![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” বা Millennium Development Goals (MDG) অর্জনের শেষে এখন বিশ্বের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা” বা Sustainable Development Goals (SDG)। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাস্ট্রের সম্মতিক্রমে SDG’র মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪তম লক্ষ্যটি হলঃ
"টেকসই উন্নয়নের জন্যে সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার"
এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে সাতটি ভিন্ন টার্গেট ২০২০ হতে ২০৩০ সাল নাগাদ অর্জনের সংকল্প করা হয়েছে। সাতটি ভিন্ন টার্গেটের প্রধান একটি টার্গেট হল ওশেন এসিডিফিকেশন বা সমুদ্রের অম্লতা কমানো এবং তার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা। সমুদ্রের অম্লত্ব বেড়ে যাবার সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে সামুদ্রিক কোরালের ওপর। আশংকার কথা হল শিল্প বিপ্লবের পর থেকে এখন পর্যন্ত সমুদ্রের অম্লত ২৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট হল ২০২০ সাল নাগাদ অন্তত ১০ ভাগ সামুদ্রিক এলাকাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সংরক্ষন করা। পাশাপাশি ছোট দ্বীপরাস্ট্র ও স্বল্পোন্নত দেশে টেকসই পর্যটনের মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ ওইসব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করা।
আমরা অনেকেই হয়ত জানি বাংলাদেশ MDG’র অনেকগুলো লক্ষ্যমাত্রাই নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় SDG’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একই ধারা বজায় রাখবে সেটা আশা করা যায়।
মাসদুয়েক আগে সেইন্ট মার্টিন্স দ্বীপে ভ্রমণের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ দেখেছিলাম। আশাবাদী হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, টেকসই পর্যটনের সুচনা করে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা পাবে। ছেঁড়াদ্বীপ আর গলাচিপায় পর্যটক সীমিত করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষিত হবে, সামুদ্রিক কচ্ছপের একটি সমৃদ্ধ প্রজননক্ষেত্র গড়ে উঠবে, দূষন আর পর্যটকের ভারে জর্জরিত ছেঁড়াদ্বীপের কোরালগুলো আবার প্রাণ ফিরে পাবে।
একটু ভাবলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, এই পদক্ষেপগুলো ধীরে ধীরে আমাদের SDG’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অপরিসীম ভুমিকা রাখতে পারতো। কিন্তু, আমাদের নীতিনির্ধারকরা বরাবরের মতোই উল্টোপথে হাঁটতে চাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। তাই প্রশ্ন এসেই যায়, নিষেধাজ্ঞার গুজব ছড়িয়ে হাজার হাজার পর্যটককে শেষবারের মত দ্বীপে রাত্রিযাপনে উদ্বুদ্ধ করে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর লাগামহীন মুনাফার সুযোগটা তাহলে কেন করে দেয়া হলো? কেন বাস্তুতান্ত্রিকভাবে সংকটাপন্ন একটি ভুখন্ডকে অজস্র মানুষের ভীড়ে পিস্ট হতে দেয়া হলো? প্রশ্নগুলোর উত্তর সচেতন সকলেরই কমবেশি জানা।
প্রকৃতিকে নিয়ে আমার এমন দুশ্চিন্তা দেখে কোন এক সজ্জন ব্যক্তি বলেছিলেন, যেদেশে মানুষের জীবনের কোন মুল্য নেই সেদেশে প্রকৃতি আর পরিবেশের সঠিক মুল্যায়ন প্রত্যাশা করা নিতান্ত বাড়াবাড়ি।
কথাটা সত্য হলেও মেনে নিতে পারিনি, তখনো, এখনো......
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে কেউ সুখী না। দরিদ্র দেশে কেউ সুখী হতে পারে না।