নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

র্ধমের নগ্নতা অথবা নগ্নতার র্ধম

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৩

যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নগ্ন হবেন শুধু তা নয় আল্লাহ্ বা ভগবান বা ঈশ্বরের কাছে নগ্ন হয়ে র্প্রাথনা করেন এমন নগ্নতাবাদীদের কথা বলছি।পৃথিবীতে ৬৪০০০ এর মত নগ্নতাবাদী আছেন ।যারা খ্রিস্টান ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী।তাহারা নির্দিষ্ট সময়ে বা ব্যক্তিগতভাবে র্প্রাথনা স্থলে যান এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নগ্ন হয়ে বাইবেল হাতে নিয়ে ঈশ্বরের কাছে র্প্রাথনা করেন।তাহারা বলেন,ঈশ্বর যেহেতু কল্পনার স্থান তাই তাকে নগ্নভাবেই দেখা উচিত।তাহলে আমরা ঈশ্বরকে ভালভাবে কল্পনা করতে পারব ও তার সান্নিধ্য লাভ করতে পারব।এই নগ্নতায় কোন যৌনতা ক্রিয়ার কোন সর্ম্পক নেই ।ঈশ্বরের কাছে র্প্রাথনা করার সময় চিন্তার জগতে কোন বস্তু রাখা যায় না।গায়ে বস্ত্র রেখে যেমন যৌন ক্রিয়া উপভোগ করা যায় না তেমনি চিন্তার বস্ত্র হরণ না করলে ঈশ্বরের কামনা ও উপলব্ধি উপভোগ করা যায় না ।তাহারা আর ও বলেন,বর্তমানে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বা মিডিয়া জগতে যে অবাধ যৌনতা বা নগ্নতা দেখানো হয় তা শুধু যৌন কামনার জন্য তৈরী।সেখানে কল্পনার কোন অবস্থান নেই।কল্পনা জগত সুন্দর।লিঙ্গকর্ষণে সে জগত তৈরী হয় না।তা তৈরী হয় একমাত্র কল্পনার অবিরাম চর্চায়।তাহারা নগ্ন হয়ে তাদের প্রাত্যহিক কাজর্কম সম্পাদন করেন, যেমন-রান্নবান্না,খাওয়া দাওয়া,খেলাধুলা,গাড়ি চালানো, সওদাপাতি ও করে ওই নির্দিষ্ট স্থানে বলা যায় পুরো এলাকাটাই নগ্নতাবাদীদের। আদিকাল থেকেই নগ্নতার অবস্থান ছিল এখন ও আছে।পাশ্চাত্যে এর প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি ,প্রাচ্যে ও এর প্রভাব কোন অংশে কম নয়।ভারত উপমেহাদেশে ব্রাম্মণরা নগ্ন হয়ে বেদ পাঠ করে গঙ্গাস্নানে যায় মূলতঃ তারা ও নগ্ন হন নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে।জাপানের একটা শহর আছে যেখানে বসন্ত উৎসবে তারা নগ্ন হয়ে জলকেলী করে এবং ঈশ্বরের আরাধনায় লিপ্ত হয় এছাড়া বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক আদিবাসী আছেন তারা ও একই কায়দায় নগ্ন হয়ে ঈশ্বরের কাছে নত হয়।নগ্নতা দুই ধরনের হয়ে থাকে-প্রথমত ধর্মীয় ভাবধারায়,দ্বিতীয়ত শিল্পকলায় (বিশেষ করে চিত্রকলায়)। বিশ্বের বড় বড় শিল্পী আছেন যারা এই মগ্ন-নগ্নতা চর্চা করে শিল্পকলার ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেনে।এ চর্চা আজো অব্যাহত আছে।বাংলাদেশে এর প্রভাব আছে কিনা? আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে সবকিছু আবরণ দ্বারা মোড়ানো।এখানেও অবাধ যৌনাচার হয় তবে সেটা লুকোচুরি করে।এখানে সবাই ঈশ্বরের কাছে র্প্রাথনা করে কল্পনার জগতে বস্ত্র রেখে অর্থাৎ কুসংষ্কারকে আলিঙ্গন করে।অনুভূতি-উপলব্ধির যে চরমত্ব সেটা আমাদের সমাজে তেমন খুজেঁ পাওয়া যায় না ।তবে একটা ব্যাপার ঠিক ভাবিয়েছে,বাংলাদেশে যারা উগ্র-ধর্মীয়বাদ চর্চা করেন তাদের উচিত নগ্ন থাকা।নগ্ন হলেই তারা নিজেদের খুজেঁ পাবে আর নিজেকে জানা মানেই তো ইহ-পরলোক ভাবাবস্থান থেকে নিজেকে তুলে ধরা।তাহলেই তারা বোমা মারবে না,গ্রেনেড ছুঁড়বে না,প্রতিবেশীকে দেশ থেকে তাড়াবার চিন্তা করবে না,সৌম্য-সৌর্হাদ্য অবস্থায় শান্তিময় সমাজ বির্নিমাণের হাত প্রসারিত করবে।মনের পর্দা খুলে নগ্ন হও ঈশ্বরের সান্নিধ্য খুজেঁ পাও ।সবার মনে শান্তি বিরাজ করুক। জয় হোক নগ্নতার যাকে ইংরেজিতে বলে নুডিজম।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

