নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

#পুলিশহ্যারেসমেন্ট

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৯




[কোন কারণ ছাড়াই পুলিশের কাছ থেকে যারা যারা ব্যক্তিগতভাবে হ্যারাসমেন্ট হয়েছেন তাদের সবার উচিত এগুলো লেখা…।এই আপনার লেখার ভেতর দিয়েও পরিবর্তন আসতে পারে।পুলিশবাহিনীকে দায়িত্বশীল বাহিনী হিসাবে দেখতে চাই।শুধু তাই কেন পুলিশ ছাড়াও নানা সরকারী বেসরকারী যাই হোক কোনরকম কারণ ছাড়াই হেনস্তা হওয়াটাকে লিখুন। আপনার জীবনে যা যা অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কোনরকম কারণ ছাড়াই সেসেব লিখুন।মন খুলে লিখুন ..নিজেদের অভিজ্ঞতাকে নির্মোহ ভাবে লিখুন,প্রকাশ করুন।মনে হয় তাতে সবাই সচেতন হওয়ার পথে এগিয়ে যাব।কাউকে বিনা কারণে তাচ্ছিল্য করার জন্য বা ক্রেডিট নেয়ার জন্য লিখবেন না।সত্যিকারের ঘটনাগুলো লিখুন।একটা সুন্দর বাংলাদেশ,একটাসুন্দর সমাজ নির্মাণে সবার অংশগ্রহণ জরুরী।এটা সহযোগীতা,সাহস,নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।সবার মঙ্গল হোক।]



#পুলিশহ্যারেসমেন্ট
২০১০সাল দুপুর ১২.০০টা-১২.২৫ নাগাদ।মাত্র বিশ-পঁচিশের সময় নিয়ে অফিস থেকে বেরহলাম।চট্টেশ্বরীর চারুকলা কলেজ রোডের সামনে।দশকদম এগুলেই ওয়ারসিমেট্রি।প্রথম অপেক্ষা করছিল আমার জন্য।আমি পৌঁছার দু-কি তিনমিনিট পর একেবারে রাস্তার একসাইডে।যেখানে আগে টিনদিয়ে লেখা থাকত সবসময়(এখানে প্রবেশ নিষেধ)ঠিক সেই জায়গায়।মোবাইলে রিং বেজে উঠেছে রিসিভ করলাম অফিস থেকে কলিগ কল দিয়ে বলল একজন ক্লায়েন্ট আসছে আপনার সাথে দেখা করতে।জাস্ট ফোনটা রাখার সাথে সাথে ট্যাক্সি একটা পাশে দাঁড়াল।সবাই পুলিশ।একজন কনস্টেবল এসে বলল,আপনারা এখানে কি করছেন? এটাতো নিষিদ্ধ এলাকা।আমি হতবাক হয়ে গেলাম।আমি তর্ক জুড়ে দিলাম।আরেকজন এসে বলল থানায় চলুন।কোন থানা?...-বলল,পাঁচলাইশ।ওই থানায় আমার পরিচিত আছেন (অরুণদা) উনাকে জিজ্ঞেস করেন আমি কে?আমাদের মানিব্যাগ থাকে কিন্তু তেমন একটা টাকা থাকেনা।ও আমাকে উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে বলল,ধুর পকেটে ১০-২০ ভাংতি থাকলে দিয়ে দেন,চলে যাবে।আমার পকেটে ছিল ১০০টাকার নোট আর কোন টাকা ছিল না।মানিব্যাগটা বের করতেই পুলিশ বলল,তাড়াতাড়ি দেন…।বললাম ৫০ রাখেন ৫০ ফেরত দেন।আমার বাড়ি ফেরার টাকা নাই।কনস্টেবল বলল,আমি কোত্থেক ভাংতি দেব?এই বলে টাকাটা নিয়ে ট্যাক্সিতে উঠে চলে গেল।পরে অনেকের কাছে শুনতাম ওই রাস্তা দিয়ে কোন তরুণ-তরুণী হাঁটতে পারত না,সুযোগ পেলেই পুলিশ এরকম হ্যারেসমেন্টে করত।একজন মানুষও নাগরিক হিসাবে খুবই অপমানিত বোধ করেছিলাম। এইরকম একটা ঘটনা মানুষের মনের ভেতর ঘৃণার বীজ বপন করে দিতে পারে সেটা না হওয়ার জন্যই লিখুন।যা বড় বিপত্তি ডেকে আনতে পারে।পুলিশের এইরকম হ্যারেসমেনট আপনাদের জীবনে ঘটে থাকলে নির্মোহ ভাবে প্রকাশ করুন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পুলিশ নিয়ে প্রবাদের শেষ নেই-

আপনার কাছে শেষ পর্যন্ত কিছু না পেলে বলবে-গাটা একটু চুলকিয়ে দে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।তবে আমি চাই যার যার মনের কথা গোপনে না রেখে প্রকাশ করেন।নিশ্চিত এই বিষয়গুলোই একদিন বড় পরিবর্তনের দিকে ধাবিত করবে।

