নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণজাগরণ মঞ্চ, তরুণ প্রাণের মশাল..

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

আজ ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ ঠিক একবছর আগের এই দিনে মানবতাবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে তরণদের যে প্রতিবাদ তার একবছর পূর্ণ হল।সেই ১৯৪৭ সালের স্বার্থবাদী,হীন-নীচ,সাম্প্রদায়িক,অদূরদর্শী রাজনীতিবীদদের কারণে দ্বিজাতিতত্ত্ব এর ভিত্তিতে ভারত উপমহাদেশের যে দুটি দেশ স্বাধীন হয় তা ভারত আর পাকিস্তান নামে।পাকিস্তান দুভাগে বিভক্ত ছিল এক পশ্চিম আরেকটি পূর্ব পাকিস্তান নামে।পাকিস্তান দেশটির ভেীগলিক অবস্থান দেখলে বুঝা যায়, দেশ ভাগের পরিকল্পনা কতটা নিমর্ম ছিল!সে যাই হোক দেশটি বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পরের বছর থেকে পূর্ব -পশ্চিম টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়।সে ইতিহাস সবার জানা ।দীর্ঘ ২২ বছর রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্যে ৭১ সালে টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে।কি ভয়াবহ হিংস্রতা,নিমর্মতা,পাশবিক আর মানবিক আঘাত সয়ে লক্ষ লক্ষ প্রাণ বির্সজনের মাধ্যমে এ দেশটি স্বাধীন হয়।পৃথিবীর প্রত্যেক দেশ স্বাধীন হবার প্রাক্কালে কোন না কোন দেশের সহয়োগীতা থাকে ।আর যুদ্ধকালীন সময়ে নিজ দেশের মধ্যে ও দেশবিরোধী মানুষ ও থাকে ।অর্থাৎ দুই ধরনের যুদ্ধ একই সাথে করতে হয়েছে বাংলাদেশকে এক পাকিস্তানি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরেকটি করতে হয়েছে তাদের এ দেশীয় দোসর দের বিরুদ্ধে যাকে আমরা রাজাকার,আলবদর,আলশামস,ছাত্র সংঘ বর্তমানে ছাত্রশিবির নামে ডাকি।আর তাদের নানা গোত্র ছিল আর সে গোত্রদের গোত্রপিতার নাম ছিল জামাত-শিবির আর ঐ দলটির শিরোমণি ছিলেন গোলাম আজম।৭১ এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মূলকিছু কাজ তখনকার সরকারকে করতে হয়েছিল।সংবিধান প্রণয়ন,নির্বাচন,সরকার গঠন ও মানুষের জানমাল আর খাবারের ব্যবস্থা করা।একটা গরীবদেশের পক্ষে এই প্রতিটি জিনিস পূরণ করা সম্ভব ও ছিলনা কিন্তু ততটা আন্তরিক ও ছিলেন বলে মনে হয় না।বাঙালি যুদ্ধ শেষ করে কাজ শেষ বলে মনে করেছিল ।যুদ্ধের পরে আর ও যে বড় যুদ্ধের প্রয়োজন হয় তা বোধহয় ভুলে গিয়েছিল।তার সাথে যোগ হয়েছিল ক্ষমতার লোভ,দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্র(যেহেতু স্নায়ুযুদ্ধের শেষ পর্বে বাংলাদেশের আর্বিভাব),নিম্নবর্গীয় মানসিকতা,ভবিষ্যৎ কর্মপ্ল্যানের অভাব,অদূরদর্শিতা,নিজেদের মধ্যে হানাহানি,চেতনাগত দ্বন্দ্ব সবকিছু মিলিয়ে কঠিন সময় কে আর কঠিন করে তুলেছিল এই বঙ্গদেশীয়রা।তার পর ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যা করে পুরো ষোলকলা পূরণ করল এই জাতি।হত্যার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে পৃথিবীর কোন শাসক বির্তকের উর্ধ্বে নয় কিন্তু তাই বলে জাতির পিতাকে হত্যা পরিবার সহ তা কখনো মেনে নেয়া যায় না।