অকুল পাথার বলেছেন: সকল প্রকার নগ্নতাকে ঘৃণা করি। এমনিতেই নগ্নের ছড়াছড়ি তার উপর দিলেন বাতাস। পরিবারের সবার সাথে টিভি দেখতে পারিনা নগ্ন দেবীদের জন্য, রাস্তায়ও হাঁটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কি করি বলেন তো ? দূর হয়ে যাক সকল নগ্নতা। জয় হোক মানবতার।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১১

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: কমেন্টস এর জন্য ধন্যবাদ @ অকুল পাথার

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫

দাদা- বলেছেন: তাই ভাই সকলে মনের পর্দা খুলে নগ্ন হও ঈশ্বরের সান্নিধ্য খুজেঁ পাও।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ @ দাদা

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: খুবই ইন্টারেস্টিং টপিক! ভাবার আছে অনেক কিছু!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: আসলেই ইন্টারেস্টিং!!

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: "নগ্ন হলেই তারা নিজেদের খুজেঁ পাবে আর নিজেকে জানা মানেই তো ইহ-পরলোক ভাবাবস্থান থেকে নিজেকে তুলে ধরা।তাহলেই তারা বোমা মারবে না,গ্রেনেড ছুঁড়বে না,প্রতিবেশীকে দেশ থেকে তাড়াবার চিন্তা করবে না,সৌম্য-সৌর্হাদ্য অবস্থায় শান্তিময় সমাজ বির্নিমাণের হাত প্রসারিত করবে।মনের পর্দা খুলে নগ্ন হও ঈশ্বরের সান্নিধ্য খুজেঁ পাও ।"---------- ধারনা আরও পরিষ্কার হবার জন্য লেখকের বরাবর নিচের কিছু প্রশ্ন:

১. আমি এই নুডিজমকে সমর্থন করেন কি?
২. নগ্নতা যে 'শান্তি' অর্জনের সোপান আপনি কিভাবে প্রমাণ করবেন?
৩. মনের পর্দা খোলার জন্য নগ্ন হতে হবে কেন?
৪. নগ্নতার সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক কোথায়?
৫. প্রতিবেশীকে তাড়ানোর সাথে অশান্তির সম্পর্ক কোথায়?