শুভেচ্ছা।

২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: আমাকে দিয়ে তার মামলার কাজ করার পর আমার দাবীকৃত সর্বনিম্ন টাকা আপত্তি করেও পাইনি।
পরবর্তীতে আমাকে দেখিয়ে ছাড়বে বলে চোখ বড় বড় করে বিরবিরয়ে কী যেন বলে চলে গেলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: পুরো ঘটনাকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখুন।

শুভেচ্ছা।

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ খুব ডেঞ্জারাস।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।সেতো বুঝতে পারছি.........যার যার ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো লিখুন। আমি আশাবাদী একটা পরিবর্তন আসবেই।পুলিশের কাজ শুধু অপরাধ সংক্রান্ত তার বাইরে গিয়ে তার কাজ করার কোন সুযোগ নেই।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: পুলিশ বিষয়ক একটা গল্প শোনেন
একবার প্রচন্ড শীতের রাতে চট্রগ্রাম থেকে মাল বোঝাই করে এক ট্রাক ড্রা্ইভার আর তার এক হেলপার ঢাকার দিকে আসতে ছিলো। পথে শীতাকুন্ড পার হয়ে কিছুদুর আসার পর হঠাৎ পুলিশের ইশারায় গাড়ী থামাতে হলো। পুলিশের সার্জেন্ট ড্রাইভারকে বললো আমাদের এই পুলিশ ভাই ঢাকা যাবে তাকে নিয়ে যাও। ড্রা্ইভার অনিচ্ছা সত্বেও তাকে নিলো কিন্তু হেলপারকে বাইরে ডালার মধ্যে মালের উপর গিয়ে বসতে হলো। হেলপারটার জন্য ড্রাইভারের খারাপ লাগতে ছিলো বেচারা এই শিতে কস্ট পাচ্ছে। যাই হোক গাড়ীতে উঠে পুলিশটা খুচরা আলাপ শুরু করছেঃ
পুঃ কতদিন ড্রাইভারী করো?
ড্রাঃ ১২ বছর,
পুঃ বাড়ীতে কে কে আছে?
ড্রাঃ মা. আছে আর বউ
পুঃ বাড়ী যাও কতদিন পর ?
ড্রাঃ ৬ মাস আগে গেছিলাম, তয় বউ মোবাইল কইরা জানাইছে সে ৩ মাসের গর্র্ভবতি
পুঃ হায় হায় তুমি ৬ মাস আগে বাড়ী গেছো আর বউ তিন মাসের পোয়াতী এখন তুমি এই জারজ সন্তার কি করবা ?
ড্রাঃ হ চিন্তা কইরা দেখছি এই জারজটারে কতদুর পড়ালেখা করাইয়া পুলিশে চাকরী দিয়া দিমু ।

সুতরাং পুলিশ দ্বারা হয়রানী ছাড়া ভালো কিছু আশা করা অরণ্যে রোধন করা ছাড়া আর কিছুই না। তবে দুই একজন ভালো মানুষ অবশ্যই পুলিশে আছে।

৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: পুলিশে অবশ্যই ভাল মানুষ আছে। ব্যক্তির অসততা পুরো প্রতিষ্ঠানকে একটা ভীতিকর অবস্থায় নিয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দরকার আছে।

ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা জানবেন।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

চানাচুর বলেছেন: পুলিশ নিয়ে আমার একটা মজার ঘটনা আছে-

জাহাঙ্গীরনগরে শেষ কনভোকেশনের সময় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিল প্রশাসন। বাইরের কোন লোকই ঢুকতে দেওয়া হত না। আর তখন দেশের অবস্থা ছিল ভীষণ খারাপ। সারাদেশে হরতাল, অবরোধ চলছে। যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। ককটেল নিক্ষেপ, বোমা বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই আতঙ্ক ছিল। এমনকি ইউনিতেও ওই সময় দুইটা বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। যেহেতু রাষ্ট্রপতি আসবেন সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিল। কিন্তু আমাদের হলের আঙিনায় কিভাবে যেন দুইটা চোর ঢুকে গেল। তারা এসে এক সিকিউরিটি গার্ড মামাকে প্রহার করতে লাগল। মামাও খুব চিৎকার করে আর্তনাদ করে আমাদেরকে ডাকছিলেন, খালারা আমারে বাঁচান। আমারে মাইরা ফেলল।

