরা পিতা পুত্র বহুকাল আগেই আমাদের জন্য রেখে গিয়েছেন যা বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কুর’আনে সূরা সাফফাতের ১০২ থেকে ১১০ নং আয়াতে।

আজ আমাদের এমন কোন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না, তবুও আমাদের চারপাশে আমরা দেখছি পিতামাতার সাথে সন্তানের সম্পর্কটা আজ অনেকটাই দুর্বল। আজ ইবরাহীম (আঃ) ও হযরতইসমাঈল (আঃ) এর মত পিতা বা পুত্রের সন্ধান পাওয়া খুব কঠিন। কারণ আমদের সমাজে তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি ব্যাপারটা অনুপস্থিত, পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ আর বিশ্বস্ততার জায়গাটা এখন খুব নাজুক পরিস্থিতির
সম্মুখীন। এর ফলশ্রুতিতে আমরা ঐশীর মত পিতামাতাকে হত্যাকারী সন্তানের উত্থান দেখছি।

প্রতিবছর ঈদ উল আযহা আমাদের হযরত ইবরাহীম (আঃ) ও হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ আর বিশ্বস্ততার কথা, তাঁদের তাকওয়া তথা আল্লাহভীতির কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়, আল্লাহর প্রতি তাঁদের আনুগত্য ও তাঁদের Sacrifice এর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা কয়জনই বা তা মনে রেখেছি ?????

তাই আসুন, শুধু মাংস খাওয়া আর বন্ধু/বান্ধবীর সাথে Hangout এর মধ্যে ঈদ উল আযহাকে সীমাবদ্ধ না রেখে এর প্রকৃত গুরুত্ব অনুধাবনের চেষ্টা করি। বন্ধু বা বান্ধবীর জন্য নয়, নিজের বাবা মার জন্য আল্লাহকে ভয় করে কিছু Sacrifice করার চেষ্টা করি..................

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.