আশা করি উত্তর পাব। ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ১। না।
২.রুপক অর্থে কুশলী হয়ে অনেক কিছু বলা যায়।আপনি খেয়াল করবেন মনের বস্ত্র খোলার কথা বলেছি ।যা আপনি ভাল করে দেখতে চান,বুঝতে চান,উপলদ্ধি করেন তা ভালভাবে দেখুন।ভালভাবে দেখতে হলে আপনাকে নগ্নহতে হবে চিন্তার নগ্নতা বলতে পারেন।আমি দৈহিক নগ্নতার কথা বলিনি।হ্যাঁ দু*-একটা উদাহরণ দিয়েছে য়েখানে দৈহিক নগ্নতার অস্তিত্ব আছে,ওটা আমার কৌশল বলতে পারেন।শান্তির রু-পক অবস্থান আপনি এর থেকে খুজেঁ নিতে পারেন।
৩.এই নগ্নতার অর্থ আপনি নিশ্চয় বুঝেছেন।মনের পর্দা যদি নাই খুলেন তাহলে আমরা আবরণ রেখে কোন কিছুর সান্নিধ্য পাব না।
৪.ঈশ্বর যেহেতু একটা কল্পনার জায়গা তাই আপনি যেভা্বে যাকে কল্পনা করবেন সে অনুযায়ী আপনি তার রুপ দিতে পারেন।সাকার,আকার,নিরাকার,নগ্ন ..সবার ইছ্ছে অনুযায়ী !!! দেখুন ঈম্বরের জন্ম হল অঞ্জতার জায়গা থেকে তাকে দেখতে হলে পেতে হলে আপনাকে চিন্তার খোলস বা আবরণ সরিয়ে দেখতে হবে।অন্যথায় তা আমাদের কাছে সম্পর্কহীন বস্তুর মত !!
৫.দেখুন কি ব্যক্তি,কি পরিবার,কি সমাজ,কি রাষ্ট্র সবাই র্ধমকে কোন না কোন ভাবে কৌশলী ভাবে ব্যবহার করে ।কখনো কথায় কখনো তরবারী হয়ে।প্রতিবেশী বলতে কি বুঝিয়েছি এতক্ষণে বুঝে গেছেন।বাঁশকে কি আমি সারাজীবন তো বাঁশ আখ্যা দিতে পারি না এর নানা অর্থতো আমি তাকে দিতে পারি এই যা।।।

ধন্যবাদ ভাই @ বিবেকিন্দ্রীয়লোচন আপনার কমেন্টস এর জন্য।।। ভাল থাকবেন।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: পুনশ্চ:

"নগ্ন হলেই তারা নিজেদের খুজেঁ পাবে আর নিজেকে জানা মানেই তো ইহ-পরলোক ভাবাবস্থান থেকে নিজেকে তুলে ধরা।তাহলেই তারা বোমা মারবে না,গ্রেনেড ছুঁড়বে না,প্রতিবেশীকে দেশ থেকে তাড়াবার চিন্তা করবে না,সৌম্য-সৌর্হাদ্য অবস্থায় শান্তিময় সমাজ বির্নিমাণের হাত প্রসারিত করবে।মনের পর্দা খুলে নগ্ন হও ঈশ্বরের সান্নিধ্য খুজেঁ পাও ।"---------- ধারনা আরও পরিষ্কার হবার জন্য লেখকের বরাবর নিচের কিছু প্রশ্ন:

১. আপনি এই নুডিজমকে সমর্থন করেন কি?
২. নগ্নতা যে 'শান্তি' অর্জনের সোপান তা আপনি কিভাবে প্রমাণ করবেন?
৩. মনের পর্দা খোলার জন্য নগ্ন হতে হবে কেন?
৪. নগ্নতার সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক কোথায়?
৫. প্রতিবেশীকে তাড়ানোর সাথে অশান্তির সম্পর্ক কোথায়?