আমরা ওই সময় যারা জেগে ছিলাম তারা জলদি নিচে নেমে এলাম। দেখলাম এক আপু গ্রিলের ভেতর থেকে একটা ছোট্ট চোরকে ধরে বসে আছেন। আমরা কেউই তখন বের হতে পারছিনা কারণ আমাদেরকে তালাবদ্ধ করা। যাই হোক দুইটা চোর এসে মামাকে রড দিয়ে মারছিল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তেমন কিছু হয়নি। একটা পালিয়ে গেছিল। আর উনাদের সংঘর্ষ গ্রিলের সামনে হুওয়ায় ওই আপুও খপাত করে চোরটার দুই হাত ধরতে পেরেছিলেন। তখন তো এমনিতেই দেশ জুড়ে আতঙ্ক। ওই চোরটা সাইজে বাচ্চাদের মত হলেও মুখ দেখে বয়স্ক লাগছিল, আর আরেকটা যেটা পালিয়েছিল সেটা বড়ই ছিল। সবাই তখন আতঙ্কে ছিলাম। ধারণা করছিলাম বোমা টোমা মারতে এসেছে! নাহয় এরকম সিকিউরিটির মধ্যে কিভাবে এরা ঢুকতে পারলো! :|

প্রোভস্ট, প্রক্টর, হল সুপার থেকে শুরু করে সবাইকে সেই রাত দুইটার সময় খবর দেওয়া হল। পুলিশকেও খবর দেওয়া হল যারা ইউনির ১ নং গেটে গার্ড দিচ্ছিল। বেশ কয়েকটা পুলিশ আসলো। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল একজন। তারা এসেই চোরটাকে বেধড়ক মেরে নিয়ে চলে যেতে চাইছিল। কিন্তু আপুরা দেয়নি কারণ তখন প্রোক্টর কিংবা প্রোভস্ট কেউই আসেনি। এরই মধ্যে পুলিশদেরকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল যেই পুলিশটা সে সব মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করতে লাগলো। সে এখনো আনম্যারিড, এখানে কোন মেয়ের সাথে বিয়ে হলে সে দুলাভাই হবে এমন সব গা জ্বালানো কথা সে বলছিল যে সহ্য করা যাচ্ছিল না। তারপর প্ল্যান করা হল চোরটাকে যে গেস্ট রুমে রাখা হয়েছিল পুলিশটাকেও সেখানে রাখা হবে। এক্সট্রা একটা তালা আনানো হল। দুইটা আপু পুলিশটাকে ডেকে বলল, একটু এদিকে আসেন তো। পুলিশটা লুল হওয়ায় সুর সুর করে পেছন পেছন গেল। তারপর চোরটার সাথে গেস্ট রুমে বসতে বলে তালাবদ্ধ করে রাখা হল। একদম ভোরবেলায় প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রোক্টর রা এলেন। ততোক্ষণ পুলিশটা চোরের সাথে বন্দি ছিল। পরে চোরসহ পুলিশগুলো বাড়ি গেল B-) B-)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: গল্পটা সুন্দর, বুঝতে পেরেছি....... :) ।কিন্তু ফ্যান্টাসি চাইনি বা জাদুবাস্তবতা ও চাইনি.......চেয়েছি নিষ্ঠুর বাস্তবতা ফলক।

আচ্ছা আপনার প্রোফাইলটা চানাচুর নাম দিয়ে কেন! ফ্যান্টসির জন্য :) :)

শুভেচ্ছা মতামতে আসার জন্য..........।

৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

চানাচুর বলেছেন: জাদুবাস্তবতার কি দেখলেন ভাই? আমরা তখন কঠিন আতঙ্কের মধ্যে। তখন পুলিশ তখন মেয়ে দেখে ফাজলামো শুরু করল। আপনি বলেন, ছেলেদের হলে এমনটা হলে পুলিশের এত স্পর্ধা হত? জাস্ট বুদ্ধি করে ওখানে তাকে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যেটা ছিল মেয়েদের জন্য আত্নতৃপ্তির। কিন্তু ভাবুন একটা মেয়ে যদি এই পুলিশের কাছে কোন সমস্যা নিয়ে যায়, তবে সে কি ধরণের হ্যারাসমেন্টের শিকার হত।
আমি মজা করে লিখেছি তাই আপনার কাছে জাদুবাস্তবতা বা ফ্যান্টাসি মনে হল। গভীরভাবে চিন্তা করলে নির্মম পরিস্থিতি বুঝতে পারতেন। যাই হোক। ভাল থাকুন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ওকে বুঝলাম।আমার বুঝার ভুল।দুঃখিত।
কিন্তু আমার একটা প্রশ্নছিল তার ‍উত্তর পেলাম না :)

শুভেচ্ছা।ভাল থাকুন।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আর কত বছর পুলিশ সদস্যরা এসব কলঙ্ক মাথায় নিয়ে চাকুরি করে যাবে জানি না। নাকি তাদের চামড়াও সহ্য করার মত হয়ে গিয়েছে এতগুলো বছরে কে জানে...

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: তাদের পেশার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেয়ে তাদের কাজের ধরনের উত্তরটাই আমরা জানতে চাই..... তারা তাদের দায়্ত্বিটা পালন করুক।জনমনের আস্থার জায়গাটা ফিরিয়ে দিক।তাদের দিক থেকে মোটিভেশনাল ওর্য়াকটাই চায়।

ধন্যবাদ।নিরন্তর ভালবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.