এর পরবর্তী প্রত্যেকটা ঘটনা যদি বিশ্লেসণ করেন তাহলে মানুষ হিসেবে এটা অনুভব করবেন যে এটা শুধু হত্যাকান্ড ছিল না এটা জাতিকে সারাজীবনের জন্য হত্যা করেছিল।এর পর সামরিক শাসনের নামে কুকুরের কামড়াকামড়ি দেখেছি।এই কামড়াকামড়ির মধ্যে কুকুরের সাথে হায়েনাদের বিচরণ ক্ষেত্র বানিযে দেয়ার সুযোগ করে দেয় এই তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র যাকে আমি গণিকাতন্ত্র বলে থাকি সেই সব উর্দি শাসকেরা।আর রাজনীতির অনুমতি পেয়ে তাতে ভেতরে ভেতরে ছুরি শান করতে থাকে জামাতে ইসলামি।তারা টাকা ও ধমীর্য় জুজু দিয়ে বাংলার কিছু মানুষকে নিজেদের করে নিতে পেরেছিল ।আর রাজনীতিতে মহাদর্পে নিজেদের দাপট দেখাতে শুরু করল।এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে,স্বাধীন হওয়ার প্রাক্কালে দেশবিরোধী কাউকে বাচিয়ে রাখা যায় না তার কারণ ওদের কারণে দেশ উন্নয়ন ব্যাহত হয় ইতিহাস আমাদের এই শিক্ষা দেয় ।কিনতু আমরা এই দেশদ্রোহীদের বিচার করতে পারিনি তাদের সমূলে উৎপাটন করতে পারিনি।দীর্ঘ ২১ বছর পর আবার ও যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তখন তারা আবার ভেতরে ভেতরে ভয় পেয়ে গিয়েছিল আর তাদের ২০৩০ সালের মধ্যে এককভাবে ক্ষমতায় আসার যে অ্যাকশন প্ল্যান ছিল তা বাধা হতে থাকে।আর বিএনপি নামক দলের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে এই সব রাজাকাররা যখন পতাকা উড়াবার সাহস পায় তখন থেকে বাংলাদেশের ভেতর এক নয়া তালেবানীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ।রাজনৈতিক নানা সমীকরণে বাংলাদেশ আবার নিপতিত হতে থাকে আর আবারও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তাদের বিচার করার ইশতেহার দিয়ে যেই কথা সেই কাজ আর এ কাজটি তো অন্য দলকে নিয়ে হবে না!! পরের কথাগুলো না বললেও চলে তা ও সবার জানাকথা ।যদি ইতিহাস ভুলে যাওয়ার ঐতিহ্য আমাদের স্নায়ুতে আছে।প্রথম যখন যুদ্ধাপরাধীর রায় বের হয় তাও এক পলাতকের এর পর আসে সেই মিরপুরের কসাই খ্যাত কাদের মোল্লার ।তাকে আদালত সবকিছু প্রমাণ পাওয়ার পর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিলে নতুন প্রজনে্মর দল ফুসেঁ উঠে প্রতিবাদ করতে থাকে ঢাকা শাহবাগ এলাকায়।সেই বহ্নি শিখা পুরো জাতিকে আবেগে আকুল করেছে আর যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখেনি আর সেই সময়ের স্লোগান আর গান আর বাঙালির প্রাণে নবযুদ্ধের প্রলয় বুকে বেজে ওঠে।শুরু হয় তুমুল প্রতিবাদ আর আলোক শিখা উড্ডয়নের নতুন ডাক।আর যার বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ তার ফাঁসি ও কাযর্কর হয়।যা কখনো এই বাঙালি ভাবেননি ,ভাবতে পারেননি !আরেকটি কথা না বললে নিজেকে অসহায় বলে মনে হবে সেইসব সাধারণ মানুষের মত যারা আমার মত দুমু্ঠো খাবারের আশায় রাস্তায় নেমেছিল।এই বিচারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জামাত নামক উগ্রদলটি সে সহিংসতা,নৈরাজ্য সারা দেশজুড়ে চালিয়েছে তা ৭১ এর মত কোনঅংশে কম ছিল না।কত মানুষ ,পুলিশ,নারী,শিশূ ,অগণিত সম্পদ,পশূ-প্রাণী কেউ ই বাদ যায়নি।