নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

নান্যাচর ভ্রমণ ও পাহাড়ি অভিজ্ঞতার র্বাতা...

১৩ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:১০

গত রবিবার চট্টগ্রাম শহর থেকে নানিয়ার চর (নান্যাচর )রওনা হলাম।প্রথমে অক্সিজেন থেকে ১৪০ টাকা গাড়ি ভাড়া তাও দিনের ২টা বাজে একটি মাত্র বাস আছে সে পথের উদ্দেম্যে।বব্ধু ও সুহৃদ বলতে যা বুঝায় সত্যিকার সে অর্থে তাই।রাঙামাটির যত উপজেলা বড় বড় পাহাড় ,দূগর্ম পথ পাড়ি দেয়া সবই তার হাত ধরে শিখেছি।যদি আমাদের পরিচয় টা স্কুল পর্যায়ের তথাপি তাদের সাথে আমাদের সর্ম্পকটা অনেকটা পারিবারীক সম্পর্ক এর মত।আমার বন্ধুটির নাম সঞ্চয় বিকাশ চাকমা এবং বেশ ভাল শিশু সাহিত্য ও চর্চা করে বটে ।যদি ও আজকাল আগের মত সময় দিতে পারে না তথাপি চর্চ্াটা একেবারে ফেলে দেইনি।একটা সময় নিজেই বাংলা সাহিত্য আর এখন নিজের ভাষা নিয়ে কাজ করে সে।যাই হোক তার দীর্ঘদিনের পীড়াপীড়ীতে অবশেষে ভ্রমণ করলাম। নানিয়ারচর বিশেষ করে আনারস,কাঁঠাল,কলা আর নানবিধ ফলের ভান্ডার বলা যায়।লেক শুকিয়ে গেলে তাদের একটু কষ্ট হয় অনেক পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয় এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রাম।এতে অনেক সময় তাদের কর্মকান্ডে একধরনের স্থবিরতা নেমে আসে ।লেকে পানি থাকলে তাদের মন ও লেকের জলেন মত চঞ্চল থাকে। প্রতি বুধবার নানিয়ার চর বাজার বসে ।বাজার মানে এক মিলন মেলা।আদিবাসী নারী -পুরুষ নানা সবজি,মাছ-মাংস,মসলা বিক্রি করে এমনকি বিয়ের পাত্র-পাত্রি দেখার কাজ ও অনেকই সেরে ফেলে ।বিশেষ করে আদিবাসী নারীরা নতুন জামা কাপড় ও সাজ সজ্জায় অণ্যরকম একটা ব্যঞ্জনা তৈরী করে।যা না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না।গুলশাছড়ি নামক একটা আদাম এ গেলাম আদাম মানে গ্রাম।গ্রামটা আরো চমৎকার ।একটা কথা বলে রাখা ভাল নানিয়ারচর উপজেলা কিন্তু বিলাইছড়ি ,বাঘাইছড়ি বা লংগদু এর মত ততটা দূর্গম নয়।অনেকটা টিলার মত আছে তবে উঁচু উঁচু পাহাড় নেই।পাহাড়ি এলাকার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল মনে হবে পাহাড় টা খুব কাছে ,অথবা এই প্রামটা খুব কাছে কিনতু যাওয়ার সময় বুঝা যায় এই কাছের গ্রামে যেতে আপনাকে তিন-চার কিলো পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে তাও আবার পাহাড়ি ও সমতল উভয় পথ।ভাল শারীকির শক্তি বা আগ্রহ না থাকলে ভ্রমণ কখনো আর্কসণীয় হয় না।পাহাড়িরা স্বভাবগত ভাবে মাংসাশী বা তারা মাংসটা বেশি খায় এবং এটা অনেকটা সহজলভ্য ও বটে।ওখানে সবজিটা কম ।আর ওদের অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যাপারটা ও মজার ।প্রথমে ওরা নিজেদের ঘরে বানানো মদ,সালাদ,কমলা,মাংস বা আরো ভাল কিছু দিয়ে তারা অতিথিদের সমাদর করে ।আপনি যদি তা সাদরে গ্রহণ না করেন তারা তাহলে মনে মনে ধরে নেয় যে আপনি তাদের আপন করে নেননি ।যে পরিবেশ যে রকম সেখানে দ্রত মানিয়ে নেয়াটাই হল আসল তাহলে আপনার ভ্রমণ একেবারে পরির্পূণ হয়ে উঠে যেমনটা আমার হয় সবসময়।তাদের রুচি পরিবেশ ,আচার ,রীতি তে আমার কোন সমস্যা হয় না। একেবারে একদিনে ওটা হয়নি দীর্ঘদিনের নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টায় এটা হয়েছে।লেকে ভ্রমণে যে প্রশান্তি যে মায়াময় অর্পুবতা তা একজীবনে অনেক আনন্দ এর উৎস।প্রকৃতি মানুষকে কত প্রশান্তি দেয় সেটা প্রকৃতিকে ভালনাবাসলে আপনি বুঝতে পারবেন না।গুইলশা ছড়িতে গিয়ে যে আপ্যায়ন আমাকে ওরা দিল তা কখনো ভুলার নয় ।তাদের জীবন হয়ত বিলাসিতায় ভরা নয় কিতু তাদের অতিথি পরায়নতার মধ্যে সতিই একধরনের আভিজাত্য আছে।তরতাজা ফলফলাদি মাটির ডেরা ঘর, কাঠের পিঁড়ি,শীতল পাটিতে ঘুমানো একেবারে সাদামাঠা জীবন অথচ কত নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ।তাদের সরলতা মুগ্ধ করার মত।তারা খুবই পরিশ্রমী সেখানে নারী পুরুষ বলে কিছু নেই তবে নারীদের প্রভাব আদের সমাজে বেশি।তারা কখনো যৌতুক দেয়া নেয়া করে না বিবাহকার্য়ে যে কর্দয কাজ আমরা অবলীলায় করি।তাদের মনে নানা রকম আক্ষেপ ক্ষোভ আছে বাঙালিদের প্রতি তবুও তারা পাহাড়ি -বাঙালি একত্রে বসবাস করে।অনেক সময় রাষ্ট্র ও তাদের ইচ্ছাা অনেক কাজ করে সত্যিই তা কোনভাবে কাম্য নয় একথাও তো ঠিক সমতলে থেকে আমাদের রাষ্ট্র আমাদের ওপরই অনেক নিপীড়ন চালাই আর তাদের কথা বাদই দিলাম। তাদের নিজস্ব ভাষাও তারা লেখাপড়া করতে চাই অন্তত ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত এই পদ্ধতি কিনতু ভারতে ও আছে প্রত্যেক জাতি গোষ্ঠি এই সুযোগ আমরা লাভ করি।যে ভাষার জন্য আমাদের এত লড়াই সে জাতি হয়ে দেশের অভ্যন্তরে আমরা অন্যান্য ভাষাভাষির ওপর আমরা নপিীড়ন চালায় যা কোন ভাবে কাম্য নয়।সত্যিই যে কোন ভ্রমণ মানে নির্মল আনন্দ।নির্মল মনের খোলা র্বাতা।ভ্রমণ মানে শিক্ষা আর জানা অজানার মিশ্রিত অভিজ্ঞতা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.