আশা করি উত্তর পাব। ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০১

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: যাইতে মঞ্চায় :P :P :P :P :P

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ) :) :) :)

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ :-*

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: সুবাহানাল্লাহ.......... :) :)

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ১. আপনি নগ্নতাকে সমর্থন করেন না শুনে ভাল লাগলো।
২. রুপক অর্থে কুশলী হয়ে অনেক কিছু বলা যায়।আপনি খেয়াল করবেন মনের বস্ত্র খোলার কথা বলেছি ।যা আপনি ভাল করে দেখতে চান,বুঝতে চান,উপলদ্ধি করেন তা ভালভাবে দেখুন।ভালভাবে দেখতে হলে আপনাকে নগ্নহতে হবে চিন্তার নগ্নতা বলতে পারেন।আমি দৈহিক নগ্নতার কথা বলিনি।হ্যাঁ দু*-একটা উদাহরণ দিয়েছে য়েখানে দৈহিক নগ্নতার অস্তিত্ব আছে,ওটা আমার কৌশল বলতে পারেন।শান্তির রু-পক অবস্থান আপনি এর থেকে খুজেঁ নিতে পারেন।
---মনের বস্ত্র খুলতে তখনই পারা যাবে যখন দুইটা বিষয় সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকে: ক. মন খ. মনের বস্ত্র। বড় কঠিন বিষয়। আপনার কাছে এই দুইটা বিষয়ের ব্যাখ্যা কি? নিছক ধারনা পোষণ করে কাজের অর্থই হল অনর্থ।

৩. মন্তব্য নয়

৪. .ঈশ্বর যেহেতু একটা কল্পনার জায়গা তাই আপনি যেভা্বে যাকে কল্পনা করবেন সে অনুযায়ী আপনি তার রুপ দিতে পারেন।সাকার,আকার,নিরাকার,নগ্ন ..সবার ইছ্ছে অনুযায়ী !!! দেখুন ঈম্বরের জন্ম হল অঞ্জতার জায়গা থেকে তাকে দেখতে হলে পেতে হলে আপনাকে চিন্তার খোলস বা আবরণ সরিয়ে দেখতে হবে।অন্যথায় তা আমাদের কাছে সম্পর্কহীন বস্তুর মত !!
----আপনি অনুসিধান্ত নিয়েই বসে আছেন যে ঈশ্বর 'কল্পনা' থেকে সৃষ্ট এবং তাঁর ঈম্বরের জন্ম হল 'অঞ্জতার' জায়গা থেকে। 'মনের বস্ত্র' খুলতে এত যার অনুপ্রেরণা সে নিজেই 'মন' মন সম্পর্কে কতটুকু বিজ্ঞ? আপনি কি কখনো 'মন' দেখেছেন?? কি দিয়ে তৈরী তা? মন কোন কোন বস্ত্র পরিধান করে?? আপনি আপনার মনকে কল্পনা করতে পারেন?? ঈম্বরের জন্ম যদি 'অঞ্জতার' জায়গা থেকে হয়, আপনি মন সম্পর্কে কতটুকু বিজ্ঞ?

৫. দেখুন কি ব্যক্তি,কি পরিবার,কি সমাজ,কি রাষ্ট্র সবাই র্ধমকে কোন না কোন ভাবে কৌশলী ভাবে ব্যবহার করে ।কখনো কথায় কখনো তরবারী হয়ে।প্রতিবেশী বলতে কি বুঝিয়েছি এতক্ষণে বুঝে গেছেন।বাঁশকে কি আমি সারাজীবন তো বাঁশ আখ্যা দিতে পারি না এর নানা অর্থতো আমি তাকে দিতে পারি এই যা।।।

---ধর্মকে কে কিভাবে ব্যবহার করে তা ভিন্ন বক্তব্য। দেখার বিষয় ধর্ম কি বলে ধর্মকে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। স্থান কাল পাত্র ভেদে বাশেঁর নাম বিভিন্ন হতে পারি, বাশঁ কিন্তু বাশঁ-ই। ধর্মও তাই।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯

আত্নভোলা বলেছেন: নাংগা বাবা........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.