ধমীর্য় প্রপাগান্ডা সেই ৭১ এর মত দেল্লা রাজাকারের চাঁদে যাওয়া,হেফাজত কে মাঠে নামানো সহ আর কত কী?তার সাথে যোগ দেয় গণতন্ত্রের র্চচা করেনি এমন দল যার জনম্ই হয়েছে সামরিক জরায়ুতে,এই জামাত-শিবিরের যাদের আশ্রয় প্রশ্রয দাতা বিএনপি !! তাতে কী আর যুক্তি,প্রতিবাদ,স্বাধিকার চেতনা,প্রেরণা কে দমিয়ে রাখা যায়।বাংলার মানুষের মনে ৭১ পরবর্তী ৪০ বছরের ও বেশি সময় ধরে যে আক্ষেপ ,হতাশা,ক্ষোভ দানা বেধেঁছিল সে দিন তা বিস্ফোরিত হয়েছে ।তাই যারা অন্যায়ের পৃষ্ঠপোষকতা করবেন তাদের অব্যশই সাবধান হওয়া উচিত।দেশবোধ ও আত্মসম্মানের প্রশ্নে কোন আপোষ হয় না তাই এ আন্দোলন একেবারে চেতনার,বিশ্বাসের ,সত্য ও মূল্যবোধের আন্দোলন ।আর যারা নানা বিশেষণ দিয়ে এ আন্দোলনকে বির্তকিত করতে চেয়েছে তারা ভুল করেছে ,বেঈমানী করেছে নিজের সাথে ,দেশের সাথে, ইতিহাস ও ঐতিহ্য এর সাথে।দুটো জিনিস এখানে পরিষ্কার হয়েছে একটা হল চেতনার নৈতিকতা আরেকটা ছিল সহিংসতার দীনতা।শত্রু আর মিত্র তা ও পষ্ট হয়েছে।ভবিষ্যতে দূনীর্তি ,সুশাসন আর দূবৃত্তায়ন রাজনীতির বিরুদ্ধে এমন আন্দোলন হবে এমন আশাবাদ ও প্রকাশ করছি।।।গণজাগরণ মন্ঞের আন্দোলনের প্রতি সংহিতা প্রকাশ করছি আর গর্বে বুক ভরে গেছে এই ভেবে যে ,যে জাতীয় সংগীত গাইলে দেশবোধের প্রেরণায় চোখে জল আসে সেই চোখে দেখেছি এই রাজাকারের ফাঁসি ।আর বাকি রাজাকারদের ও ফাঁসি কার্যকর হোক আর তাদের আশ্রয় ও প্রশয় দাতাদের ও বিচার হোক আর তারা যাতে এই বাঙলায় রাজনীতি করতে না পারে ।যারা দেশ মানে না,এদেশের সংস্কৃতি মানে না,প্রগতি মানে না তাদের চেহারা ও এই বাংলায় জেগে উঠুক কোন আত্মসম্মানকামী মানুষ ও তা চাই না । এমনভাবে জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক ভবিষ্যতে যদি তাদের কর্মী সর্মথকদের ও যদি কেউ দলে নেয় তাহলে তাদরে ও রাজনীতির বৈধতা বাতিল করা হবে। শুধু আশার কথা এই, গোটা আন্দোলনে তরুণদের যে সম্পৃক্ততা ,তরণদের যে আলোক উচ্চ্বল ভূমিকা ,দ্রোহ,উত্তাপ আর মানবীয় বিকাশের যে অভূতপূর্ব স্ফুরণ তা সত্যিকারের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করবে।তরুণের মশাল জেগে উঠেছে তাকে রুধিবে কে?? তাই কন্ঠ থেকে ভেসে আসে --আমার সোনার বাংলা্ ,আমি তোমায় ভালবাসি। যে দেশ তোমার আমার সবার সে তো চিরদিন সে দেশের আকাশ বাতাস নিরাপদ ও উৎসব মুখর রাখবে। এ মশাল জ্বলুক আপন প্রেরণায় যুগ যুগ ধরে।কার সাধ্য আছে তা নিভানোর ।সেই দুঃসাহসীরা, ভ্রষ্টরা সাবধান জেগেছে তুফান। এই কামনায়।।। জয় বাংলা।।।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

হতাশ নািবক বলেছেন: গণজাগরণ মন্ঞের আন্দোলনের প্রতি সংহিতা প্রকাশ করছি আর গর্বে বুক ভরে গেছে এই ভেবে যে ,যে জাতীয় সংগীত গাইলে আমার চোখে জল আসে সেই চোখে দেখেছি এই রাজাকারের ফাঁসি।

শত সহস্র বাধার মুখেও যে এই ফাঁসি কার্যকর করা গেছে,
স্বাধীনতার এত বছর পর হলেও মুক্তিযুদ্ধের শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

যারা দেশের অস্ত্বিত স্বীকার করে নি, তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.